জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বত্র আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি। গণহত্যার বিচার বর্তমান সময়ে একটি কাঙ্ক্ষিত বিষয়। এই বিচার দেরি হলে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে রাষ্ট্রকে আরেকবার অস্থিতিশীল করবে। তাই দেশ থেকে গণহত্যা নির্মূল করতে হলে ফ্যাসিবাসের দোসর আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রংপুর জেলা পরিষদ হলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে ফ্যাসিস্ট বিরোধী রাজনীতিবিদ, ছাত্র জনতা, শ্রমিক পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলীসহ এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা ও মহানগরের নেতারা।
আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টা কাল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন
আখতার বলেন, আমরা যারা তরুণরা সামনের দিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের দায়িত্বের গ্রহণ করতে চাই, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণ তাদের পরামর্শ ও তাদের সমর্থন নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি সারা দেশে কার্যক্রম শুরু করেছে।
তাই নতুন বাংলাদেশ গড়তে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা চান আখতার। একই সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির বন্দোবস্তের আহ্বান সর্বত্র পৌঁছে দিতে নিজ দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, অতীতে উত্তরাঞ্চলের মানুষ সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছে। সেই বঞ্চনা দূর করতে বিপ্লব পরবর্তী জাতীয় নাগরিক পার্টি নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে হাজির হয়েছে।
আগামীতে রংপুরে হাইকোর্টের আঞ্চলিক সেবা, শ্রমঘন শিল্পায়ানে বিশেষভাবে কাজ করবে নতুন ছাত্র সমাজের এই দলটি।
উত্তরাঞ্চলের বৈষম্য নিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি'র) যে নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে তারা পুরো বাংলাদেশে সমানভাবে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।
আরো পড়ুন
গাছের ওপর রাগ ঝাড়লেন বিএনপি নেতা!
বিচারের জন্য উত্তরাঞ্চলের মানুষকে ঢাকায় যেতে হয়, জজ কোর্টের রায় শেষ হলে, হাইকোর্টের রায় পেতে ঢাকায় যাওয়ার যে কষ্ট সে কষ্ট থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া দরকার। এ কারণে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। একই সাথে জেলা শহরগুলোর বাইরে এসে উপজেলা শহরগুলো যেন বিচারব্যবস্থার সূত্রপাত ঘটানো হয় সে ব্যাপারেও আমরা দাবি জানিয়ে আসছি।
আমরা আশা করব, এখানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যেসব রাজনৈতিক পক্ষ আমরা একত্রিত হয়েছি, আমাদের রাজনৈতিক মত-পথ আদর্শ আমাদের কর্মসূচিতে ভিন্নতা থাকবে। কিন্তু রংপুরের স্বার্থে দল-মত নিবিশেষে আমাদের সকলকে আওয়াজ তুলতে হবে।
বাংলাদেশের স্বার্থে যেমন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আমাদের সকলকে একত্রিত থাকতে হবে, রংপুরের স্বার্থে, রংপুরের প্রশ্নে, রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে এসেও আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।