<p>বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মুক্ত মঞ্চের সামনে জাসদ সমর্থিত জেলা হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শাহ আলম খোকন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের দায়ী করা হয়েছে।</p> <p>সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। </p> <p>শ্রমিকরা জানান, বগুড়া জেলা জাসদ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক জোটের ব্যানারে হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের সংগঠন পরিচালিত হয়ে আসছিল। রাতে জাতীয় শ্রমিক জোটের অন্তর্ভুক্ত হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে খাবার-দাবার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তারা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসেন। এ সময় জেলা জাতীয়তাবাদী হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মোমিনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সেখানে গিয়ে হামলা চালায়। খাবার ফেলে দিয়ে ভাঙচুর ও আশপাশের দোকানের সামনে থাকা বেঞ্চ জড়ো করে আগুন দেয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, পথচারীরা ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহ আলম খোকনকে মারধর করা হয় এবং রায়হানের চা স্টল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলার পর তারা মিছিল করে আবার নিজেদের কার্যালয়ে ফিরে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।</p> <p>জাসদ সমর্থিত হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক রায়হান বলেন, ‘আমরা খাবার-দাবার ও গানের আয়োজন করি; সব শ্রমিক আসেন। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে হিজরা-কর্মচারী নাচ-গান করছে। ঠিক সেই সময়ের জাসদ শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা জাতীয়তাবাদী হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মোমিন তার সমর্থকদের নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের অনুষ্ঠান পণ্ড করে, খাবার ফেলে দিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।</p> <p>এ বিষয়ে আব্দুল মোমিন বলেন, ‘আগে আমি জাসদ শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলাম। বগুড়ার জাসদ অফিস আমার সাংগঠনিক ক্ষেত্র হলেও এখন তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।’</p> <p>বগুড়া সদর থানার ওসি মঈনুদ্দিন বলেন, আক্রান্তরা থানায় এসেছে অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>