<p>১০ লাখ টাকা খরচ করে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান নান্দাইল উপজেলার গাঙাইল ইউনিয়নের পাঁচগয়েশপুর গ্রামের মামা-ভাগ্নে। কিন্তু যে চুক্তিতে সেখানে গিয়েছিলেন, সেখানে কোনো ধরনের কাজ না দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় তাঁদের। এক বেলা দেওয়া হতো ডালের পানি দিয়ে ভাত। পাশাপাশি চলত নির্যাতন। এ ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার কালের কণ্ঠে ‘সৌদিতে তালাবদ্ধ কক্ষে মামা-ভাগ্নে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে দৃষ্টি পড়ে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের। সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাস দেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে। পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠের এই প্রতিনিধির মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মামা-ভাগ্নের বিস্তারিত তথ্য নেন। পরে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের আইন সহকারী মামুনুর রশিদ এই প্রতিনিধির ওয়াটসঅ্যাপে লিখেন, আপনার নিউজ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভিকটিমদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মামা হাবিবুল্লাহ ও ভাগ্নে শাহজাহান এই প্রতিনিধিকে বলেন, দূতাবাসের লোকজন আশ্বস্ত করেন দ্রুতই তাঁদের কাজ দেওয়া হবে। জানা যায়, নেত্রকোনার আদমপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার মাধ্যমে হাবিবুল্লাহ ও শাহজাহান ১৩ নভেম্বর সৌদি আরবে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।</p>