<p>দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জোহানেসবার্গে একটি বাড়ি থেকে বন্দি অবস্থায় ২৬ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে, যাদের ইথিওপিয়ার নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ওই বাড়ির ভেতরে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং বাকি ১১ জন কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছিল ও তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।</p> <p>পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের একটি আবাসিক এলাকায় প্রতিবেশীদের তথ্যের ভিত্তিতে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>কিভাবে এই অভিবাসীরা দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে তারা মানবপাচারের শিকার কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া অভিবাসীদের কী ধরনের পরিস্থিতিতে আটক রাখা হয়েছিল বা কেন কিছু লোক নগ্ন অবস্থায় ছিল, সে সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একটি ‘মানবপাচার চক্র’ ভেঙে দিয়েছে।  </p> <p>গুরুতর অপরাধে বিশেষজ্ঞ জাতীয় পুলিশ সংস্থা হকসের মুখপাত্র কর্নেল ফিলানি এনকওয়ালাসে জানিয়েছেন, যারা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, তারা জানালা ও গ্রিল ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিল। পালানোর সময় আঘাতপ্রাপ্তদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  </p> <p>অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন সন্দেহভাজনের কাছ থেকে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।  </p> <p>কর্নেল এনকওয়ালাসে আরো বলেন, ‘এই মামলাটি আরো তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ২৬ জনের অভিবাসনসংক্রান্ত অবস্থা নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে, তাদেরকে মানবপাচারের শিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হবে কি না, তা দেখার জন্য।’  </p> <p>এর আগে গত বছরের আগস্টে জোহানেসবার্গের পূর্বাঞ্চলে একটি বাড়ি থেকে অমানবিক অবস্থায় আটক রাখা ৯০ জন ইথিওপীয় নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বিত অভিযানে ওই বাড়ি থেকে একজন অপহৃত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছিল।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>