<p style="text-align:justify">জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণহত্যাকে সমর্থন ও উৎসাহিত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও নীল দলের শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে ঢাবি সাদা দল।</p> <p style="text-align:justify">সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি। </p> <p style="text-align:justify">সাদা দলের দাবিগুলো হলো : বিগত আওয়ামী শাসনামলে দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কিত ও দলীয় বিবেচনায় যে সকল শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে সেগুলো বাতিল করা। গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী গণ-অভ্যুত্থান দমনে গণহত্যা চালানো ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থনকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গত ৩ আগস্ট গণভবনে অনুষ্ঠিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং নীল দলের যে সকল শিক্ষক নেতা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর গণহত্যাকে সমর্থন ও তাকে উৎসাহিত করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে পরিচিতদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে শিক্ষক সমিতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পর্যায়ে কোনো নির্বাচন না করা। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত : ২ সমর্থককে বহিষ্কার করে যা বলল জামায়াত" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734962423-4cdf551601d6c7f9abbd061ebd247d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত : ২ সমর্থককে বহিষ্কার করে যা বলল জামায়াত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/23/1460567" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে বিগত দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন মেধা ও যোগ্যতাকে উপেক্ষা করে দলীয় বিবেচনায় বহু শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে এবং নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হলেও প্রশাসন এর কোনোটিই আমলে নেয়নি। </p> <p style="text-align:justify">এতে বলা হয়, বিগত আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চার পরিবেশকেও মারাত্মকভাবে বাধ্যগ্রস্ত করা হয়েছিল। ভিন্ন মতের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানি, নিপীড়ণ, নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনার নজির আমাদের জানা আছে। মিথ্যা অভিযোগ ও লঘু অপরাধে সাদা দল সমর্থক শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুতির একাধিক ঘটনার কথাও সকলেই জানেন। কিন্তু নীল দল সমর্থক শিক্ষকদের গুরু অপরাধেও শাস্তি না দিয়ে পুরষ্কৃত করার দৃষ্টান্তও রয়েছে। এসবের প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন বলে সাদা দল মনে করে।</p> <p style="text-align:justify">স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল সমর্থক শিক্ষকবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুদিন আগে ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখ তারা ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে খুনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও তার প্রতি সমর্থন জানান তারা। এর আগে নীল দল সংবাদ সম্মেলন করে ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে প্রকারান্তরে খুনি হাসিনাকে গণহত্যায় উৎসাহিত করে। শুধু তাই নয়, ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী সমর্থক কতিপয় শিক্ষক উপস্থিত থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন এবং তার গণহত্যাকে সমর্থন করেন। এসব কারণে সাদা দল ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।</p> <p style="text-align:justify">বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পর্যায়ের কোনো নির্বাচন না করা বলতে কোন কোন নির্বাচনকে বোঝানো হয়েছে জানতে চাইলে সাদা দলের কো-কনভেইনার অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘শুধু শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট যে নির্বাচন রয়েছে আমরা সেই নির্বাচনগুলোর কথা বলেছি। ছাত্র সংসদ, কর্মকর্তা কর্মচারী সংশ্লিষ্ট কোনো নির্বাচন নয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, সিনেট, সিন্ডিকেট, ডিন এসব নির্বাচন না করার কথা স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে।’</p>