<p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে বেসরকারি স্কুল ও মাদরাসাসহ শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। ভালোমানের লেখাপড়া করানোর আশায় এসব ব্যক্তি মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানে শিশুদের ভর্তি করতে বছরের শুরুতেই ভিড় করেন অভিভাবকরা। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ফেরাতে এবং তাদের ঝরে পড়া কমাতে গ্রামাঞ্চলের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক শফিউল আলম সুমন। তিনি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে শিশুদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন এবং উঠান বৈঠকও করছেন। এ সময় অভিভাবকরা নতুন করে শিশুদের সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চরখিদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে কিন্ডারগার্টেনে লেখাপড়া অনেক ভালো হয়। তাই আমি আমার শিশুকে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সুমন স্যার যখন বাড়িতে এসে বোঝালেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়। উপবৃত্তি দেওয়া হয়। কিন্ডারগার্টেন ও মাদরাসার চেয়ে সরকারি স্কুলে অনেক বেশি ভালোমানের লেখাপড়া করানো হবে। তাই আমার বাচ্চাকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করব বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষক শফিউল আলম সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধসহ নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিশুসহ তাদের অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য শিক্ষক শফিউল আলম সুমনকে ধন্যবাদ জানাই।</span></span></span></span></span></p>