দেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক অধ্যায় কোনো শাসকের নেই : মামুনুল হক

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
দেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক অধ্যায় কোনো শাসকের নেই : মামুনুল হক
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক অধ্যায় কোনো শাসকের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। সে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগকে ধ্বংস করেছে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার ঐতিহাসিক টাউনহল মাঠে খেলাফিত মজলিস কুমিল্লা জেলা ও মহানগর আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আবার যারা শেখ হাসিনা এবং তার বাকশালী ফ্যাসিবাদীকে পুনর্বাসন করবার চেষ্টা করবে, এ দেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের দুই হাজার দামাল সন্তানের রক্ত ঝরিয়েছে। প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত লাখ লাখ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিভাজনের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশকে দুই ভাগে ভাগ করেছিল। যারা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন তারা মুক্তিযোদ্ধা। আর যারা শেখ হাসিনার বিরাগভাজন তারাই রাজাকার। এই রাজাকার রাজাকার খেলতে গিয়ে দেশের চার কোটি ছাত্র-জনতাকে অপমান করেছিল।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া মাদরাসা ও কওমি মাদরাসার ছাত্র সব ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ল। স্লোগান তুলল আমি কে, তুমি কে রাজাকার রাজাকার। তারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে।’

গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আফজালুর রহমা, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে, সেই সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে, সেই সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আটক হওয়া সেই সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আমিনুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। শুক্রবার (২৮ মার্চ) জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মাসুদুল ইসলাম মুন্না ও সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান কামু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় আমিনুল।

পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন তারা।


বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় মো. আমিনুল ইসলামকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মাসুদুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‌‘দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।

আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভবিষ্যতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল রহমান বলেন, ‘আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শুক্রবার রাতে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ করার সময় এলাকাবাসী মো. আমিনুল ইসলামকে আটক করে।

পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও সদর থানায় আটক রয়েছেন।
 

মন্তব্য

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মামলা

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মামলা
সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম

দিনাজপুরে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের নাম দিয়ে আরও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাতে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওলিউর রহমান নয়ন। তিনি দিনাজপুর শহরে মান্সিপাড়া মহল্লার আব্দুস সালাম তালুকদারের ছেলে।

দিনাজপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার প্রায় ৯ বছর তিন মাস পর বাদী এই মামলাটি দায়ের করলেন।

মামলার আসামিরা হলেন— সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি আবু ইবনে রজবী, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা রশিদুল ইসলাম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাসুদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার শাহ আলম, ধীমান সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুক্তি বাবু ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী সৈয়দা সেলিনা মমতাজসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ঈদযাত্রা : অনলাইনে টিকিট মেলায় বাসেও স্বস্তির যাত্রা

ঈদযাত্রা : অনলাইনে টিকিট মেলায় বাসেও স্বস্তির যাত্রা

 

বাদী তার মামলায় অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি শহরে মুন্সিপাড়া লুৎফুন্নেসা টাওয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রিজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন।

ওই উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আসামিরা তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

সে কারণে প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তার প্রতিষ্ঠানে এসে হুমকি দেয় এবং ইকবালুর রহিমকে বাদ দিয়ে অন্য নেতাকে দিয়ে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করায় তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে বাদী ওলিউলুর রহমান নয়নকে আসামিদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় তাকে অপহরণ করে আসামি আবু ইবনে রজব সদর উপজেলার বাঙ্গিবেচা ঘাটের পাশে তার রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখেন। পরে আসামিদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বাদী ওই দিন বিকেলে তার স্কুলের কর্মচারী সাক্ষী মিজানুর রহমান ও মিজানুর রহমান জুয়েলের মাধ্যমে আসামি রশিদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ধীমান সরকারকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে পরিশোধ করেন।

আসামিরা চাঁদা পেয়ে অবশিষ্ট ৭০ লাখ টাকা স্বল্প সময়ের দেয়ার অঙ্গীকারে ওলিউরকে ছেড়ে দেয়।

ওলিউর তার মামলায় অভিযোগ করেন, হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রভাবে পরবর্তীতে আসামি যুব মহিলা লীগ নেত্রী সৈয়দা সেলিনা মমতাজ বাদী হয়ে তার কন্যাকে ভিকটিম সাজিয়ে অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা আদায় করেন। একটি নিয়মিত মামলা এবং অপরটি নারী নির্যাতন আইনে। এই মামলা দুটি অনেক অর্থের বিনিময়ে আপোসে নিস্পত্তি করা হয়েছে। এরপর অলিউর রহমান নয়ন নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান। বর্তমানে দেশে মামলা দায়ের ও বিচারের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার রাতে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মন্তব্য

দাফনের আড়াই মাস পর বাড়ি ফিরল কিশোর!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাফনের আড়াই মাস পর বাড়ি ফিরল কিশোর!
সংগৃহীত ছবি

তিন মাস আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় তোফাজ্জল হোসেন তুফান (১৫) নামের এক কিশোর। পরে একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন মনে করে অজ্ঞাতনামা লাশকে নিজেদের ছেলে মনে করে দাফন করে তুফানের পরিবার। 

মরদেহ দাফনের তিন মাস পর শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে তুফান। তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন গ্রামবাসী।

আরো পড়ুন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

তুফানের বাবা আবু সাঈদ জানান, প্রায় তিন মাস আগে তুফান বাড়ির কাউকে কিছু না বলে অজানা উদ্দেশে চলে যায়। আড়াই মাস আগে সংবাদ পান গাইবান্ধায় এক কিশোর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ওই কিশোরের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তুফানের বাবাসহ গ্রামের কয়েকজন মিলে গাইবান্ধায় যান। মরদেহের সঙ্গে সবাই তুফানের চেহারার মিল পান।

সেখানে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ আলমডাঙ্গায় গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। বৈদ্যনাথপুর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সাঈদ আরো জানান, তুফানের মা সে সময় দাবি করেছিলেন মরদেহটি তার সন্তানের নয়। চেহারায় মিল থাকলেও সেটি তুফানের মরদেহ নয়।

তুফানের কোমরে কালো রঙের একটি দাগ ছিল। কিন্তু মরদেহের কোমরে সেই দাগ না থাকায় তার মা সন্তানের নয় বলে জানিয়েছিলেন।

তুফান জানায়, পরিবারের কাউকে না জানিয়ে সে একাই কাজের সন্ধানে ঢাকার শ্যামলী এলাকায় চলে যায়। সেখানেই দিনমজুরের কাজ করতে থাকে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে ফিরে আসে সে।

এরপর জানতে পারে তার মত চেহারার একজনকে পরিবারের লোকজন মৃত ভেবে দাফন করেন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। ছেলেটি জীবিত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে এসেছে আজ সকালে। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নানা বাড়ি যাওয়ার কথা মীমের, ৭ ঘণ্টা পর লাশ মিলল হাসপাতালে

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
নানা বাড়ি যাওয়ার কথা মীমের, ৭ ঘণ্টা পর লাশ মিলল হাসপাতালে
সংগৃহীত ছবি

নানার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হওয়ার ৭ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর লাশ মিলেছে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে। কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতুল মীম (১৪) জাফরগঞ্জ গঙ্গানগর এলাকায় বসবাসকারী ডিস লাইন কর্মচারী সবুজ মিয়ার বড় মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মাজেদা আহসান মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

তার বাবা সবুজ মিয়া জাফরগঞ্জ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের ভাই হেলালের ডিস ও ওয়াইফাই লাইনের কর্মচারী।

আরো পড়ুন
ঋণের কারণে স্বামীকে হারানো তাসলিমার ঘরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

ঋণের কারণে স্বামীকে হারানো তাসলিমার ঘরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঈদ উপহার

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মীমকে পাশের ছয়গুরা গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে শাহেদ (১৬) নামে এক কিশোর প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় জান্নাতুল মীম গঙ্গানগর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসার কথা বলে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে ছয়গুরা গ্রামে শাহেদের বাড়িতে চলে যায়।

শাহেদকে বিয়ে করতে চাপ প্রয়োগ করে। শাহেদ এতে রাজি না হওয়ায় মীম আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মীম তার সাথে রাখা ঘুমের ৩০টি সেবন করে ফেলে। মীম অসুস্থ হয়ে পড়লে শাহেদ তার বন্ধুদের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৫টায় মারা যায় মীম।

আরো পড়ুন
আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

 

মীমের বাবা সবুজ মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। দুপুরে শাহেদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংই তার মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে।

এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, মেয়েটি প্রেমের টানে তার প্রেমিকের বাড়িতে যেয়ে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল, রাজি না হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে।

বয়সে দুইজনই কিশোর-কিশোরী। পরে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। নিহতের বাবার দাবি তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে বিষ ঠেলে দিয়েছে।

আরো পড়ুন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালে ছাত্রদল নেতাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

তিনি আরো বলেন, কোতয়ালী থানা পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। লাশ ময়নাতদন্তেনর জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট আসার পরই সঠিকটা বলা যাবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ