ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশে ২০২৪ সালে জলবায়ু সংকটে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা ব্যাহত : ইউনিসেফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে জলবায়ু সংকটে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা ব্যাহত : ইউনিসেফ
ছবি : ইউনিসেফের ওয়েবসাইট থেকে

২০২৪ সালে বাংলাদেশে জলবায়ু সংকটে তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা ব্যাহত হয়েছে। জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বে যেসব দেশের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেগুলোর একটি বাংলাদেশ। তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো জলবায়ুজনিত সমস্যার কারণে অনেক শিশু আট সপ্তাহ (দুই মাস) পর্যন্ত লেখাপড়া করতে পারে না। জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফের এক বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে।

ঢাকায় ইউনিসেফ কার্যালয় আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘লার্নিং ইন্টারাপটেড : গ্লোবাল স্ন্যাপশট অব ক্লাইমেট-রিলেটেড স্কুল ডিসরাপশন ইন ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ।

এতে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য চরম আবহাওয়াজনিত ঘটনাবলির কারণে দফায় দফায় স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

ইউনিসেফ জানায়, সারা বিশ্বে ২০২৪ সালে তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যা ও খরার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে ৭৭টি দেশের অন্তত ২৪ কোটি ৭০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ছিল দক্ষিণ এশিয়া।

আরো পড়ুন
ভাতা বন্ধ, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি

ভাতা বন্ধ, মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি

 

ইউনিসেফ বলেছে, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের এপ্রিল ও মেতে দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ শিশুদের পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে। এর ফলে সারা দেশে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলে ছুটি দিতে বাধ্য হয়। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বেশ কিছু জেলায় শিশুদের স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

এরপর জুনে তীব্র বন্যা দেখা দেয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আবারও শিশুদের শিক্ষার ওপর। বন্যায় সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যা ছিল ৭০ লাখ।

ইউনিসেফ জানায়, বন্যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সিলেট জেলায়।

তীব্র বন্যায় সেখানে ব্যাপকভাবে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়েছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের হিসেবে গত বছর ১২ মাসের মধ্যে জলবায়ুজনিত কারণে সিলেট অঞ্চলে শিশুরা সব মিলিয়ে আট সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আর খুলনা, চট্টগ্রাম ও রংপুর—প্রতিটি জেলায় শিশুরা ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত ‘স্কুল দিবস’ (যে দিনগুলোতে স্কুলে পাঠ কার্যক্রম চলার কথা) হারিয়েছে।

আরো পড়ুন
নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আসিফ নজরুল বললেন, ‘সবাই ভালো আছি’

নিজেদের অবস্থান জানিয়ে আসিফ নজরুল বললেন, ‘সবাই ভালো আছি’

 

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘চরম আবহাওয়াজতি ঘটনাবলির তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা বারবার আঘাত হানার প্রবণতাও বেড়েছে। জলবায়ু সংকট এটাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এগুলোর সামগ্রিক প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের শিশুদের শিক্ষার ওপর এবং শিশুরা তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, চরম তাপমাত্রা ও অন্যান্য জলবায়ুজনিত সংকট শুধু শিশুদের স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রমই ব্যাহত করে না, বরং এর কারণে শিশুদের মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বড় সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকলে শিশুদের- বিশেষ করে কন্যাশিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সুযোগ বেড়ে যায়, বেড়ে যায় পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে শিশুবিবাহের ঝুঁকির হার।

আরো পড়ুন
কাদের সঙ্গে জোট করবে জামায়াত, জানালেন নায়েবে আমির

কাদের সঙ্গে জোট করবে জামায়াত, জানালেন নায়েবে আমির

 


 
ইউনিসেফের চিলড্রেন’স ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স (শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক) অনুযায়ী, জলবায়ু ও পরিবেশগত সংকটের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা। এসব নিয়মিত দুর্যোগের কারণে দেশে ‘শিখন দারিদ্র্য’ (দশ বছর বয়সেও সহজ কোন লেখা পড়তে না পারলে অথবা পড়ে বুঝতে না পারলে শিক্ষার্থীর সেই অবস্থাকে শিখন দারিদ্র্য বলে) দিন দিন আরো ব্যাপক হয়ে উঠছে। দেখা গেছে, স্কুলগামী শিশুদের প্রতি দুইজনে একজন তার ক্লাস অনুযায়ী যতটুকু পড়তে পারার কথা তা পারছে না। আবার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পরেও দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী মৌলিক গণনা পারে না। উপরন্তু, অনেক তুখোড় মেধাবী মেয়ে শিশুবিবাহের শিকার হয়ে স্কুল থেকে অকালে ঝড়ে পড়ছে। বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি শিশুবিবাহ রয়েছে, সেসব দেশের তালিকায় প্রথম ১০টির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি রানা  বলেন, বাংলাদেশে শিশুরা পরস্পর সম্পর্কিত দুটি সংকট- জলবায়ু পরিবর্তন ও ক্রমবর্ধমান শিখন দারিদ্র্য এর সম্মুখভাগে রয়েছে। এর ফলে তাদের টিকে থাকা ও ভবিষ্যৎ দুটোই হুমকির মুখে পড়ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভূমিকম্প-পরবর্তী মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম চলমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভূমিকম্প-পরবর্তী মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম চলমান
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারে সাম্প্রতিক শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে।

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে প্রেরিত এই বিশেষ দল উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে অংশগ্রহণ করছে।

গতকাল মায়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দলকে মায়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল এবং আজ মায়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধসে পড়া ভবনে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চিকিৎসা সহায়তা দল আজ নেপিদো শহরের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট যবুথিরি টাউনশিপ হাসপাতাল, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে। আজ মোট ৫০ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং তিনটি জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে আহত রোগীদের মধ্যে ১৫টি জটিল অস্ত্রোপচারসহ সর্বমোট ৪৫৭ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বাধীন উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম আগামীকালও চলমান থাকবে। 

গত ২৮ মার্চ মায়ানমারে সংঘটিত ভূমিকম্পের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ১ এপ্রিল সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল মায়ানমারের নেপিদো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্তব্য

স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় নয় : রাষ্ট্রদূত মুশফিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় নয় : রাষ্ট্রদূত মুশফিক
সংগৃহীত ছবি

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কিছু কর্মকর্তা নিজেরা স্বেচ্ছায় স্বৈরাচার তোষণের অংশ হিসেবে পেশাগত ভূমিকার বাইরে গিয়ে রেডলাইন অতিক্রম করেছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বৈরাচারের দোসরদের কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘আমার ফরেন প্রেস সেন্টারের ক্রিডেন্সিয়াল বাতিল করার জন্য দূতাবাসের কর্মকর্তারা স্টেট ডিপার্টমেন্টের সংশ্লিষ্ট অফিসে লাগাতার তদবির করেছিলেন। আমি জানি এই স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কত আন্তরিকভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন এবং আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছেন। আমি আপনাদের নিকট চিরঋণী।’

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কর্মরত অবস্থায় বাংলাদেশি কূটনীতিকরা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম বেতন-ভাতা পান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করার সুযোগ না পেলে আমি জানতেই পারতাম না যে বাংলাদেশ মিশনগুলো বিদেশে কত অল্প পরিমাণ রিসোর্স দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

পতিত স্বৈরাচার কূটনীতিকদের দিয়ে বিশ্বব্যাপী ভুয়া উন্নয়নের প্রচার করালেও ২০১২ সালের পর থেকে কূটনীতিকদের বেতন-ভাতা আর বৃদ্ধি পায়নি।’

সাম্প্রতিক ট্রাম্প ট্যারিফের বিষয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি ডেলিগেশন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। আমি ওয়াশিংটন দূতাবাসকে জানিয়েছি যে এ বিষয়ে যদি আমার কোনো সহযোগিতা লাগে, তবে যে কোনো সময় ভূমিকা রাখতে আমি সবসময় প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা।

এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লূর রহমান জিল্লু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, গিয়াস আহমেদ, কামাল পাশা বাবুল, মোশাররফ হোসেন  জসিম ভূঁইয়া, আব্দুস সবুর, মোশাররফ হোসেন সবুজ, মাকসুদুল এইচ চৌধুরী, মোতাহার হোসেন, নাসিম আহমেদ, বাচ্চু মিয়া,  হাবিবুর রহমান হাবিব, আতিকুল হক আহাদ, মিজানুর রহমান, মূলধারার রাজনীতিক এটর্নি মঈন চৌধুরী, জাস্টিস সোমা সাঈদ, জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী, বদিউল আলম, সেলিম রেজা, মাযহারুল ইসলাম মিরন, তরিকুল ইসলাম মিঠু, আহমেদ সোহেল, সাইফুর রহমান খান হারুন, মৃধা মোহাম্মদ জসিম, মনির হোসেন, অনিক রাজ প্রমুখ।

মন্তব্য

ঢাকায় জার্মানির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকায় জার্মানির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল

ঢাকায় পাঁচ দিনের সফরে এসেছে জার্মানির ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিনিধিদলটি ঢাকা সফর করবে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকায় জার্মানির দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

দূতাবাস জানায়, প্রতিনিধিদলে জার্মানির ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তর, ফেডারেল অর্থনৈতিক বিষয় ও জলবায়ু কর্ম মন্ত্রণালয়, জার্মানির বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংস্থা, জার্মানির রপ্তানি ঋণ সংস্থা (ইউলার হার্মিস), গিজ এবং কম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

এই মিশন জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (ওএভি) দ্বারা সমন্বিত, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক, যা এশিয়াজুড়ে জার্মানির ব্যাবসায়িক স্বার্থ প্রচার করে। এই অঞ্চলে প্রবেশ বা সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী জার্মান কম্পানিগুলোর জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে কাজ করে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জার্মানি থেকে প্রথমবারের মতো এমন ধরনের মিশনকে স্বাগত জানিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্ভাবনা এবং সুযোগগুলো প্রত্যক্ষ করার পাশাপাশি সংস্কারের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করার জন্য ওএভি সঠিক সময়ে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আনার উদ্যোগকে আমরা প্রশংসা করি।’

প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় জার্মান দূতাবাস আয়োজিত একটি ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাদের সফর শুরু করে।

তারা ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অংশীদারিতে এই সম্মেলন আয়োজন করবে।

জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। ২০২৪ সালে দেশটির সঙ্গে মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৯.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই সফর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি জার্মানির পারস্পরিক দৃঢ় বিশ্বাস এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।

মন্তব্য

বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০ দেশের বিনিয়োগকারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০ দেশের বিনিয়োগকারী
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে আগামীকাল সোমবার থেকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় ৬ শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রথম দিন দুটি ট্র্যাকে অনুষ্ঠানটি হবে।

প্রথম ট্র্যাকে ৬০ জনের বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিয়ে একটি স্পেশাল ফ্লাইট চট্টগ্রাম যাবে। সেখান থেকে কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন পরিদর্শন শেষে রাতে ফিরে আসবেন তারা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা যাচ্ছেন তারা হলেন সেসব উদ্যোক্তা, যারা মনে করছেন তাদের সেখানে একটি কারখানা স্থাপন করতে হবে। তাদের জায়গাজমি লাগবে।

তাদের জন্য আমরা কী ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করতে পারি, তা তারা সরেজমিন দেখবেন। অন্যদিকে সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে স্টার্টআপ কানেক্ট নামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচি রয়েছে। সেখানে যেসব আরলি স্টেজ স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার বিনিয়োগকারী আসছেন তাদের মধ্যে ম্যাচ মেকিং ইভেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও প্যানেল হবে।’ 

সারা দিন স্টার্টআপ ইভেন্টকে ফোকাস করা হবে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালের দিকে বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যেখানে জাপানি ইকোনমিক জোন রয়েছে সেখানে সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। তারা সেখানের কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কী ধরনের কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা বুঝে তাদের বিনিয়োগের জন্য কতটুকু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা দেখবেন। দ্বিতীয় ধাপে বিশ্বব্যাংক ও আইএলওর সঙ্গে কিছু অ্যাংগেজমেন্ট রয়েছে। তাদের এফডিআই সম্পর্কিত কিছু ব্যাপারে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ৯ এপ্রিল বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।

সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়া সারা দিনই একাধিক (৩-৪টা) প্যারালাল অনুষ্ঠান চলবে ‘

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু বিনিয়োগকারীকে পুরস্কৃত করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে কিছুসংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগকারী বক্তব্য দেবেন। সেখান থেকে আমরা বোঝার চেষ্টা করব আর কী করলে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য বেটার ডেস্টিনেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। পরবর্তীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ মেলার আয়োজন থাকবে। উপদেষ্টা সেখানে আরলি স্টেজ কম্পানির সঙ্গে কথা বলবেন। দ্বিতীয় ধাপে রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে কথা হবে। বেশ কয়েকটি কম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ