ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করবে ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করবে ডিএনসিসি
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের আগেই রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

আজ শনিবার সকালে মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তার চলমান উন্নয়নকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার একটি মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তা এবং মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি রাস্তা। অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন এই রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

বেশিরভাগ বড় বড় রাস্তায় চললে মনে হতো আমরা কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তায় চলছি। একমাস আগেও এই দুটি রাস্তা যারা ব্যবহার করেছেন তারা অনেক কষ্ট করেছেন। এই দুটি রাস্তায় চলাচল করে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন, অনেকের গাড়ি ভেঙেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরো টিমকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রাস্তা দুটি এই মাসে রোজার মধ্যেই সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেব।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। ঈদের আগেই ৬০ ফিটের রাস্তার কাজ শেষ করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে।’

ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘কাজ করতে যেয়ে আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। ৬০ ফিট রাস্তার ৮টি পয়েন্টে রাস্তার পাশে বাড়ির মালিক আমাদের ফুটপাত করতে দিচ্ছে না।

আমাদের কর্মীদের কনস্ট্রাকশন করতে দিচ্ছে না। কোর্টের রায়ের ভয় দেখাচ্ছেন। কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। অবৈধভাবে দোকান দিয়ে রেখেছে, ময়লা ফেলে রেখেছে।’

বাধা প্রদানকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘আমরা জনগণকে চলাচলের সুবিধা দিতে চাই, কিন্তু কেউ যদি সরকারি কাজে বেআইনিভাবে বাধা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি কাজে, সিটি করপোরেশনের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের বাড়ির প্রকৃতি যাচাই করছি। তারা অবৈধভাবে আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করছে। গত বিশ বছর ধরে বাণিজ্যিক হারে ট্যাক্স দিয়েছে কিনা, সেটা ধরব। তাদের প্ল্যান তলব করব, রিভিউ করে দেখব অনুমতি নেওয়া আছে কিনা। প্ল্যানের বাহিরে অবৈধ বিল্ডিং আমরা ভেঙে দেব। আমরা কোনো ধরনের ছাড় দেব না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি, দখলদারদের জন্য নয়। সরকারি রাস্তা দখল করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা চলবে না। আগামী ২৩ তারিখে আমি সরেজমিনে রাস্তায় থাকব, ৬০ ফিটের ৮টি পয়েন্টে। আমি নিজে থেকে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধান করব।’

প্রশাসক বলেন, ‘আমরা অনেক জায়গায় দেখেছি ফুটপাত দখল। অনেক গ্যারেজ মালিক ফুটপাত ও রাস্তা ব্যবহার করে মোটরসাইকেল ও গাড়ি ওয়াশ করছে। অনেক দোকানদার দোকানের সীমানার বাইরে গিয়ে ফুটপাত ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি আপনারা ফুটপাত দখলমুক্ত করে দিন। ঈদের পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করব, যেসব দোকানদার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করবে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেব, দোকান সিলগালা করে দেব।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের আগে ডিএনসিসি এলাকায় যতগুলো রাস্তা কাটা ও কাজ চলছে সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল অনেক কম। রাতের আঁধারেও আমাদের কর্মীরা কাজ করছে, কারণ আমরা বসে থাকার জন্য আসিনি, বরং পরিবর্তন আনার জন্য এসেছি।’

৬০ ফিট রাস্তার চলমান কাজ পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে শেওড়াপাড়া আনন্দবাজার বগার মার খাল পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি রুপনগর দুয়ারীপাড়া খাল উদ্ধার এবং পরিচ্ছন্নতা ও খালের পাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে পরিদর্শন করেন এবং উত্তর পল্লবী বাড়ি ও ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

পরিদর্শনে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে। কারণ হিসেব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে স্টেশনে প্রবেশের সময় একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও এখন ঢাকা স্টেশনের আপ ও ডাউন দুটি লাইনই সচল হয়েছে।

বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, দুপুর ২টায় ঢাকা স্টেশনের আপ ও ডাউন লাইন ক্লিয়ার হয়েছে। এখন দুই লাইনেই ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে।

দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সময় ডাউন লাইনে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্টেশন এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরবর্তীকালে দুপুর ১টার পর শুধু আপ লাইনে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে স্টেশনে থাকা ট্রেনগুলো ছাড়তে বিলম্ব হয়।

স্টেশনের শিডিউল বোর্ডে বিলম্বের তালিকায় রয়েছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী কমিউটার, চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আইন প্রণয়নের আগে আলোচনার আহ্বান ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইন প্রণয়নের আগে আলোচনার আহ্বান ধর্ষণ আইন সংস্কার জোটের
সংগৃহীত ছবি

ধর্ষণ ও নির্যাতন বিরোধী আইন প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তি অথবা বিশেষজ্ঞদের সাথে অংশীজন হিসেবে পূর্ণাঙ্গ ও গভীর আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট (রেপ ল’ রিফর্ম কোয়ালিশন)।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘ধর্ষণ ও নির্যাতন: আইনগত সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি উপদেষ্টা এডভোকেট সালমা আলী, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সদস্য ড. মাহীন সুলতান এবং ব্লাস্ট এর আইন উপদেষ্টা এস এম রেজাউল করিম।

একেক আইনে ভিকটিমের বয়সে মাপকাঠি ক্ষেত্রভেদে একেক রকম না রেখে বয়স নির্বিশেষে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করতে হবে উল্লেখ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, এসব ক্ষেত্রে মিথ্যা মামলা তো হয়েই থাকে, সেই সাথে অনেক মামলা আপস হয় না হলে টেকনিক্যাল কারণে আর চালানো হয় না। অনেকে আদালতে আসেন না। এসকল জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করার দরকার এবং এজন্য এ বিষয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়া উচিত।

একটি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আইন পরিবর্তন করতে হবে- এমন ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেইসঙ্গে, প্রণীত আইনের শাস্তি কতটা কঠোর করা যায় সেটার বদলে শাস্তি কতটা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে সেটিকেই নির্ধারক হিসেবে বেছে নিতে হবে।

প্রয়োজনীয় সংশোধনের সাথে সাথে সমাজকেও সচেতন করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে ধর্ষণের মত অপরাধ করে সে এই সমাজের বাইরের কেউ নয়। বেড়ে ওঠার সাথে সাথে এসকল সামাজিক ব্যাধির বিষয় সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে গড়ে তোলার দায় আমাদের।

জনগণ, আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ও বিচার বিভাগ যদি সচেষ্ট হয়, সুদিন আসবেই।

অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংস্কারের অবশ্যই দরকার আছে। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকারই আসবেন তাদের সামাজিকভাবে মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টির নিশ্চয়তা দিতেই হবে, এবং এভাবেই এ ধরনের অপরাধ এমনকি বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতনের মত বিষয়গুলো প্রতিরোধ করা যাবে। একটা মেয়ের বিয়ের বয়স কত, সে শিশুর সংজ্ঞায় পড়ে কিনা, তার সম্মতি দেওয়ার সক্ষমতা কতটুকু, শিশুদের প্রতি বিকৃত যৌন আকাঙ্ক্ষা অথবা ‘পিডোফাইল’ এর ধারণা আমাদের দেশে নেই। এ বিষয়গুলো সংস্কারে তুলে আনতে বিশদ আলোচনা হওয়া দরকার।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মাহীন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে তারা এ ব্যাপারে ভাবছেন, কাজ করছেন এবং এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। তবে একটি আইন প্রণয়ন করার সময় মনে রাখতে হবে যে, সেই আইনটি এমনভাবে করতে হবে যেন তার দ্বারা আমরা দীর্ঘদিন সুবিচার পেতে পারি। তাই অংশীদারদের সাথে সময় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করে আইন প্রণয়ন করা উচিত বলে আমি মনে করি।

আলোচনার শুরুতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া বিষয়ক সুপারিশমালা তুলে ধরেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ব্লাস্টের লিগ্যাল স্পেশালিস্ট অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার ও ব্লাস্টের সিনিয়র গবেষণা কর্মকর্তা ফাহাদ বিন সিদ্দিক।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নাম ফিরে পেল ‘জিয়া উদ্যান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাম ফিরে পেল ‘জিয়া উদ্যান’

রাজধানীর শেরেবাংলানগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পুনর্বহাল করা হয়েছে।

সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ১২.৩ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অবস্থিত ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’-এর পরিবর্তিত নামকরণ ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হলো।

এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘জিয়া উদ্যান’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ রাখা হয়।

তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্বের নাম ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হয়েছে।

রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান এই জিয়া উদ্যান, যা জাতীয় সংসদ ভবনের পাশেই ৭৪ একর জমির ওপর বিস্তৃত। এখানে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি মাজার কমপ্লেক্স। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ভ্রমণ ও জিয়ারত করতে আসেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বার্ন ইনস্টিটিউটের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বার্ন ইনস্টিটিউটের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে চিকিৎসাধীন এক রোগী মারা গেছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নাম পলাশ বিশ্বাস (৩২)। তিনি একটি গার্মেন্টে কালার ওয়াশিং প্লান্ট সেকশনে কর্মরত  ছিলেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।
 
নিহতের ছোট ভাই অলক বিশ্বাস জানিয়েছেন, তার ভাই পলাশ বিশ্বাস টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টের কালার ওয়াশিং প্লান্টে কাজ করার সময়ে যেকোনোভাবে তার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তাকে গত ৬ মার্চ বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত দুই দিন আগে তাকে এইচ ডি-ইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। 

আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

 

তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার ভাইকে দেখে রেস্টে যান তিনি। পরবর্তীতে ভোরে সেখানে কর্তব্যরত নার্সরা পলাশ বিশ্বাস বেডে দেখতে না পেয়ে তার ভাইকে জানান।

পরে খোঁজখবর নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে চানখাঁরপুলসংলগ্ন হাসপাতাল ভবনের কম্পাউন্ডের ভেতরে পলাশ বিশ্বাসের মৃতদেহের খোঁজ পায়। 

পরে সিসিটিভি দেখে জানতে পারেন। লোকটি প্রথমে এইচডিইউ থেকে বের হয়ে তৃত্বীয় তলায় যান। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে একটি লিফটে করে ১৫ তলার ছাদে চলে যান। আর সেখান থেকে পড়ে তিনি মারা যান।

 

মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর শিবপুর গ্রামের জয়ন্ত বিশ্বাসের ছেলে শিমুল বিশ্বাস।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ