ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫
১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ শাওয়াল ১৪৪৬

দাড়ি-গোঁফযুক্ত ছবিটি কি শামীম ওসমানের?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাড়ি-গোঁফযুক্ত ছবিটি কি শামীম ওসমানের?
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির অনেক নেতাকর্মীই দেশ ছেড়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানও দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে তার হজের ছবি দাবিতে একটি ছবিতে দাড়ি-গোঁফ যুক্ত করে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবিটি অনুসন্ধানের পর এমনটি জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের আলোচিত এই ছবিটি আসল নয়। এটি ২০২২ সালে মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের সময়ের শামীম ওসমানের ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সেখানে দাড়ি-গোঁফ যুক্ত করে সাম্প্রতিক ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই ‘মহানবী (সা.)-এর রওজা থেকে শামীম ওসমানের ভিডিও বার্তা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে যুক্ত ছবিটির সঙ্গে আলোচিত ছবিটির পোশাক, ব্যাকগ্রাউন্ড ও আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তু মিল পাওয়া যায়।

এই ছবিতে শামীম ওসমানের মুখে দাড়ি-গোঁফ ছিল

ওই প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সে বছরের জুলাইয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন শামীম ওসমান। মদিনায় পৌঁছে সেখানে তিনি মহানবী (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের পর একটি ক্ষুদ্র ভিডিওবার্তা দেন। সে সময় তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

এ ছাড়াও, আরেকটি গণমাধ্যম চ্যানেল২৪-এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই ‘মহানবী (সা.)-এর রওজা থেকে শামীম ওসমানের ভিডিও বার্তা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত শামীম ওসমানের উক্ত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

সেখানেও আলোচিত ছবিটির অনুরূপ দৃশ্য দেখা যায়। অর্থাৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শামীম ওসমানের পুরোনো ছবি সম্পাদনা করে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার হচ্ছে। 

রিউমর স্ক্যানার জানায়, শামীম ওসমানের বর্তমানে অবস্থান বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি। সুতরাং, ২০২২ মদিনায় শামীম ওসমানের একটি ভিডিও থেকে তার ছবি নিয়ে তাতে দাঁড়ি-গোঁফ যুক্ত করে সাম্প্রতিক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ছবিটি সম্পাদিত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের দ্বিতীয় দিনে সেনা ভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় সেনাপ্রধানের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের দ্বিতীয় দিনে সেনা ভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় সেনাপ্রধানের
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা, মিরপুর ও পোস্তগোলা সেনানিবাসে কর্মরত জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও), নন-কমিশন্ড অফিসার (এনসিও), অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য, বেসামরিক কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সেনা ভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সেনাপ্রধান। এ সময় জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তার সহধর্মিণী সারাহনাজ কমলিকা জামান উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় এবং তাদের আপ্যায়ন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ‘বিভ্রান্তিকর ও একপক্ষীয়’ : প্রেস উইং

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ‘বিভ্রান্তিকর ও একপক্ষীয়’ : প্রেস উইং

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে ‘বাংলাদেশ নতুন করে গড়ে উঠছে, ইসলামী কট্টরপন্থীরা সুযোগ খুঁজছে’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং বিভাগ। বিবৃতিতে এই প্রতিবেদনকে ‘বিভ্রান্তিকর ও একপক্ষীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এই নিবন্ধটি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তিকর ও একপক্ষীয় ধারণা তৈরি করছে, যেখানে দেশটিকে ধর্মীয় চরমপন্থার করাল গ্রাসে পতিত হতে চলেছে বলে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এই বর্ণনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতিসরলীকৃতভাবে দেখছে এবং ১৮ কোটি মানুষের সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতি এবং বাস্তব পরিস্থিতির জটিলতাকে স্বীকার করার বদলে শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু ঘটনা তুলে ধরে ভ্রান্ত ধারণা ছড়ানো হয়েছে।


১. বাংলাদেশের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

প্রবন্ধটিতে কিছু ধর্মীয় উত্তেজনার ঘটনা এবং রক্ষণশীল আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে; কিন্তু এর বিপরীতে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সমাজের অগ্রগতির দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ নারীদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষভাবে তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নারী অধিকার ও সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এই সরকারকে যে চিত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে তা বাস্তবতার সাথে মেলে না।

একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো ‘যুব উৎসব ২০২৫’, যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৭ লাখ মেয়ে অংশ নিয়েছে এবং তিন হাজার খেলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। এই বিশাল অংশগ্রহণ -যেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদিবাসী তরুণী ও বিভিন্ন স্তরের নারীরা যুক্ত হয়েছে-বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের প্রাণবন্ততা প্রমাণ করে। একটি মাত্র ফুটবল খেলা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া মানে এই নয় যে, বাকি দুই হাজার ৯৯৯টি সফল আয়োজনের মূল্য নেই।

একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামগ্রিক অগ্রগতিকে খাটো করে দেখানো প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে।

আরেকটি ভুল তথ্য হলো, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চরমপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেননি’—এটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং তার দীর্ঘদিনের নারী ক্ষমতায়নের কাজকে অস্বীকার করে। ইউনূস সবসময় নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ও তার ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করেছেন, যা তাকে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে। তিনি নারী অধিকারের প্রতি আজীবন অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন এবং সেটিই তার কাজের মূল ভিত্তি।

২. ধর্মীয় সহিংসতা সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করা

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ধর্মীয় সহিংসতা হিসেবে চিত্রিত করা বিভ্রান্তিকর। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা মূলত রাজনৈতিক এবং এর অনেকগুলো ঘটনাকে ধর্মীয় সংঘাত হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রায়ই জনসমর্থন পেতে ধর্মকে ব্যবহার করে, যা সমস্যাটিকে আরো জটিল করে তুলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ধর্মীয় নিপীড়ন বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।

৩. অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ যে সামাজিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তা ভুল তথ্য ছড়িয়ে ঢেকে ফেলা উচিত নয়। 

৪. বাংলাদেশের বৈশ্বিক অগ্রগতি

বাংলাদেশ এখন এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও ব্যাংকিং খাত অক্ষুণ্ণ রয়েছে এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে (১ ডলার = ১২৩ টাকা)। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক ৮ মাসের প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। শুধুমাত্র গত সপ্তাহে তার চীন সফরের সময় বাংলাদেশ ২.১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ, বিনিয়োগ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। আগামী সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘ইনভেস্টরস কনফারেন্স’, যেখানে ৫০টি দেশের দুই হাজার ৩০০ প্রতিনিধিসহ মেটা, উবার, স্যামসাং-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

এই অগ্রগতি কি ধর্মীয় উগ্রবাদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোনো রাষ্ট্রের চিত্র হতে পারে? দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এই আশাব্যঞ্জক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে ভুলভাবে চিত্রিত করছে।

৪. বাংলাদেশকে একপক্ষীয়ভাবে বিচার করা উচিত নয়

প্রবন্ধে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা তুলে ধরে ১৮ কোটি মানুষের একটি জাতির পরিচয় গঠনের চেষ্টা করা হয়েছে, যা নৈতিকভাবে অনুচিত। বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময়, গতিশীল ও সংস্কৃতির দিক থেকে সমৃদ্ধ দেশ।

ধর্মীয় উগ্রবাদ শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশ আইন প্রয়োগ, সামাজিক সংস্কার ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যমে এর মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই জাতি সংখ্যালঘু, নারী ও যুবসমাজের সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিছু উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বক্তব্য ও কার্যকলাপকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নীতি ও ভবিষ্যতের পরিচায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর।

তা ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর উগ্রপন্থার উত্থানকে অনিবার্য ধরে নেওয়া একেবারেই ভুল ধারণা। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চেতনা, শক্তিশালী নাগরিক সমাজ ও যুবসমাজের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ইতিহাস, গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা প্রমাণ করে যে, দেশটি সামনে এগিয়ে যাবে এবং যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের উচিত বিচ্ছিন্ন নেতিবাচক ঘটনাগুলোর পরিবর্তে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও আশা-ভরসার চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা।

মন্তব্য

তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা

চলতি এপ্রিল মাসে দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি বলছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এপ্রিল-২০২৫ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। 

দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি সমতল সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত জিপিসিএস, ইসিএমডব্লিউএফ, জেএমএ, এনওএএ, আইআরআই, এপিসিসি, আরআইএমইএস এবং সিথ্রিএস থেকে প্রাপ্ত মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, এসওআই ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণপূর্বক এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

৪১.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠতে পারে এপ্রিলে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৪১.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠতে পারে এপ্রিলে

চলতি এপ্রিল মাসে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে। 

এপ্রিল-২০২৫ মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশে দুই থেকে চারটি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া 
এ মাসে দেশে ৫ থেকে ৭ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের এবং এক থেকে তিন দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।

তবে মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি সমতল সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা অনুমোদিত জিপিসিএস, ইসিএমডব্লিউএফ, জেএমএ, এনওএএ, আইআরআই, এপিসিসি, আরআইএমইএস এবং সিথ্রিএস থেকে প্রাপ্ত মডেল পূর্বাভাস, আবহাওয়া উপাত্ত, ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়া বিন্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষিত আবহাওয়া মানচিত্র, জলবায়ু মডেল, এসওআই ইত্যাদির যথাযথ বিশ্লেষণপূর্বক এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ