<p>রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হাট-বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন বলে এমন সংকট। </p> <p>গঙ্গাচড়া, বেতগাড়ী, গজঘন্টাসহ বিভিন্ন এলাকায় বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া না গেলেও বাজার ঘুরে জানা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে ১৬৮-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে পাম তেল খুচরা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগেও লিটারপ্রতি অন্তত ৫-১২ টাকা কম ছিল।</p> <p>বেতগাড়ী বাজারে শেরপুর পুটিমারি গ্রামের মতিন মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'সয়াবিন তেলের বোতল কোথাও পাইলাম না তাই খোলা তেল নিলাম।'</p> <p>সদর ইউনিয়নের ভ্যানচালক মামুন মিয়া বলেন, 'কয়দিন থাকি সউগ জিনিসের যে দাম। এ্যালা ফির সয়াবিন ত্যালের ও দাম বাড়িল। হামার গরিব মাইনেষের ভাল নাই।'</p> <p>কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী সাহানুর রহমান সঙ্গে গঙ্গাচড়া বাজারে কথা হলে তিনি বলেন, 'কয়েকটা দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল খুঁজে পাইলাম না। কোনো দোকানে দু-একটা আছে কিন্তু গায়ের দামের চেয়ে বেশি চাচ্ছে। শুনছি, কিছু দোকানদার নাকি বোতলজাত তেল খোলার সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করছে।' </p> <p>গঙ্গাচড়া বাজারের গালামাল ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন, 'কয়েকদিন থাকি সাপ্লাই কম। তারপরেও যদি কিছু পাওয়া যায় সেটা আবার গায়ের রেটে আমাদেরই কিনতে হয়। তাহলে আমরা বিক্রি করব কিভাবে?'</p> <p>নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'</p>