<p>সকাল হতেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, শাহজাহান খান ও জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটির করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও আইনজীবী মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে। </p> <p>হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখাতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে তাদের ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এনে প্রথমে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর একে একে সারি সারি করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তাহীনতার চাদরে তাদের আদালতের দুই তালায় ২৭ নং কোর্টে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের এজলাসে তোলা হয়। হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে জ্যাকেট পরিহিত আওয়ামী লীগের সময় প্রভাবশালী এসব মন্ত্রীদের আদালতে তোলার সময় প্রথমে বিমর্ষ মুখে উঠতে দেখা যায়। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="থার্টি ফার্স্ট নাইটে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশনা চেয়ে রিট" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/30/1735548826-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>থার্টি ফার্স্ট নাইটে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশনা চেয়ে রিট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/12/30/1463013" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর একে একে শুনানি শেষে সালমান এফ রহমানকে মিরপুর থানার হত্যা মামলায়, শাহবাগ থানার হত্যা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলককে, বিমানবন্দর থানার হত্যাচেষ্টা ও উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলায় আতিকুল ইসলামকে, হাতিরঝিল থানার হত্যা মামলায় শাহজাহান খানকে এবং গুলশান থানার হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে এবং আইনজীবী মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের ভেতর হাসানুল হক ইনুকে গুলশান থানার হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ৪ দিনের অনুমতি পেলেন। আদেশের সময় সাবেক মন্ত্রী ইনু শুধু একটু হাসলেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/30/1735548701-b43c1de12f773ff7bc46f2aa057959f4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/30/1463012" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপর পুনরায় তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানার জন্য নেয়া হচ্ছিল। এজলাস থেকে নামার পর আদালতের সামনে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় এক আইনজীবী শাহজাহান খানের উদ্দেশে উচ্চস্বরে প্রশ্ন করলেন, 'মেলা জব্দ করছেন, এখন কেমন লাগে?' তখনই হেসে শাহজাহান খান উত্তরে বলেন, 'খুব ভালো। খুব ভালো।' এখানেই থেমে থাকলেন না সাবেক এ মন্ত্রী। শাহজাহান খান হাঁটতে হাঁটতে সাংবাদিকদের সঙ্গে রসিকতা করে ফের বলেন, 'আমাকে বলছে এখন কেমন লাগে, আমি বলছি খুব ভালো। খুব ভালো। হাহাহা'। </p> <p>তার পেছনেই ছিলেন হাসানুল হক ইনু। তার পেছনে ছিলেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তিনি সবার কাছে দোয়া চাইলেন। সাংবাদিক বা পথচারী যার দিকেই চোখ যায়, তাকেই বলেন আমার জন্য দোয়া কইরেন। কিছুক্ষণ পর প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের আবার কারাগারে নিয়ে যেতে দেখা যায়।</p>