<p style="text-align:justify">পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবস্থান ধর্মঘট করেছেন। আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে লিচুতলা চত্বরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন কর্মচারীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।</p> <p style="text-align:justify">অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে জোরালো বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার চাই। বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে যদি এ ধরনের সুবিধা থাকে, তবে আমরা কেন বঞ্চিত হবো? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হবে? আমরা আমাদের সন্তানদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যতদিন আমাদের দাবি পূরণ না হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে।</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরও বলেন, গত ২ জানুয়ারি কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। তারা সেখানে অশ্লীল গান ও নৃত্য পরিবেশন করেছে। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হোক।</p> <p style="text-align:justify">কৃষি প্রকল্পের সহকারী রেজিস্ট্রার মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলাম। সেই আন্দোলনের দাবি ছিল কোটার সংস্কার, বাতিল নয়। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই বৈষম্যের শিকার। দেশের অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ভর্তি কোটা বরাদ্দ রয়েছে। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন তা বাতিল করা হলো? আমাদের সন্তানদের এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।</p> <p style="text-align:justify">উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পোষ্য কোটার নীতিমালা পরিবর্তন করে। এতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য কোটা বাতিল করা হয় এবং সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য মাত্র এক শতাংশ কোটা রাখা হয়। এতে কর্মকর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এর জেরে শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং উপ-উপাচার্যসহ কর্মকর্তাদের প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের ঘোষণা দেন।</p>