<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের পশ্চিম প্রান্তঘেঁষা  গ্রাম রংচী। বর্ষাকালে টাঙ্গুয়ার হাওরের টেউ, অতিবৃষ্টি, বন্যা ও সব ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে গ্রামটিকে সুরক্ষা দিয়ে রেখেছে গ্রামের সামনের হিজল বন। গ্রামের নামানুসারে এ বনের নাম রংচী হিজল বন। কিন্তু সেখানকার বনভূমি উজাড় করে ফসলের আবাদ করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী। এতে বিপন্ন হওয়ার পথে শতবর্ষী এ বন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে এই হিজল বন ঘিরে গোড়াপত্তন হয় রংচী গ্রামের। গ্রামটিতে ৫০০ পরিবারের বসবাস। এক সময় গ্রামের সামনে ১০ একর আয়তনের হিজল বনটিতে চার হাজারের মতো হিজলগাছ ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে বিপন্ন এ বনটিতে বর্তমানে হাজারখানেকের মতো হিজলগাছ টিকে আছে। এর কারণ বনভূমি উজাড় করে সেখানে ফসলের আবাদ করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী বাসিন্দা। একসময় টাঙ্গুয়ার হাওরের ইজারাদারের কবল থেকে বনটি রক্ষা করতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় ছয় মাস জেল খেটেছে গ্রামের ১১ জন বাসিন্দা। বিপন্ন এ বনটি বাঁচিয়ে রাখতে হলে গাছগুলোর গোড়া বাঁধাই, নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি, চাষাবাদ বন্ধ করে দখলদারদের কবল থেকে বনের জমি উদ্ধার ও নতুন গাছ রোপণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া পর্যটনের জন্য বেশ সম্ভাবনাময় স্থান হতে পারে রংচী হিজল বনটি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, শুনেছি স্থানীয় প্রভাবশালীরা হিজল বনের জায়গা দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে। সেখান থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>