কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অযত্নে পরিত্যক্ত পড়ে আছে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মুখারবান্ধা আন্তর্জাতিক আধুনিক বাস টার্মিনাল। শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে হলেও জাঁকজমকপূর্ণ এবং পর্যটন খ্যাত এই বাস টার্মিনালটি ঘিরে শত শত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে বাস আসা-যাওয়া বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। জনশূন্য হয়ে পড়েছে এই আধুনিক বাস টার্মিনাল।
এদিকে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে চরফ্যাশন পৌর বাজারের ওপর দিয়ে দূরপাল্লার বাসগুলো যাতায়াতের ফলে যানজটে নাকাল হচ্ছে পৌরবাসী।
পৌরসভা সূত্র জানা যায়, পৌরসভার অর্থায়নে দুই একর জমির ওপর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় অত্যাধুনিক এই টার্মিনালটি। ২০১৮ সালের আগস্টে উৎসবমুখর পরিবেশে সেটি উদ্বোধন করা হয়। এই বাস টার্মিনাল থেকে ভোলা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং উপজেলার দক্ষিণ আইচা, দুলারহাট, চেয়ারম্যান বাজারসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলে আসছিল।
সাত বছর ধরে দিনে দুই শতাধিক বাস এখান থেকে চলাচল করত। বর্তমানে পৌরসভার সদর বাজারের দুটি স্ট্যান্ড থেকে এসব বাস চলাচল করছে।
এলাকাবাসী জানায়, মুখারবান্ধা আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকে সেখানে সন্ধ্যার পর বসছে মাদকের আসর। এসব কারণে আশপাশের এলাকায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, টার্মিনালে বাস আসা-যাওয়া বন্ধ করায় বাজারের ভেতরে বাসের যাত্রী ওঠানামা ও স্টেশন স্থাপন করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
পৌরবাসীর অভিযোগ, বাস মালিক সমিতির একঘেয়েমির কাছে যানজট নিরসনে সব উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। ফলে যানজটে হিমশিম খাচ্ছে পৌরবাসী।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াদ সিকদার বলেন, ‘ব্যবসা টেকানোর স্বার্থে আমরা নিজস্ব স্ট্যান্ড থেকে বাস পরিচালনা করছি। সরকার যদি অবৈধ যান বন্ধ করে এবং যানগুলোকে রুট পারমিট অনুযায়ী চালানো নিশ্চিত করে তাহলে আমাদের দৃষ্টিনন্দন বাসস্ট্যান্ডে ফিরে যেতে আপত্তি নেই।
’
ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান জানান, বাস টার্মিনাল থাকা সত্ত্বেও বাস পার্কিং বা স্ট্যান্ড দিয়ে যানজট সৃষ্টি কাম্য নয়। গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।