<p>চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম অলিনগর মহাজন পাড়ার মিন্টু মিয়ার বসতঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।</p> <p>খবর পেয়ে বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ও স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আগুনে বসতঘর ছাড়াও গোয়ালঘরে থাকা ২টি গরুও পুড়ে মারা যায়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান ভুক্তভোগী মিন্টু মিয়া।</p> <p>ভুক্তভোগী মিন্টু মিয়া জানান, আমার ভাই মীরু এবং আমার মামাতো ভাই সুমনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ৩ মাস আগে জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগও দায়ের করি। সামাজিকভাবে একাধিকবার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছিল। গত কয়েকদিন আগে তারা আমার জায়গায় টিনের বেড়াও দিয়েছিল। তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তারাই আমার ঘরে আগুন লাগিয়েছে।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম জানান, গত ৩ মাস আগে মিন্টু মিয়া জায়গা-জমি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বললে তারা কোনো পক্ষ আসে নাই। হুমকি-ধমকির বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি ওই অভিযোগের বাদী মিন্টু মিয়া। আগুন লাগার বিষয়ে যদি অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>বারইয়ারহাট ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তিতাস বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তারা খড়কুটা দিয়ে রান্না করে। এতে করে রান্না ঘরের চুলার আগুন থেকেই আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।</p>