<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লড়াইটা নিজের সঙ্গে বলেই কি না নাঈম শেখ এতটা সংকল্পবদ্ধ। নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার এত তাড়না। এই ভাবনার উদয় হয়েছিল জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন নাঈম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে নাঈম যে চার বছরের মতো দলে ছিলেন, সেটা যে দাপুটে ছিল, তা নয়। শুরুর কিছু সময় একপাশে রাখলে জাতীয় দলে তাঁর জায়গা নিয়ে সব সময় প্রশ্ন ছিল। খেলার ধরনের কারণে তা উঠেছিল। বিশেষ করে স্ট্রাইক রেট আর ব্যাট হাতে তাঁর ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে। বাদ পড়ার পর থেকে নাঈমের লড়াইটা শুরু হয় নিজের সঙ্গে। তাঁর দুই বছরের পরিকল্পনার একটি ছিল, যে সংস্করণেই হোক না কেন, খেলাটা প্রভাব বিস্তার করেই খেলতে হবে। বাকিটা নাঈমের মুখেই শোনা যাক, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সত্যি কথা বলতে দুই বছর ধরে আমি চেষ্টা করছিলাম লাল বলের ক্রিকেটে যেন প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে পারি। মানুষ যেন আমাকে বাতিল করে না দেয়। এভাবেই কাজ শুরু করেছিলাম। এনসিএল টি-টোয়েন্টির সময় এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে খেলতে নেমেছিলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাদ পড়ার পর প্রথমবার নাঈমের ঝলকটা দেখা যায় এই টুর্নামেন্টে। টুর্নামেন্টটি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে শেষ করেন তিনি। তবে সবচেয়ে ইতিবাচক ব্যাপার ঘটেছিল তাঁর স্ট্রাইক রেটে ১৩৫.০৪। এরপর বিপিএলে নিজেকে আরেক ধাপ ছাড়িয়ে যান তিনি। এই টুর্নামেন্টেরও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৫১১) তিনি, সঙ্গে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৩.৯৪। আগ্রাসী ক্রিকেটের সঙ্গে নাঈমের দ্বিতীয় চাওয়াটি ছিল ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা। দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর ওয়ানডে সংস্করণের চলতি ডিপিএলেও তা ধরে রেখেছেন নাঈম। এই টুর্নামেন্টের অষ্টম রাউন্ড শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন নাঈম (৪৯১) রান। গড় ৭০.১৪। স্ট্রাইক রেট ১২২.৭৫।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেরা দশজন ব্যাটারের মধ্যে স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে নাঈমের আশপাশে কেউ নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০২.৫১ তামিম ইকবালের। এই টুর্নামেন্টে নাঈম নিজেকে আরেকটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি ডিপিএলে আমি ১০০টি চার ও ৫০টি ছক্কা মারতে চাই। এটা আমার নিজেকে দেওয়া চ্যালেঞ্জ। আমি কি পারব? আপনাদের কি মনে হয়?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নাঈম পারবেন কি না তা অবশ্য টুর্নামেন্ট শেষে বোঝা যাবে। আপাতত আট ম্যাচ শেষে ৫০টি চার ও ২৩টি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর দল প্রাইম ব্যাংক সুপার লিগে উঠতে পারলে আরো আটটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। প্রতিনিয়ত নিজেকে এ রকম চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করানো নাঈমের উপলব্ধি, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন বুঝতে পারি কোন জিনিসটা কখন করতে হবে। যেটা হয়তো আগে সেভাবে বুঝতে পারতাম না। বুঝতে শিখেছি কোন উইকেটে কিভাবে খেলতে হবে, ম্যাচের মধ্যে কোন বোলারকে টার্গেট করা উচিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভালো উইকেটের প্রসঙ্গও উঠে এলো নাঈমের কথায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব ধরনের উইকেটে মানিয়ে নিয়ে যদি ১৪০-১৫০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা যায়, দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গিয়ে আপনি ভালো করতে পারছেন। আমি যখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছি, তখন উইকেট এত ভালো থাকত না। এখনকার উইকেটে ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ধরেন আপনি তিন দিন খারাপ উইকেটে খেলে এক দিন ভালো উইকেটে খেলছেন। কিন্তু ওই দিন যে আপনি ভালো কিছু করে ফেলতে পারবেন, তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। কিন্তু নিয়মিত খেলতে থাকলে এমনিতেই একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সেই আত্মবিশ্বাস অবশ্য এর মধ্যে পেয়েও গেছেন নাঈম!</span></span></span></span></p>
