চরের জমিতে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার শতাধিক গ্রামের মানুষ। এই উপজেলায় জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ছোট-বড় খাল ও নদী। এসব খাল ও নদীর মধ্যে অন্যতম হালদা, ধুরুং, সর্তা, লেলাং ও ফটিকছড়ি খাল। নদী ও খাল পারের চরে সবজি আবাদ করে কয়েক হাজার কৃষক এখন স্বাবলম্বী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সমিতিরহাট, নাজিরহাট পৌরসভা, সুয়াবিল, সুন্দরপুর, হারুয়ালছড়ি, ভূজপুর, নারায়ণহাটের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর জেগে ওঠা বিশাল চরাঞ্চলে বেগুন, মুলা, মরিচ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাশাক, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন কৃষকরা।
সুন্দরপুর ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আলম বলেন, ‘এবার আমি বাজারে আগাম শাক-সবজি তুলেছি। বাজারমূল্যও ভালো পেয়েছি।’
জানা যায়, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের আগে চরগুলোতে জনবসতি ছিল।
বিভিন্ন সময়ে বন্যার কারণে এসব এলাকায় জেগে উঠেছে চর। নদীভাঙনের শিকার মানুষগুলো একসময় নিঃস্ব হলেও এখন তাদের আশার সম্বল সবজি চাষ। প্রায় দেড় দশক ধরে চরে সবজি আবাদ করে হাজারো পরিবার স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি অবদান রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। বর্ষা মৌসুমে বন্যায় অনেক জমি পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার পানি নেমে গেলে পলি জমে এসব জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পুরো উপজেলায় শুধু রবি মৌসুমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সবজি উৎপাদিত হয়েছে। এ অঞ্চলে বছরে কয়েক শ কোটি টাকার সবজি উৎপাদিত হয়ে থাকে। এখানকার উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। সরকার কৃষকদের সার-বীজ প্রদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছে।