<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সম্প্রতি ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী বোর্ড এই অনুমোদন দেয়। ৩৭ মাসের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) আওতায় এই ঋণ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঋণের প্রথম কিস্তি হাতে পায় পাকিস্তান সরকার। তবে এই ঋণ পুরোপুরি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশটিকে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আইএমএফের এক প্রতিবেদনে শর্ত হিসেবে পাকিস্তান সরকারকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কাজ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে, যাতে বেসরকারি খাত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ পায়। এর পাশাপাশি দেশটিকে করজাল বাড়ানো এবং সরকারি ব্যয় কমানোর জন্য বলা হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএমএফ পাকিস্তানকে যেসব শর্ত দিয়েছে, তার অন্যতম হলো অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য প্রণোদনা অফার করতে পারবে না পাকিস্তান। এর ফলে আরো বেশি চীনা বিনিয়োগ আনার ইসলামাবাদের যে প্রচেষ্টা, তা বাধাগ্রস্ত হবে। আইএমএফ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বিদ্যমান বা নতুন কোনো বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ টানতে কর অবকাশ সুবিধা বা ভর্তুকির মতো বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া থেকে পাকিস্তান সরকারকে বিরত থাকতে হবে। এতে বিনিয়োগের একটি সমান সুযোগ তৈরি হবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরো বেশি চীনা কম্পানিকে টানার চেষ্টা করছিলেন। এতে পাকিস্তান বড় বিনিয়োগ পাওয়ার পাশাপাশি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগেও গতি আসত। কিন্তু আইএমএফের এই শর্ত পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হলো। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তান কমপক্ষে ৯টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিল, যেসব প্রকল্প বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পাকিস্তানে আইএমএফের মিশনপ্রধান নাথান পর্টারের মতে, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তানকে ব্যবসার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কথা বলেছে, যাতে বিনিয়োগ হবে, কিন্তু পাকিস্তানের করব্যবস্থার ক্ষতি হবে না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। মূল্যস্ফীতিও ৬.৬ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে। তবে আইএমএফ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে জোর দিয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, এআরওয়াই নিউজ</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>