<p style="text-align:justify">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর ও অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে ‘গণ-অনশন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।</p> <p style="text-align:justify">আগামী রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি শুরু করবেন শিক্ষার্থীরা বলে জানা গেছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গণ-অনশনের ব্যানার প্রকাশসহ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জবি শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।</p> <p style="text-align:justify">সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল লিখেছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জবির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আন্দোলন করেছে জবিয়ানরা। জবি প্রশাসনের আশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে আলটিমেটাম দিয়ে রাখলেও প্রশাসন দৃশ্যমান কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমাদের প্রশাসন আমাদেরই আস্থা হারিয়েছে। প্রশাসনের সাথে আর লিয়াজোঁ নয়।</p> <p style="text-align:justify">ফেরদৌস শেখ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের ২০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন সংকট সমাধানের জন্য প্রশাসনকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। কিন্তু তাদের কার্যক্রমের অগ্রগতি না দেখে আমরা হতাশ। এই সরকার থাকাকালীন যদি আমাদের মৌলিক দাবি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন সংকট সমাধান করতে না পারি আর কখনোই তা সম্ভব হবে না। তাই আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরসহ তিন দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরে সহযোগিতা করবে মন্ত্রণালয়। তবে দুই মাস পেরুলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।</p> <p style="text-align:justify">জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টভাবে বলেছি। এ বিষয়ে পাঠানো চিঠিও আমাদের হাতে আছে। নতুন ক্যাস্পাসের কাজ বাস্তবায়নে জবি প্রশাসন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাসের কাজ নিয়ে এ পর্যন্ত যা হয়েছে, তা পূর্বের স্বৈরাচারী আমলের প্রশাসনের কাজের ফলস্বরূপ। অস্থায়ী আবাসনের কাজও চলমান আছে। এই বিষয়ে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।’</p>