<p><strong>প্রথম ছবি মুক্তি পেয়েছে। নিশ্চয়ই হলে হলে ঘুরে দেখছেন? কেমন লাগছে?</strong></p> <p>মাত্রই আনন্দ সিনেমা হল থেকে বের হলাম [শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা]। সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটি দেখলাম। সত্যি, এটা অনেক আনন্দের। আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। দর্শকের হাততালি পাওয়াটা সব অভিনেত্রীর ভাগ্যে জোটে না। প্রথম ছবিতেই আমি সেটা পেয়েছি। শুক্রবার সাংবাদিকসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা ছবিটি দেখেছেন। তখনো সবাই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে কয়েকজন নির্মাতা তাঁদের ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আলাপও করেছেন। মনে হচ্ছে, ‘মেকাপ’ আমার ক্যারিয়ারকে কালারফুল করবে।</p> <p> </p> <p><strong>ছবিটি অনেক দিন সেন্সর বোর্ডে আটকে ছিল। তখন নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তায় ছিলেন?</strong></p> <p>আমি ফুরফুরে মেজাজেই ছিলাম। জানতাম একদিন না একদিন ছবিটি ছাড়পত্র পাবে। ‘মেকাপ’-এর গল্পটাই এমন, যখনই মুক্তি পাবে সবার কাছে নতুন মনে হবে। দেখেন, চার বছর হয়ে গেল, তার পরও সবাই ছবিটি লুফে নিয়েছে। প্রযোজকও খুশি, পরিচালকও খুশি। বিশেষ করে তারিক আনাম স্যার আমার প্রশংসা করেছেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।</p> <p> </p> <p><strong>‘মেকাপ’-এ যুক্ত হয়েছিলেন কিভাবে?</strong></p> <p>এটা কাকতালীয়। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারি না। একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী আমার সামনে অনন্য মামুন ভাইকে অনেকবার ফোন দিয়েছেন। তিনি ছবিটি করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তবে মামুন ভাই নাছোড়বান্দা, আমাকে নিয়েই তিনি ছবিটি করবেন। একদিন কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম ভাইয়ের কাছে। মামুন ভাই বলেছিলেন, ‘ছবিটি নষ্ট করতে চান না তিনি। এই ছবিতে স্টার কাউকে নিলে চরিত্রটি বাস্তবসম্মত মনে হবে না, হিটও হবে না। হঠাৎ করে এক স্ট্রাগলারের ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার গল্প এটা। আমি প্রতিষ্ঠিত কোনো নায়িকাকে নিলে দর্শক বিশ্বাস করতে পারবে না।’ অবশেষে ‘মেকাপ’ মুক্তির পর মামুন ভাইয়ের কথাগুলো সত্যি মনে হয়েছে। দর্শক আমার চরিত্রটাকে গ্রহণ করেছে।</p> <p> </p> <p><strong>আর কোনো ছবি করছেন?</strong></p> <p>‘মেকাপ’-এর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তবে এর মধ্যে আরেকটা ছবির শুটিং করেছি—অনিক বিশ্বাসের ‘খোদা হাফেজ’। আমার সঙ্গে আছেন সাঞ্জু জন ও দিদার। এই ছবিটাও দারুণ গল্পের। দর্শক পছন্দ করবে। ওটিটিতেও আমার অভিষেক ঘটবে শিগগিরই। এরই মধ্যে সৈকত নাসির ভাইয়ের সিরিজ ‘নেটওয়ার্ক’-এর কাজ করলাম। আমার চরিত্রটি অ্যাকশনে ভরপুর। কথার আগেই হাত চলে টাইপের।</p> <p> </p> <p><strong>আপনি তো পোশাক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত...</strong></p> <p>আমার একটা ক্লদিংয়ের ব্যবসা আছে। অনলাইনভিত্তিক এই ব্যবসা নিজেই দেখাশোনা করি। ‘ড্রেসেস’ নামের অনলাইন শপটি বেশ গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে। আমি মেয়েদের পোশাকই বিক্রি করি।</p> <p> </p> <p><strong>পড়াশোনা শেষ?</strong></p> <p>এমনিতে অনার্স শেষ। এখন একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনের ওপর কোর্স করছি। আমার লক্ষ্য অভিনয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া। এর মধ্যে বেশ কিছু পোশাক ডিজাইন করেছি। বিশেষ করে আমার অভিনীত সিনেমা ও সিরিজে নিজের ডিজাইন করা পোশাকই বেশি পরি।</p> <p> </p> <p> </p>