সেনা সদস্যকে অপহরণের অভিযোগে বরিশালে দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির সদস্যসচিবসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন অপহরণ হওয়া সেনা সদস্যের চাচা আ. মতিন কাজী। অপহরণ হওয়া সেনা সদস্যের নাম মো. জাফর। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মহনপুর গ্রামের মওকত আলীর ছেলে।
আরো পড়ুন
শেখ মুজিবের জন্য দোয়া চেয়ে চিঠি, শাস্তি পেলেন ২ কর্মকর্তা
জানা যায়, গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে চাচা আ. মতিন কাজীর সঙ্গে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ওই সেনা সদস্য বালুমহল ইজারার টেন্ডার জমা দিতে গেলে তাকে অপহরণ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে সেনাবাহিনী তাকে রাতে নগরীর লঞ্চঘাট এলাকার রিচমার্ট আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এবং মামলার নামধারী আসামি হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নুর হোসেন সুজন ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণের পরিকল্পনাকারী পুলিশ গ্রেপ্তার
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রাড়ী, জেলা ছাত্রদলের সহসভপতি বেলায়েত।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘সেনা সদস্যকে অপহরণ, চাদাবাজী ও লুটপাটের অভিযোগে কোতয়ালী থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে তার চাচা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নুর হোসেন সুজন ও হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সদস্য ইমরান খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অপর আসামিদের আটকে অভিযান চলছে।
’
বরিশালে জেলার ৮টি বালুমহল ইজারার দরপত্র জমাদানের শেষ সময় ছিল গতকাল সোমবার। এই বালুমহলের মধ্যে হিজলার বালুমহলটি ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দেওয়ান মো. মনির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। বালুমহলের ইজারার দরপত্র যাতে অন্য কেউ জমা দিতে না পারে সেজন্য দেওয়ান মো. মনির হোসেনের নেতৃতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রাড়ী, জেলা ছাত্রদলের সহসভপতি বেলায়েত সোমবার বিভাগীয়কমিশনার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
আরো পড়ুন
পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল
গতকাল সোমবার বালুমহল ইজারার দরপত্র জমাদানকালে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে থেকে সেনা সদস্য জাফরকে ধরে নিয়ে যান তারা। এরপর জাফরকে তারা লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল রিচমার্টে আটকে রাখেন।
সেনা সদস্য জাফরের চাচা আ. মতিন কাজী বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অবহিত করলে তারা অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করে।