ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা সিরিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা সিরিয়ার
সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত একজন যোদ্ধা মধ্য দামেস্কের আল শালান এলাকার রাস্তায় এক শিশুর সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৪০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আবাজেদ এই ঘোষণা দেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রশাসনিক পুনর্গঠন সম্পন্ন করার পর এই বেতন বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়।

এই বেতন বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রায় ১২৭ মিলিয়ন ডলার ( ১.৬৫  সিরিয়ান পাউন্ড) খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় সংস্থান ও আঞ্চলিক সহায়তা, নতুন বিনিয়োগ এবং বিদেশে রক্ষিত সিরিয়ার সম্পদগুলো মুক্ত করার প্রচেষ্টার সংমিশ্রণের মাধ্যমে এই অর্থায়ন করা হবে।

সিরিয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আবাজেদ রয়টার্সকে বলেন, ‘(এটি) দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার জরুরি সমাধানের দিকে প্রথম পদক্ষেপ।’

তিনি জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীদের গত মাসের বেতন এই সপ্তাহে দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপগুলো সিরিয়ার নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১৩ বছরের সংঘাত এবং নিষেধাজ্ঞার পরে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য একটি বিস্তৃত কৌশলের অংশ।

 

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কোষাগার যুদ্ধের ফলে তারল্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে উপলব্ধ বেশিরভাগ অর্থই সিরিয়ার মুদ্রা, তবে এর মূল্য অনেক কমে গেছে। নতুন সরকারকে আঞ্চলিক ও আরব দেশ থেকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বর্তমানে পর্যাপ্ত তহবিল রয়েছে আগামী কয়েক মাসের অর্থায়নের জন্য।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার নির্দেশ আদালতের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার নির্দেশ আদালতের
ছবিসূত্র : এএফপি

সংবাদসংস্থা এপি-র সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে অন্য সাংবাদিকদের মতোই ঢুকতে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক  ট্রেভর এন ম্যাকফাডেন তার রায়ে জানিয়েছেন, ‘হোইয়াট হাউস যদি কোনো সাংবাদিকের জন্য তাদের দরজা খুলে রাখে তাহলে অন্য সাংবাদিকদের ভিন্ন মতামতের কারণে সেই দরজা বন্ধ করে দিতে পারে না।’

গালফ অফ মেক্সিকোকে গালফ অফ আমেরিকা লিখতে অস্বীকার করে সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি। সেই কারণে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হোয়াইট হাউস।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক হোয়াইট হাইসকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলে।

ডিসট্রিক্ট জাজ ট্রেভর এন ম্যাকফাডেন তার রায়ে জানিয়েছেন, ‘ওভাল অফিস হোক বা ইস্ট রুম, হোইয়াট হাউস যদি কোনো সাংবাদিকের জন্য তাদের দরজা খুলে রাখে তাহলে অন্য সাংবাদিকদের ভিন্ন মতামতের কারণে সেই দরজা বন্ধ করে দিতে পারে না। এটা সংবিধান স্বীকৃত।’

এপির ওপর নিষেধাজ্ঞা

এর আগে এপির সাংবাদিকদের ট্রাম্পের ওভাল অফিস বা এয়ার ফোর্স ওয়ানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে, হঠাৎ তাদের ইস্ট রুমে ট্রাম্পের বৈঠক কভার করতে ডাকা হয়। 

সংবাদসংস্থার মুখপত্র লরেন ইস্টন বলেন আদালতের রায়ে তারা 'খুশি'। তিনি আর বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান আমেরিকাবাসীকে যে বাকস্বাধীনতার অধিকার দেয় তা  স্বীকৃত হলো।'   

হোয়াইট হাইসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এই রায় কবে থেকে চালু করা হবে তা নিয়েও সুস্পষ্ট কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প প্রশাসনকে এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিচারক ম্যাকফাডেন বলেন, ‘এপিকে হোয়াইট হাউসের ঢোকার সর্বকালীন অনুমতি দিতে বলছে না কোর্ট। এপিকে কোন বিশেষ সুবিধা দিতেও বলা হচ্ছে না।

কিন্তু তাদের অন্যান্য সাংবাদিক সহকর্মীদের থেকে কম সুবিধা দেওয়া যাবে না।’

সংবাদসংস্থা হওয়ার পাশাপাশি এপির স্টাইলবুক বা ইংরেজি ব্যবহারের নিয়মাবলী বিখ্যাত। পৃথিবীর বড় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম এই স্টাইলবুকটি ব্যবহার করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য এই সংস্থার সাংবাদিকদের 'বামপন্থি পাগল' বলে আখ্যা দিয়েছেন। 

তিনি জানিয়েছিলেন, যদি না তারা তাদের সিদ্ধান্ত বদল করে এপির সাংবাদিকদের তিনি হোয়াইট হাইসের খবর করতে দেবেন না।

মন্তব্য

মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা
প্রতীকী ছবি

মেয়ে শিবানীর বিয়ের বাকি হাতে গোনা কয়েকদিন। জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতির। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয় আত্মীয়স্বজনদের। পুরো পরিবার যখন আনন্দে ভাসছে ঠিক তখন ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

বিয়ের ১০ দিন বাকি থাকতেই মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন মা।

আরো পড়ুন
ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম

ভারতীয় ষড়যন্ত্রে আনন্দ শোভাযাত্রাকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপান্তর : হেফাজতে ইসলাম

 

ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শিবানী উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদরাক থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের আগে তার মায়ের এমন ঘটনায় হতবাক পুরো পরিবার।

প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, শিবানীর মায়ের নাম অনিতা।

তিনি তার হবু স্বামীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির থেকে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকার বেশি এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়নাও নিয়ে গেছেন।

শিবানী বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমার রাহুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, আর আমার মা রোববার তার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। গত তিন-চার মাস ধরে রাহুল ও আমার মা ফোনে অনেক কথা বলতেন। আমাদের আলমারিতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না ছিল।

মা তার কথা মতোই সবকিছু করেছেন। এমনকি ১০ টাকাও ফেলে যাননি। আমার মা আমাদের সব টাকা নিয়ে গেছেন।’ 

আরো পড়ুন
খাবার পানিশূন্য হতে পারে গাজা (ভিডিওসহ)

খাবার পানিশূন্য হতে পারে গাজা (ভিডিওসহ)

 

তিনি আরো বলেন, ‘এখন তিনি যা খুশি করতে পারেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু চাই আমাদের টাকা ও গয়না ফেরত দেওয়া হোক।

শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার জানান, তিনি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন এবং শুনেছিলেন অনিতা তার হবু জামাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন, কিন্তু যেহেতু বিয়ের তারিখ খুব কাছেই ছিল তাই তিনি কিছু বলেননি। তিনি এখন স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছেন।

জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ওই লোকটি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না, শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলত। আমি ব্যবসার জন্য বেঙ্গালুরুতে থাকি। শুনেছি গত তিন মাস ধরে তারা প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কথা বলত। আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের তারিখ কাছে আসায় কিছু বলিনি। অনিতা ৬ এপ্রিল ওই লোকের সঙ্গে পালিয়েছে এবং আমাদের সমস্ত নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনিতাকে অনেকবার ফোন করেছিলাম। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপর আমি মেয়ের হবু স্বামীকেও ফোন করেছিলাম। সেও অস্বীকার করে যে-অনিতা তার সঙ্গে আছে।’

আরো পড়ুন
মুখে ঘা হলে করণীয়

মুখে ঘা হলে করণীয়

 

আনিতার স্বামী বলেন, যদিও কয়েক ঘণ্টা পর, অবশেষে সে বলে যে আমি নাকি ২০ বছর ধরে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমার তাকে ভুলে যাওয়া উচিত। এরপর তাদের আর ফোনে পাওয়া যায়নি।’

মাদরাক থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

মন্তব্য

খাবার পানিশূন্য হতে পারে গাজা (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খাবার পানিশূন্য হতে পারে গাজা (ভিডিওসহ)
সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজার ৭০ শতাংশ পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। গাজার কর্মকর্তারা আনাদোলু এজেন্সি ও আলজাজিরাকে এ অভিযোগ করেছেন।
বুধবার আলজাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। যার ফলে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় মোট পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি কোম্পানি মেকোরোট গাজায় সিংহভাগ পানি সরবরাহ করে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থার মধ্যস্থতায় কোম্পানিটি খাবার পানি সরবরাহ করে আসছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মেকোরোটে পাইপলাইনে হস্তক্ষেপ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে...

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এবার বিচারকদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এবার বিচারকদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন
ছবিসূত্র : এএফপি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার নীতির বিরোধিতা করায় ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য একটি খসড়া বিল পাস হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ বুধবার এই বিল পাস করেছে। রিপাবলিকানদের সমর্থিত পক্ষে ২১৯ ভোট এবং বিপক্ষে ২১৩ ভোট পড়েছে। তবে খসড়া আইনটি সিনেটে পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এই বিলটি জেলা আদালতের বিচারকদের জাতীয় প্রভাবসহ রায় প্রদান থেকে বিরত রাখবে, পরিবর্তে তাদের আদেশ কেবলমাত্র মামলার পক্ষগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে। বিলটি উত্থাপনকারী রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ড্যারেল ইসা বলেছেন ‘আমরা কর্মীদের রায় গ্রহণ করছি এবং ক্ষমতার ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করছি।’

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এই খসড়া বিলটিকে সমর্থন করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈধ ক্ষমতা ক্ষুণ্ন করার জন্য এক্টিভিস্ট ফেডারেল আদালতগুলো ‘আদেশ’-কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পরে তার দেওয়া অনেক নির্বাহী আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, ফেডারেল বিচারকগণ প্রায়ই সেই আদেশগুলো স্থগিত করে।

 

বুধবার, টেক্সাস এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল বিচারকরা ১৮ শতকের যুদ্ধকালীন আইনের অধীনে বিদেশিদের বহিষ্কার সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। ট্রাম্প নিজেই মার্চ মাসে একজন ফেডারেল বিচারকের অভিশংসনের আহ্বান জানিয়েছেন, যিনি নির্বাসন অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ