<p>চলতি (ডিসেম্বর) মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে পারে। সময় গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে জেঁকে বসতে পারে তীব্র শীত। মাসের দ্বিতীয় ভাগে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চালে এক থেকে দুইটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া এ মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। </p> <p>আজ রবিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে। সেখানে নভেম্বর মাসের আবহাওয়ার বিশ্লেষণ ও ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস তুলে ধরেন আবহাওয়াবিদরা। </p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা রবিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'স্বাভাবিকভাবেই ডিসেম্বরে তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে। মূলত ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও শ্রীমঙ্গল এবং পশ্চিমাঞ্চলের যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।' </p> <p>ডিসেম্বরের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, এ মাসে দেশে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমলেও তাও থাকতে পারে স্বাভাবিক সীমায়। দেশের নদী অববাহিকায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যান্য অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। </p> <p><strong>ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষীণ সম্ভাবনা:</strong></p> <p>গত অক্টোবরেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ২৯ নভেম্বর সাগরে সৃষ্টি হয় আরেকটি ঘূর্ণিঝড় 'ফিনজাল'। দুটি ঘূর্ণিঝড়েরই গন্তব্য ছিল ভারতের উপকূল। ফিনজালের তেমন কোনো প্রভাব না থাকলেও দানার প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে দেশে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। </p> <p>ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ মাসেও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় এক থেকে দুইটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। </p> <p>এ বিষয়ে কাজী জেবুন্নেছা বলেন, 'জলবায়ু অনুযায়ী বছরের এই সময়টায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এগুলো বেশিরভাগই নিম্নচাপ হয়ে শেষ হয়ে যায়। কখনো কখনো তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও সে হার অনেক কম। ফলে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। হলেও তা বাংলাদেশের দিকে আসার তেমন আশঙ্কা নেই।'</p> <p>আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তা শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে তা মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি থাকলে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নামলে তখন তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। </p>