<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। দেশকে বাঁচাতে জীবন বাজি রেখে বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে তারা বীরের মতো লড়াই করেছেন। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বশির আহমেদ, নূর ইসলাম ও মতিউর রহমান। জানা যায়, কৌশলগত কারণে ধানুয়া কামালপুর ছিল পাক হানাদার বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যে কারণে কামালপুরে ঘাঁটি গেড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। কামালপুর দখলে নিতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সম্মুখযুদ্ধে পা হারান কর্নেল আবু তাহের। শহীদ হন ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজসহ শতাধিক বীর যোদ্ধা। অবস্থা বেগতিক দেখে ৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি বাহিনী। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরবিক্রম, বীর-উত্তম ও বীরপ্রতীক খেতাব পান ২৯ মুক্তিযোদ্ধা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি তখন নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি আমরা বুঝে গিয়েছি। অনেকের সঙ্গে চলে গেলাম মুক্তিযুদ্ধে। আমাদের স্কুলের ৬৬ জন ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>