<p style="text-align:justify">বগুড়া জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ১৮ মামলার আসামি আলহাজ শেখকে (৫৩) একটি তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে শহরের সূত্রাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপন করেন যুবলীগ নেতা আলহাজ শেখ। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে তথ্য আসে আলহাজ শেখ তার বাড়িতেই অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২টার দিকে সদর থানা ও ডিবি পুলিশে যৌথ টিম শহরের গোহাইল রোডে সূত্রাপুর এলাকায় আলহাজ শেখের বাসায় অভিযান চালান। আটতলা ভবনের প্রতিটি ইউনিট তল্লাশি করেও পুলিশ আলহাজ শেখকে খুঁজে পায় না। এক পর্যায়ে ভবনের ছাদে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় সিঁড়ি ঘরে দরজা খোলা। এতে পুলিশের সন্দেহ হয় আলহাজ শেখ ছাদ দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। সেই সন্দেহ থেকে পুলিশ পাশের আরেকটি আটতলা ভবনে তল্লাশি শুরু করে।</p> <p style="text-align:justify">একপর্যায়ে পুলিশ দেখতে পারে আটতলায় জনৈক বাবুর একটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের মালিককে ফোন করলে তিনি জানান, বাসায় তালা দিয়ে তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। একপর্যায় পুলিশ ওই ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে তল্লাশি করতে চাইলে ফ্ল্যাটের মালিক চাবি পৌঁছে দেন। পরে রাত তিনটার দিকে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট খুলে বাথরুম থেকে আলহাজ শেখকে গ্রেপ্তার করে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ আরো জানায়, গ্রেপ্তারের পর আলহাজ শেখ পুলিশকে জানায়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">সদর থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর আলহাজ শেখকে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাসহ ১৮টি মামলা হয় আলহাজ শেখের নামে। এছাড়াও আলহাজ শেখের নামে পূর্বের আরো মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।</p>