<p>দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল যেন কমছেই না। সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে শুক্রবারও (২৭ ডিসেম্বর) প্রচুর পর্যটকের ভিড় রয়েছে সৈকতসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে। প্রতিদিন ৬টি জাহাজে করে অন্তত দুই হাজার পর্যটক কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসছে এবং যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ কেন্দ্রিক রয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। তবে গত সপ্তাহের টানা ৪ দিনের ছুটির মতো ভিড় এখন নেই। অন্তত আগামী ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইট পর্যন্ত কক্সবাজার কেন্দ্রিক পর্যটকের স্রোত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা।</p> <p>সাপ্তাহিক অন্যান্য ছুটির দিনের মতো আজও সকাল থেকে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে ভিড় করতে শুরু করে ভ্রমণকারীরা। দুপুর নাগাদ সৈকতের হিমছড়ি থেকে লাবনী পয়েন্ট এলাকা পর্যন্ত হাজার হাজার পর্যটকে ভরে যায়। এখন পৌষ মাস হলেও শীতের তেমন তীব্রতা নেই। এ কারণে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি জমজমাট থাকে সৈকত। বর্ষায় সাগরের পানি ঘোলাটে থাকলেও এখন পানি নীল এবং স্বচ্ছ হওয়ায় সৈকত স্নানের সময়টা দারুণভাবে উপভোগ করছেন ভ্রমণকারীরা।</p> <p>নরসিংদী থেকে বেড়াতে আসা একটি বেসরকারি কম্পানির চাকরিজীবী হৃদয় হাসান সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আজ দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন- ‘যে যাই বলুক ভাই কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা হয় না। বিনোদন আর অবসর কাটানোর স্থানটিই হচ্ছে কক্সবাজার। কেননা কক্সবাজারেই রয়েছে সাগরের সঙ্গে পাহাড়ও। চাঁদপুর থেকে রায়হান ও ইমরান এসেছেন ৬০ জনের একটি ভ্রমণকারী দল নিয়ে। তারা সবাই গার্মেন্টকর্মী। রায়হান ও ইমরান জানান, কক্সবাজার সাগর পাড়ের আবাসিক হোটেল আর খাবার হোটেলগুলো যদি থাকা ও খাবারে সহনীয় দাম নিত তাহলে সারা বছরই এখানে পর্যটকে গিজ গিজ করত।</p> <p>কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন- ‘কক্সবাজার হচ্ছে বিশ্ববাসীর নানার বাড়ি। সারা বিশ্বের মানুষই এখানে ফি. বছর বলুন আর ফি. মৌসুম বলুন বেড়াতে আসেন। অথচ আমরা যারা পর্যটনসেবী বা ব্যবসায়ী এসব ভ্রমণকারীদের চাহিদা মাফিক সেবা দিতে পারছি না।’ তিনি বলেন, এখানে যারা বেড়াতে আসেন তারা অতিথি। তাদের মন ভরে আতিথেয়তা দেওয়ার দায়িত্ব পর্যটন ব্যবসায়ীদের। এজন্য পর্যটন ব্যবসায় নামার আগে প্রশিক্ষণসহ পর্যটন সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা দরকার। </p> <p>তিনি বলেন, কিন্তু অনেকেরই ক্ষেত্রে তা না থাকায় পর্যটন প্রসার হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ট্যুরিজম বোর্ডসহ সরকারি সহযোগিতা দরকার বলে তিনি মনে করেন। গত দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ১২/১৩ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে গেছেন। এ সপ্তাহে পর্যটকের ভিড় কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত এমনকি পুরো জানুয়ারি মাস পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে।</p> <p>কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, কক্সবাজার সৈকত, ইনানী ও সেন্টমার্টিনসহ তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে ১৪০ জন লোকবল নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রতিনিয়িত পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। মাঝে-মধ্যে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকলেও বড় ধরনের তেমন অপরাধ কর্মকাণ্ড সৈকতে নেই। </p>