ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৯ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৯ রমজান ১৪৪৬

বিরাটের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখতে পাই : ক্লার্ক

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
বিরাটের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখতে পাই : ক্লার্ক

বিরাট কোহালিকে নিয়ে টিম পেনের সঙ্গে তাঁর বাগযুদ্ধের মধ্যেই বর্তমান এই ভারতীয় অধিনায়কের প্রশংসা করলেন মাইকেল ক্লার্ক। এমনকি শচীন টেন্ডুলকারের রানের ক্ষুধার সঙ্গে বিরাটের সাদৃশ্য খুঁজে পান প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। 

কোহালির প্রশংসায় প্রাক্তন তিনি বলেছেন, 'বর্তমান প্রজন্মে তিনটি ফর্ম্যাট মিলিয়ে কিন্তু সেরা বিরাটই। ওর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি রেকর্ড অসাধারণ।

আস্তে আস্তে টেস্টেও দাপট দেখাতে শুরু করেছে।'

তিনি আরো বলেন, 'শচীনের মধ্যে রান করার খিদে লক্ষ্য করেছিলাম। শুধু সেঞ্চুরি নয়, বড় সেঞ্চুরির লক্ষ্যে নামত ও। বিরাটের মধ্যেও একই প্রবণতা দেখতে পাই।

'

অস্ট্রেলিয়ার একটি রেডিও শোয়ে শচীন ও বিরাটের প্রশংসা করে এ কথা বলেন মাইকেল ক্লার্ক।

এ সময় শচীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্লার্ক বলেন, 'টেকনিকের দিক থেকে সেরা ছিল শচীন। সব চেয়ে কঠিন ছিল ওকে আউট করা। ওর টেকনিকে কোনও গলদ খুঁজে পেতাম না।

সম্পূর্ণ ব্যাটসম্যানের উদাহরণ শচীন।' 

তিনি আরো বলেন, 'শচীন ব্যাট করার সময় খালি ভাবতাম, ও যেন একটা ভুল করে।'

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিরাটের তুলনা না করলেও ক্লার্কের ধারণা, ভারত অধিনায়ককে দেখে হয়তো একই ধরনের অনুভূতি হয় এই প্রজন্মের। তার উপরে টেস্ট, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে বিরাটের সমান দক্ষতায় মুগ্ধ তিনি।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোহলির যুব বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ এবার আইপিএলে আম্পায়ার

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
কোহলির যুব বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ এবার আইপিএলে আম্পায়ার
কোহলির সঙ্গে তন্ময়। ছবি : তন্ময়ের ইনস্টাগ্রাম থেকে

একসঙ্গে লড়ে ২০০৮ সালে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেন বিরাট কোহলি ও তন্ময় শ্রীবাস্তব। ভারতীয় কিংবদন্তি এখনো মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ালেও ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন তন্ময়। ৩০ বছর বয়সে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। তবে ক্রিকেট মাঠ ছাড়তে পারেননি কোহলির সতীর্থ।

 

ভিন্ন ভূমিকায় এবার যুব দলের সতীর্থ কোহলির মুখোমুখি হচ্ছেন তন্ময়। যুব বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (২৬২) আম্পায়ারের ভূমিকায় আইপিএলের মাঠে থাকবেন। তাতে দেখা যেতে পারে সাবেক সতীর্থকে আউট দিতে আঙুল তুলে ধরেছেন তন্ময়। অবশ্য শুধু কোহলি নন, ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক সতীর্থর সঙ্গেই এমন অভিজ্ঞতা হতে পারে তার।

আরো পড়ুন
‘হামজা আসায় ভারত-বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ’

‘হামজা আসায় ভারত-বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ’

 

পেশা বদলালেও দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবার আইপিএলে দেখা যাবে তন্ময়কে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ক্রিকেটার হিসেবে ডেকান চার্জাসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। আর ২০২০ সালে ব্যাট-প্যাড তুলে রেখে কোচিং পেশায় যুক্ত হন। কোচিংয়ের পাশাপাশি আম্পায়ারিংও শুরু করেন তিনি।

বিসিসিআইয়ের আম্পায়ার হতে দুই দফা পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সাবেক এই ব্যাটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯ ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতাও আছে তার।

আরো পড়ুন
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান মজিদ

শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান মজিদ

 

জাতীয় দলের হয়ে অবশ্য কখনো খেলার সুযোগ পাননি তন্ময়। পরবর্তীতে আসলে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯০ ম্যাচ খেলে ৪৯১৮ রান করেছেন বেশিরভাগ ম্যাচই উত্তর প্রদেশে হয়ে খেলা এই ব্যাটার।

আর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৭২৮ রান করেছেন ৪৪ ম্যাচে। টি–টোয়েন্টিতে তার রান ৩৪ ম্যাচে ৬৪৯।

মন্তব্য

শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান মজিদ

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন সেঞ্চুরিয়ান মজিদ
আব্দুল মজিদ। ছবি : মজিদের ফেসবুক থেকে

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন ছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের। ব্যাটিংয়ে তখন ৯২ রানে অপরাজিত সেট ব্যাটার আব্দুল মাজিদ। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে শেষ ওভারের দায়িত্ব তৌফিক আহমেদের কাঁধে।

শুরুটা দারুণও করেন তৌফিক।

প্রথম ৫ বলে এক ওয়াইডসহ রান দিলেন ৭। তবে শেষ বলে ৩ রানের সমীকরণে মজিদের কাছে হার মানলেন এই পেসার। তার বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার হাঁকিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিলেন রূপগঞ্জের ওপেনার। সঙ্গে তুলে নিলেন সেঞ্চুরিও।

শেষ বলে জয়সূচক চার মেরে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান করেন মজিদ। ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে পাওয়া ৪ উইকেটের জয়ের ম্যাচে ফিফটি করে অবদান রেখেছেন আসাদুল্লা আল গালিব। তবে শেষ দিকে আরিফুল হক ৩৪ রানের ছোট্ট এক ইনিংস না খেললে জয় পাওয়া হয়তো হতো না রূপগঞ্জের।

এর আগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ (৫৪) ও রুবেল মিয়ার (৫২) জোড়া ফিফটিতে ২২৩ রান করে পারটেক্স। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে ৩ টি করে উইকেট নেন মাহমুদুল হাসান ও আল আমিন জুনিয়র।

বৃথা গেছে রাফসানের সেঞ্চুরি

শেষ বলে চার হাঁকিয়ে রূপগঞ্জের জয়ের নায়ক সেঞ্চুরিয়ান মজিদ হলেও রায়হান রাফসানের সেঞ্চুরি বৃথাই গেছে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস খেলেও পরাজিত দলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক।

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৪৬ রানে হেরেছে রাফসানের দল।

২৯৫ রান তাড়া করতে নেমে ২৪৮ রানে থেমেছে শাইনপুকুর। ৫ উইকেট হাতে থাকলে রাফসানরা দ্রুত গতিতে রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার সেঞ্চুরির বিপরীতে ৫১ রান করেছেন মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির।

অগ্রণী ব্যাংকের বড় সংগ্রহে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তার মতো ফিফটি পেয়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলামও (৫৩)। দুজনের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৯৪ রানের সংগ্রহ পায় অগ্রণী ব্যাংক।

লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের বীরত্বে জিতেছে গুলশান

লক্ষ্যটা বেশ বড়ই ছিল গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের জন্য। ২৯১ রানের লক্ষ্যটা বড় হলেও লোয়ার অর্ডার ব্যাটার বীরত্বে ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। ৯ বল হাতে রেখে ২ ‍উইকেটের জয়ে ৬ ও ৭ নম্বরে নেমে ফিফটি করেছেন নাঈম ইসলাম ও মোহাম্মদ ইলিয়াস।

দলীয় ১০০ রানে অর্ধেক উইকেট হারানো গুলশানকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন নাঈম-ইলিয়াস। দুজনে মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৯৯ রানের জয়ের ভিত গড়া জুটি। ব্যক্তিগত ৫০ রানে নাঈম ফিরে গেলে ফরহাদ রেজা হাল ধরেন। ৪৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার আগে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন ইলিয়াস। শেষ দিকে ১৮ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রোমাঞ্চকর জয়ে অবদান রাখেন পেসার মেহেদী হাসান। ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ৪ উইকেট নেন সোহাগ গাজী।

এর আগে তিন ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৯০ রানের স্কোর দাঁড় করায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ফিফটি করা তিন ব্যাটার হচ্ছেন- বিশাল চৌধুরী (৮৩), মিজানুর রহমান (৫০) ও আইচ মোল্লা (৬৫)। প্রতিপক্ষের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নিহাদুজ্জামান ও আসাদুজ্জামান পায়েল।

মন্তব্য

‘হামজা আসায় ভারত-বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ’

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
‘হামজা আসায় ভারত-বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ’
হামজার সঙ্গে ফটোসেশনে জামাল। ছবি : কালের কণ্ঠ

কয়েক বছর ধরেই যেকোনো খেলায় ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই। ফলটা বেশির ভাগ সময় ভারতের পক্ষে থাকলেও হারের আগে হারে না বাংলাদেশ। তাই তো ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের কাছে সমীহ পায় বাংলাদেশ।

তবে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ফুটবল ম্যাচে চিত্রটা এবার ভিন্ন।

আর এমনটা হচ্ছে হামজা চৌধুরীর কারণেই। লেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশ দলে যোগ দেওয়ায় ম্যাচে জয় দেখছেন জামাল ভূঁইয়া। সঙ্গে ২৭ বছর বয়সী তারকার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল ম্যাচ বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত হামজা

নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত হামজা

 

আগামীকাল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই জানিয়েছেন জামাল।

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘অবশ্যই, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বলেই অনেক হাইপ (আলোচনা হচ্ছে)। কিন্তু হামজার অন্তর্ভুক্তিতে সেটা আরও বেড়ে গেছে। কারণ সবাই চায়, বাংলাদেশকে জিততে হবে। আমি মনে করি, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সব সময় হাইপ থাকে এবং সবাই এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ নিয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
ফাহমিদুলের দলে ফেরার সুযোগ নেই, বলছেন কাবরেরা

ফাহমিদুলের দলে ফেরার সুযোগ নেই, বলছেন কাবরেরা

 

ভারতের যাওয়ার পর হাইপটা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন জামাল। বাংলাদেশি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘যখন আমরা ভারতে যাব তখন ভারতীয় সাংবাদিক এর চেয়েও ডাবল থাকবে। তাই এটা স্বাভাবিক। যদি পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচও হয় তবে একই রকম হতো। আমি মনে করি, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হাইভোল্টেজ ম্যাচ হতে চলেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ হতে চলেছে। সবাই খুশি, কারণ হামজা আসছে। এটা আমার ভালো লাগছে। আমাদের মনোযোগ খেলায় রাখতে হবে, মিডিয়াতে নয়। ২৫ তারিখের ম্যাচ আমাদের জিততে হবে।’

আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে হবে ম্যাচটি। সমতল হতে ১৫০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় হওয়ায় চ্যালেঞ্জিং হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জামাল বলেছেন, ‘না, এত চ্যালেঞ্জিং হবে না। কারণ সৌদিতে আমরা যেখানে অনুশীলন করেছি সেখানে ঠাণ্ডা ছিল। যেখানে খেলা হবে সেখানেও ঠাণ্ডা আছে। তাই বড় কোনো পার্থক্য থাকবে না। হয়তো হামজার একটু সমস্যা হবে তবে সে বিশ্ব মানের খেলোয়াড়। আমি মনে করি, সে এ রকম সমস্যা উতরে যেতে পারবে।’

মন্তব্য

নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত হামজা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে রোমাঞ্চিত হামজা
কোচ-অধিনায়কের সঙ্গে হামজা (বাঁয়ে)। ছবি : কালের কণ্ঠ

বিশ্বের অন্যতম ফুটবল পরাশক্তির দেশ ইংল্যান্ডে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন হামজা চৌধুরী। খেলেছেন জনপ্রিয় লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। লেস্টার সিটির হয়ে খেলার সময় মুখোমুখি হয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ-কেভিন ডি ব্রুইনা-হ্যারি কেইনদের মতো কিংবদন্তিদের।

তারকা ফুটবলাদের সতীর্থ কিংবা প্রতিপক্ষ হয়ে খেলার চাপ ও রোমাঞ্চ দুইয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও কখনো জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ মেলেনি হামজার।

সেই অপেক্ষা এবার ফুরাচ্ছে তার। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের।

নতুন চ্যালেঞ্জে নামার আগে তাই ভীষণভাবে রোমাঞ্চিত হামজা। আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘এই ম্যাচ নিয়ে আমারও প্রত্যাশা আছে।

আমি খুবই আশাবাদী। ভীষণ রোমাঞ্চিত। কয়েক সপ্তাহ ধরে কোচ এটা নিয়ে কথা বলেছেন, অনেক ভিডিও দেখিয়েছেন…আমি ভিন্ন একটা লিগ থেকে এসেছি, ভিন্ন ঘরানার ফুটবল থেকে এসেছি, এখানে জামাল আছে, সে দলের অধিনায়ক, অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তার আছে, আমি এখানে তাদের কাছ থেকে শিখতেও এসেছি। যেটা বলছিলাম, ইনশাল্লাহ আমরা সফল হব।
’ 

শিলংয়ে হতে যাওয়া এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ নিয়ে চাপ অনুভব করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হামজা জানিয়েছেন, তিনি চাপ অনুভব করছেন না। ২৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘না, আমি তা মনে করি না। মনে করি, দিন শেষে আমরা একটা ফুটবল ম্যাচই খেলছি। ম্যাচে যে কোনো কিছুই হতে পারে। কোচ বলেছেন, ইতোমধ্যে তিনি প্রস্তুতি নিয়েছেন, আমি কোনে চাপ অনুভব করছি না।

আমি চেষ্টা করব যতটা সম্ভব দলের উন্নতিতে সহায়তা করতে।’

উল্টো মাঠে নামে দলকে সহায়তা করতে মুখিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন হামজা। তিনি বলেছেন, ‘খুবই আত্মবিশ্বাসী। দল কি করছে এবং কৌশল নিয়ে তিনি আমাকে অনেক ভিডিও দেখিয়েছেন; আমিও এর অংশ হতে ও দলকে সাহায্য করতে মুখিয়ে আছি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ