<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হঠাৎ এগিয়ে আসা পুলিশের একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। চোখের সামনেই অনেকে হতাহত হয়ে পড়ে থাকে। গুলি লাগে সাকিলের শরীরেও। উদ্ধারের পর বাড়িতে নিয়েই চলে তাঁর চিকিৎসা। ভয়ে হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে পারেননি সাকিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সাকিল মিয়া (২০) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। পরিবার নিয়ে তাঁরা থাকেন নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায়। সেখানেই আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট ছররা গুলিতে বিদ্ধ হন সাকিল। তাঁর পিঠে ও কানে বেশ কয়েকটি গুলি লাগে। ভাইসহ স্বজনরা গুলি বের করে বাড়িতেই চিকিৎসা দেন। গুলির ব্যথায় এখনো তিনি কাতর হয়ে পড়েন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাকিলরা দুই ভাই, এক বোন। চাষাঢ়ায় একটি হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিকসের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত সাকিল। জানালেন, দোকান মালিক মিজান আহমেদও আন্দোলনে যোগ দিতে উৎসাহ দিয়েছেন। যে কারণে নির্বিঘ্নে তিনি আন্দোলনে যোগ দিতে পেরেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে কথা হলে সাকিল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুরু থেকেই আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। স্বৈরাচার পতনই ছিল আমাদের লক্ষ্য। চাষাঢ়া এলাকায় অনেক সহকর্মীসহ পরিচিতজনদের নিয়ে আন্দোলনে যেতাম। ৪ আগস্ট পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হচ্ছিল। আন্দোলনকারীদের সামনের ভাগেই ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আহত হলে বাড়িতেই নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। পুলিশের গুলি এসে বাড়িতেও পড়ছিল। বাড়ির সবাই আতঙ্কের মধ্যে থাকতাম সব সময়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাকিল মিয়া আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। শান্তির জন্য লড়েছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>