<p>যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তেল ও গ্যাস কম্পানি শেভরন ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যে নিট মুনাফা করেছে, তার ৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।<br />  <br /> কম্পানিটির সাবেক-বর্তমান ৫৮২ জন শ্রমিক-কর্মচারীর রিট আবেদনে চূড়ান্ত শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শেষে এই রায় দেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/10/1733838996-6f7bf2df4d572f300b736c3803b10064.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/10/1456023" target="_blank"> </a></div> </div> <p><br />  <br /> রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। শেভরনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।</p> <p>২০১৩ সালের পর নিট মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মচারীদের দিতে শেভরনকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ না দেওয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, মর্মে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী ওমর সাদাত।<br />  <br /> কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন অনুযায়ী শেভরনের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিক ও কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করার কথা। কিন্তু শেভরন ২০১৩ সালের পর তা আর করেনি। এ অবস্থায় কিছু শ্রমিক-কর্মচারী মুনাফার ওই অংশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শেভরন যত নিট মুনাফা করেছে, তার ৫ শতাংশ কম্পানির শ্রমিক-কর্মচারীদের দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’</p> <p>আইনজীবী ওমর সাদাত আরো বলেন, ‘এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেভরন বকেয়া পরিশোধ করেছিল। এখন কম্পানিটিকে ২০১৪ পাওনা পরিশোধ করতে হবে।’ <br />  <br /> রিট আবেদনকারীদের মধ্যে কেউ কেউ এখনো চাকরিতে আছেন। তবে বেশিরভাগই আর চাকরিতে নাই। যারা নাই, তারা যে পর্যন্ত চাকরিতে ছিলেন, সেই সময় পর্যন্ত মুনাফার টাকা পাবেন বলে জানান এই আইনজীবী।<br />  <br /> বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অনুসারে বিদেশি বিনিয়োগ বা অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সব কম্পানিকে নিট মুনাফার ৫ শতাংশ কর্মচারীদের দিতে বাধ্য। কিছু কম্পানি আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মেনে চলছে না জানিয়ে ওমর সাদাত বলেন, ‘আদালত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন যে, তারা (শেভরন) যদি বাংলাদেশে ব্যবসা চালাতে চায়, তবে অবশ্যই কম্পানিটিকে বাংলাদেশের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।’</p> <p>তবে শেভরনের কাছ থেকে কর্মচারীরা কী পরিমাণ টাকা পাবেন তা বলতে পারেননি আইনজীবী।</p>