<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাড়ির চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘ টিম ছুটে চলেছি সারা দেশের গ্রামীণ পথ ধরে। প্রত্যন্ত সেই মাটিতে, যেখানে নারীরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিলেন। তাদের হাতে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নতুন একটি সম্ভাবনা তুলে দিতে আমরা অবিরাম ছুটে গিয়েছি শহর, বন্দর পেরিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামে। গ্রামীণ <img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/04-12-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" height="800" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/1. january/04-12-2025/2/kalerkantho-ss-1a.jpg" style="float:left" width="250" />নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে আমাদের প্রথম ছুটে যাওয়া ছিল ২০২২ সালের মার্চে। এর পর থেকে প্রতি মাসেই কোথাও না কোথাও আমাদের দেখা হয়েছে একদল দৃঢ়চেতা নারীর সঙ্গে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কমবেশি তিন থেকে পাঁচ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়ার সময়টি ছিল অনবদ্য। যেখানে দারিদ্র্যের গল্প বুনে রেখেছিল সীমাবদ্ধতা, সেখানে শুরু হলো আত্মনির্ভরতার নতুন অধ্যায়। কেউ বললেন, এবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি কণ্ঠে ছিল কৃতজ্ঞতার মিষ্টি আভাস। সবুজ মাঠ, সরল মানুষ আর নারীদের উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল মুহূর্তগুলো। অদম্য সেই নারীরা জানান, বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া এই সেলাই মেশিন কেবল একটি যন্ত্র নয়, এটি তাদের জীবনের গল্প লিখতে শেখানোর প্রথম কলম। প্রতিটি আয়োজনে উপস্থিত নারীরা তুলে ধরেছেন তাদের স্বপ্নের কথা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আমাদের বছরের পথচলা শেষ। কিন্তু এই স্বপ্নের যাত্রা নিরন্তর। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার নারীর হাতে আমরা সোপর্দ করেছি শুধু একটি যন্ত্র নয়, বরং তাদের জীবন পরিবর্তনের চাবিকাঠি। তাদের দৃপ্তকণ্ঠের দৃঢ় প্রত্যয় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এই গল্প থেমে থাকার নয়। নতুন করে হয়তো এ মাসেই আবার শুরু হবে আমাদের ছুটে চলা। প্রতিটি সেলাই মেশিন থেকে বের হয়ে আসবে একেকটি পরিবারের স্বাবলম্বিতার গল্প, আর প্রতিটি নারী হবেন নতুন দিনের অগ্রদূত।</span></span></span></span></p>