গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন হামাসের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন হামাসের
১৫ জানুয়ারি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ইয়েমেনের ওপর আক্রমণ ও গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে একটি বৃহৎ ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শন করে। ছবি : এএফপি

হামাস বুধবার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিমুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে। ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে। অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী কাতার আশা প্রকাশ করেছে, যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি খুব শিগগির সম্পাদিত হতে পারে।

গাজার ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষ করার জন্য কয়েক মাসের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর মধ্যস্থতাকারীরা কাতারে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষর করতে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, আলোচনা ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেদিন রাতে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।

আলোচনায় যুক্ত দুটি ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে বুধবার জানিয়েছে, হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি অনুমোদন করেছে।

এ ছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপির এক সূত্র জানায়, ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা (জিম্মি-বন্দি) বিনিময় চুক্তি ও যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

আরো পড়ুন
শেষ মুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে বাইডেন, ‘যুদ্ধাপরাধী’ স্লোগান

শেষ মুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে বাইডেন, ‘যুদ্ধাপরাধী’ স্লোগান

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালালে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। সেই হামলায় এক হাজার ২১০ জন নিহত হয়, যার অধিকাংশই বেসামরিক। পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা, যাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে ৩৪ জন মৃত বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ পরিসংখ্যানকে জাতিসংঘ বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।

আরো পড়ুন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কত দূর

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কত দূর

 

আলোচনায় অন্যতম বাধা ছিল যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার পরিমাণ নিয়ে মতবিরোধ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাবে, যা আগামী মাসের শেষের দিকে কার্যকর হবে। নেতানিয়াহু গাজার পুরোপুরি প্রত্যাহার অস্বীকার করেছেন এবং যুদ্ধ-পরবর্তী হামাসের ভূমিকা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে আলোচনার মাঝেই ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বুধবার জানিয়েছেত, গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি সাত বছরের শিশুও রয়েছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হামাসের বিদ্রোহী যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের দুঃসাহসিক পররাষ্ট্রনীতি ও বিশ্বনেতাদের ক্ষোভ

ট্রাম্পের দুঃসাহসিক পররাষ্ট্রনীতি ও বিশ্বনেতাদের ক্ষোভ

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মালয়েশিয়ায় গ্যাস পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
ছবিসূত্র : এএফপি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একটি শহরে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার পরে আশেপাশের বাড়িঘর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেলাঙ্গর রাজ্যের মধ্যাঞ্চলের পুত্রা হাইটসে একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। 

সেলাঙ্গরের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১২ জন আহত হয়েছেন এবং ৮২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বিশাল আগুন কয়েক কিলোমিটার (মাইল) দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। জাতীয় তেল কম্পানি পেট্রোনাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তাদের একটি গ্যাস পাইপলাইনে আগুন লেগেছে।

একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের স্থানের কাছাকাছি তিনটি গ্যাস স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পেট্রোনাস জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে।

আরো পড়ুন
গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

 

সেলাঙ্গর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগুন কাছাকাছি একটি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এতে আরো বলা হয়েছে, বেশ কয়েকজন পুড়ে গেছেন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

 

আরো বলা হয়েছে, পাইপলাইনের ভালভ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আগুন নেভানো সম্ভব হবে। সেলাঙ্গরের কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক কর্মী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। 

সেলাঙ্গরের মুখ্যমন্ত্রী আমিরুদ্দিন শারি বলেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আশেপাশের বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাদের অস্থায়ীভাবে নিকটবর্তী একটি মসজিদে রাখা হবে।

আগুনের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে আগুনের বিস্ফোরণের কারণেই এটি ঘটেছে।

সূত্র : আরঅ্যারাবিয়া
 

মন্তব্য

মায়ানমারে জরুরি ত্রাণের দ্বিতীয় চালান পাঠাল বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মায়ানমারে জরুরি ত্রাণের দ্বিতীয় চালান পাঠাল বাংলাদেশ

মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় জরুরি ওষুধ ও ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (বিএ) ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর (বিএএফ) তিনটি পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এসব ওষুধ ও ত্রাণ পাঠানো হয়।

এই মিশনটি তিনটি পরিষেবা— ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) ডাক্তার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বিএ) ডাক্তার এবং বেসামরিক ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত রেসকিউ ও মেডিকেল টিম নিয়ে গঠিত। এতে মোট উদ্ধার কর্মকর্তা ও চিকিৎসক সংখ্যা ৫৫ জন।

এছাড়াও তিনটি বিমানের ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন।

এই চালানে ভূমিকম্পে আক্রান্ত মানুষের জন্য আট টন শুকনো খাদ্য, আড়াই টন পানি, চার টন ওষুধ, এক টন স্বাস্থ্যবিধি, দেড় টন ত্রাণ তাঁবু পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন
গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে ফকির বংশের সংঘর্ষ, আহত ২০

গোপালগঞ্জে জমি নিয়ে ফকির বংশের সংঘর্ষ, আহত ২০

 

এর আগে রবিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার ও মেডিকেল টিমসহ জরুরী ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মিয়ানমারে প্রথম অভিযান পাঠায় বাংলাদেশ।

মন্তব্য

তাইওয়ান ঘিরে চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া শুরু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তাইওয়ান ঘিরে চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া শুরু
সংগৃহীত ছবি

তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। মঙ্গলবার চীনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা তাইওয়ানের চারপাশে তাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং রকেট বাহিনীর যৌথ মহড়া শুরু করেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান পিট হেগসেথ এশিয়ায় তার প্রথম সফরে ‘চীনের আগ্রাসন’ মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কয়েক দিন পর এই মহড়া শুরু করল চীন। খবর সিএনএনের।

গত মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বেইজিংকে বিদেশি শত্রুশক্তি বলে অভিহিত করার পর গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটির চারপাশে মহড়া শুরু করল চীনা সামরিক বাহিনী। 

মূলত তাইওয়ানকে চীন তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে থাকে এবং দ্বীপটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চীন কখনোই শক্তি প্রয়োগের বিকল্পটি ত্যাগ করেনি।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনের শানডং বিমানবাহী রণতরী গ্রুপ সোমবার দ্বীপের প্রতিক্রিয়াশীল এলাকায় প্রবেশ করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এর প্রতিক্রিয়ায় তারা সামরিক বিমান এবং জাহাজ পাঠিয়েছে এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ান এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে চলেছে... এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ হয়ে উঠেছে।

আরো পড়ুন
ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

 

উল্লেখ্য, তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালির পূর্বে চীনা মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। অবশ্য তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট চিনপিং বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে।

এ জন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।

মন্তব্য
জাতিসংঘের প্রতিবেদন

গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গত ১০ দিনে ৩২২ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ছবিসূত্র : এএফপি

গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে আক্রমণে গত ১০ দিনে ফিলিস্তিনে কমপক্ষে ৩২২ শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ৬০৯ জন। গতকাল সোমবার ইউনিসেফ এই তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৩ মার্চ দক্ষিণ গাজার আল-নাসের হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে হামলায় নিহত বা আহত হওয়া শিশুদের সংখ্যাও এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত।

ইউনিসেফ আরো জানিয়েছে, এই শিশুদের বেশির ভাগই বাস্তুচ্যুত এবং অস্থায়ী তাঁবু বা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েল ১৮ মার্চ গাজায় তীব্র বোমাবর্ষণ পুনরায় শুরু করে এবং এরপর শুরু হয় নতুন স্থল আক্রমণ। যার মধ্য দিয়ে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির সমাপ্তি ঘটে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি গাজার শিশুদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং তাদের জন্য একটি আশা।

তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু শিশুরা আবারও মারাত্মক সহিংসতা এবং বঞ্চনার এই চক্রে আটকে গেল।’ রাসেল বলেন, ‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।’

ইউনিসেফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে এবং প্রায় দশ লাখ শিশু বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

তারা মৌলিক পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। ইউনিসেফ যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলের প্রতি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। এটি ২ মার্চ থেকে কার্যকর রয়েছে।

তারা আরো বলেছে, অসুস্থ বা আহত শিশুদের চিকিৎসাসেবা পেতে তাদের সরিয়ে নেওয়া উচিত। খাদ্য, নিরাপদ পানি, আশ্রয় এবং চিকিৎসাসেবা ক্রমশ দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।

এই প্রয়োজনীয় সরবরাহ ছাড়া অপুষ্টি, রোগ এবং অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য পরিস্থিতি সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বকে চুপ করে শিশুদের হত্যা এবং দুর্ভোগ দেখা উচিত নয় বলে জানায় উইনিসেফ। 

সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ