<p>জুরাসিক যুগে উল্কাপিাত হয়েছিল। বিশাল এক গ্রহাণু উল্কার বেগে এসে আঘাত করেছিল পৃথিবীর বুকে। আর সেই আঘাতেই বিপর্যয় নেমেছিল পৃথিবীতে। সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, কোটি কোটি বছর ধরে পৃথিবীর বুকে রাজত্ব করা ডাইনোসররা। এমন একটা গ্রহাণু যদি এখন আঘাত হানে পৃথিবীকে, তাহলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানবজাতির অস্তিত্ব। তাই গ্রাহাণু নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখন অত্যন্ত সচেতন। পৃথিবীর বুকে আঘাত হানতে চলা বেশ কয়েকটি গ্রহাণুকে ইতোমধ্যে ধ্বংস করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবু থেমে নেই তাঁদের গবেষণা। কী করে গ্রহাণু ধ্বংসের আরও কার্যকরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা যায়, তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে আগামীকাল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/01/1727762717-916bf03e9bd31a192490a80d1878c36d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে আগামীকাল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/01/1430716" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রতিনিয়ত আমাদের সৌরজগতের আশেপাশে ছোট-বড় গ্রহাণু ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের বেশিরভাগই নিরাপদ দূরত্বে থাকে, কিছু গ্রহাণু মাঝে মাঝে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে পারে। এর মধ্যে বড় একটি গ্রহাণু যদি পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে আসে, তবে এটি ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। ঠিক এই কারণে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণু ধ্বংস করার বা তার গতিপথ পরিবর্তন করার জন্য নানান প্রযুক্তি ও কৌশল নিয়ে গবেষণা করছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নতুন চাঁদ এসে গিয়েছে পৃথিবীর আকাশে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727686149-c281537306a39ceec86d867502e11248.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নতুন চাঁদ এসে গিয়েছে পৃথিবীর আকাশে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/30/1430464" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গ্রহাণুর মতো মহাজাগতিক বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন বা ধ্বংস করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি বিজ্ঞানীরা বিবেচনা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে কাইনেটিক কিনেটিক ইমপ্যাক্টর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি দ্রুতগামী মহাকাশযান গ্রহাণুর গায়ে সজোরে আঘাত করে। আঘাতের ফলে গ্রহাণুর গতি এবং দিক পরিবর্তন হতে পারে। ফলে গ্রহাণু পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়। এই পদ্ধতি নিয়ে নাসা সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে, যেমন ডার্ট (ডাবল অ্যাস্টোরয়েড রিডিরেকশন টেসট মিশন, যেখানে ছোট একটি মহাকাশযান ডিমরফোস নামের গ্রহাণুর উপর আঘাত করে তার গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদের প্রাচীনতম গর্তে নেমেছে চন্দ্রযান ৩" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727683400-c9f134526811be04c470a53c1ddf720a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদের প্রাচীনতম গর্তে নেমেছে চন্দ্রযান ৩</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/30/1430455" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এরপরে গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিটি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ। যদি কোনো বিশাল আকারের গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধাবিত হয়, তখন একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বিজ্ঞানীরা নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে একটি পারমাণবিক বোমা গ্রহাণুর কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে গ্রহাণুটি তাকে ছোট ছোট অংশে ভেঙে যায় বা তার গতিপথ পরিবর্তন করে। তবে এটি একটি জটিল পদ্ধতি এবং এতে মহাজাগতিক ধ্বংসাবশেষ নিয়েও সমস্যা হতে পারে।</p> <p>গ্রাভিটেশনাল ট্র্যাক্টর পদ্ধতিও খুব কার্যকরী। এই পদ্ধতিটি অনেক সূক্ষ্ম ও দীর্ঘমেয়াদি। এতে একটি ভারী মহাকাশযান গ্রহাণুর কাছাকাছি দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করে এবং তার আকর্ষণ বলের মাধ্যমে গ্রহাণুর গতিপথ ধীরে ধীরে পরিবর্তন করে। যদিও এটি সময়সাপেক্ষ, তবে এটি নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/28/1727521509-5e13a2f4d8b06de66e213d5ac2de65a7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাঁদ কেন আমাদের সঙ্গে চলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/28/1429777" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো লেজার বাষ্পীকরণ। এই পদ্ধতিতে উচ্চশক্তিসম্পন্ন লেজারের মাধ্যমে গ্রহাণুর পৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করে বাষ্পীকরণ করা হয়, ফলে গ্রহাণুর কিছু অংশ ধীরে ধীরে গ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার ফলে গ্রহাণুর গতি পরিবর্তিত হয়। এটি অত্যন্ত নির্ভুল ও নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি। এটা ভবিষ্যতে খুব কার্যকর হতে পারে।</p> <p>বর্তমানে পৃথিবীর প্রতি বিপদজনক গ্রহাণু পর্যবেক্ষণ ও শনাক্ত করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। এর মধ্যে নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ESA) তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রহাণুর প্রভাব প্রতিরোধে নতুন পথ খুঁজছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিগন্তরেখায় সূর্যকে বড় দেখায় কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/21/1726920724-5a13fe4b68767ec0ac3e001aef5b22b9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিগন্তরেখায় সূর্যকে বড় দেখায় কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/21/1427535" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রহাণুর হুমকি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের মহাকাশ ও পৃথিবীকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে।<br /> গ্রহাণু ধ্বংস করার প্রযুক্তি শুধু মহাকাশবিজ্ঞানেই নয়, বরং মানব জাতির ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p>সূত্র : নাসা</p>