<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাপান থেকে ইথিওপিয়ার দূরত্ব ১৫ হাজার কিলোমিটার। এই দূরত্ব পার করে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে গিয়ে স্টার্টআপ খুলেছেন জাপানি উদ্যোক্তা ইউমা সাসাকি। একবার শুধু রাউন্ড ট্রিপের টিকিট হাতে নিয়ে জাপান থেকে প্যারিস গিয়েছিলেন। কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় তা বোঝার জন্য সঙ্গে কোনো অর্থও নেননি। দিন কাটিয়েছিলেন আশ্রয়হীন মানুষের মতো। নতুন এ অভিজ্ঞতাই ভিন্ন একটি দেশে গিয়ে ব্যবসা করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল তাকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেতে চেয়েছিলেন আফ্রিকা : টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে তিনি জাপানের একটি তেল ও গ্যাস কম্পানিতে চাকরি নেন সাসাকি। আশা করেছিলেন, চাকরি সূত্রে আফ্রিকার কোনো দেশে তাঁর পোস্টিং হবে। সেটা হয়নি। তবে এমবিএ শেষে ঘানার একটি অফ-গ্রিড সোলার স্টার্টআপে ইন্টার্ন হিসেবে যোগ দেন। দুই বছর কাজ করার পর জাপানে ফিরে যান। কিছুদিন উবারে চাকরি করেন। এরপর যোগ দেন ইলেকট্রিক ট্রান্সপোর্ট স্টার্টআপ </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">লুপ</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi">-এ। তবে জাপানে তাঁর মন টিকছিল না। আফ্রিকায় গিয়ে ব্যাবসায়িক সুযোগ কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। তবে মহাদেশটির কোন দেশে যাবেন, কোন খাত নিয়ে কাজ করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। ২০২১ সালে তিনি ইথিওপিয়ায় থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ হিসেবে বলেন, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">ইথিওপিয়ায় ১৩ কোটি মানুষ বাস করে। বিশাল জনসংখ্যার দেশটিতে বাজারের পরিধিও বড়। তাই বিভিন্ন পণ্য ও সেবার চাহিদা আছে। ইথিওপিয়ায় ব্যবসা করাটা চ্যালেঞ্জিং। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">দোদাই</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> চলছে ইথিওপিয়ায় : ইথিওপিয়ার বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে স্থানীয় এক ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। এরপর জাপানি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">দোদাই</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি স্টার্টআপ চালু করেন। উবার ও লুপে চাকরি করার অভিজ্ঞতার সুবাদে বিনিয়োগ পেতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি। বিদেশে সংযোজন করা যানবাহন ইথিওপিয়ায় বিক্রি করা মানা। এই শর্ত মেনে আমদানি করা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজনে নিজেই একটি কারখানা খোলেন। সেখানে উৎপাদিত ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো এখন দোদাই নামে ইথিওপিয়ার রাস্তায় চলাচল করছে। ডেলিভারির কাজে যুক্ত তরুণদের কথা মাথায় রেখে বাজারে দোদাই এনেছিলেন। কিন্তু বহু চেষ্টার পরও এই শ্রেণির ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। বরং ইথিওপিয়ার ধনী ও শিক্ষিত তরুণরা তাঁর ক্রেতা বনে যান। নিজেদের ব্যবহারের জন্য না কিনে ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো ভাড়া দিতে শুরু করেন তাঁরা। এর মাধ্যমে তাঁদের আয়ের রাস্তাও খুলে যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফ্রিকার চিত্র ভিন্ন : সাসাকির ভাষ্য, জাপানি বিনিয়োগকারীদের ধারণা, আফ্রিকা বনজঙ্গলে ভরপুর প্রত্যন্ত একটি অঞ্চল। সেখানকার বাচ্চারা রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করে</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন চিত্রই তাদের কল্পনায় ভাসে। তবে বাস্তবতা মোটেও সে রকম নয়। তারা যা ভাবে তার চেয়ে আফ্রিকা যে অনেক আলাদা, সেটা বোঝার জন্য একবার হলেও আফ্রিকা থেকে ঘুরে যেতে বলেন তিনি। বিনিয়োগকারীরা আসলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন এখনকার বাজারে কত শত সম্ভাবনা আছে। তবে আফ্রিকায় না আসলেও বাজার সম্ভাবনা যাচাই করে তাঁরা দোদাইয়ে বিনিয়োগ করেছেন। সাসাকি আশা করছেন, ভবিষ্যতে জাপানের পাশাপাশি ইউরোপ থেকেও বিনিয়োগ পাবেন। আফ্রিকার বাজার সম্পর্কে জানেন এমন ইউরোপিয়ান বিনিয়োগকারীরা অর্থ ঢালবেন বলেই ধারণা করছেন তিনি। সূত্র : হাউ উই মেড ইট ইন আফ্রিকা</span></span></span></span></p>