<p>রংপুরের বাজারগুলোতে দাম কমে এসেছে শীতকালীন সবজির। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজি মিলছে ১০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, এ বছর সবজির ফলন ভালো হয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমেছে।</p> <p>আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর ) রংপুর সিটি বাজার, ধাপবাজার, কামালকাছনা বাজার, লালবাগ, চকবাজার ও মর্ডান বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সবজির মধ্যে প্রতি পিস বাঁধাকপি ১৫ টাকা ও ফুলকপি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের বেগুন ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। মূলা ১০ টাকা কেজিতে আর মিষ্টিকুমড়া মানভেদে ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।</p> <p>এ ছাড়া কাঁচামরিচের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে নেমেছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে। গাজর ৩৫-৪০ টাকা এবং টমেটো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।</p> <p>রংপুর সিটি বাজারে সবজি কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে সবজির দাম প্রতিবছরই কমে। এ বছর আরো সহজলভ্য হয়েছে। এখন ১০০ টাকার বাজার করলেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে। আগে ৩০০-৪০০ টাকার বাজার করলেও এতগুলো পাওয়া যেত না। সব সবজির দাম কমতে শুরু করছে।’</p> <p>রংপুর পৌর বাজারে সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছর শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে। আমরাও কম দামে কৃষকদের থেকে নিতে পারছি। এর ফলে অল্প লাভ করেই বিক্রি করতে পারছি। সবজির দাম আরো কমতে পারে।</p> <p>রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার চাষি রেজাউল ইসলাম জানান, তিন বিঘা জমিতে শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি, ফুলকপি, শসা, টমেটো, লাউ ও শাক সবজির আবাদ করে তার লাভ হবে বছরে ৩ লাখ টাকা। তার  খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। এ কারণে এ বছর গত বছরের চেয়ে এক বিঘা জমিতে বেশি সবজি চাষ করেন।</p> <p>মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে এবার তার ভালো লাভ হবে। সবজি চাষের বিপরীতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, তার বিক্রি হবে ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা সবজি। তার জমিতে সিম, লাউ, বাঁধাকপি ও বেগুন চাষ করছেন তিনি।</p>