<p style="text-align:justify">বেসরকারি ইউরোপিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসানকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">আজ রবিবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।</p> <p style="text-align:justify">তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সজনী আক্তার নামের এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফুল ইসলাম লিটন এসব তথ্য জানিয়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। এদের মধ্যে শাওন পলাতক রয়েছেন। হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের, শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ও নোমান রাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরনের বাসিন্দা।</p> <p style="text-align:justify">এদিন কারাগারে আটক দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে পলাতক থাকায় অপর আসামি শাওনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিডি করা হয়। ওই বছরের ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়িস্থ হাসিবুল হোসেনের বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ ওই দিন শেরেবাংলানগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজানুর ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">২০২২ সালের ৩০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।</p>