দিল্লিতে কেজরির বৈঠক, হাজির পাঞ্জাবের ৯১ বিধায়ক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দিল্লিতে কেজরির বৈঠক, হাজির পাঞ্জাবের ৯১ বিধায়ক
দিল্লিতে আপপ্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ দলের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে হাজির ছিলেন পাঞ্জাবের ৯১ জন বিধায়ক। ছবি : আপ/এক্স

দলবদল কংগ্রেসের সংস্কৃতি, আম আদমি পার্টির (আপ) নয়—মঙ্গলবার দিল্লিতে নিজের রাজ্যের আপ বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই দাবি করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান। সেই সঙ্গে তার মন্তব্য, ‘পাঞ্জাবের আপ সরকারের কোনো সংকট নেই।’ ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, আপপ্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ দলের শীর্ষনেতারা দিল্লির কপূরথালা হাউসে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের ৯৩ জন আপ বিধায়কের মধ্যে ৯১ জন। দিল্লির বিধানসভা ভোটে শনিবার আপের ভরাডুবির পরই দলের পাঞ্জাব সরকারের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

পাঞ্জাবের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া দাবি করেছিলেন, ৩০ জন আপ বিধায়কের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। তার পরই তাড়াহুড়া করে পাঞ্জাবের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন কেজরি।

গণমাধ্যমটি বলছে, ১১৭ সদস্যের পাঞ্জাব বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদু সংখ্যা’ ৫৯। বর্তমানে একটি আসন খালি থাকলেও পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ৫৯ জন বিধায়কের সমর্থনই প্রয়োজন। আপের মুখ্যমন্ত্রী মানসহ আপের বিধায়ক সংখ্যা ৯৩। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ১৬।

এ ছাড়া শিরোমণি অকালি দলের তিন, বিজেপির দুই ও একজন করে বিএসপি ও স্বতন্ত্র বিধায়ক রয়েছেন পাঞ্জাব বিধানসভায়। অর্থাৎ বাজওয়ার দাবি অনুসারে ৩০ জন আপ বিধায়কের সমর্থন পেলেও কংগ্রেসের পক্ষে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করা সম্ভব নয়।

কিন্তু রয়েছে অন্য অঙ্ক। ঘটনাচক্রে, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের এক সপ্তাহ আগে ‘রহস্যজনক’ গাড়ি থেকে আট লাখ রুপি ও মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল দিল্লিতে। কারণ অর্থ ও মাদকের সঙ্গে সেই গাড়ি থেকে আপের প্রচারপত্র মিলেছিল বলেও দিল্লি পুলিশ দাবি করে।

গাড়িটি আটক করা হয়েছিল পাঞ্জাব ভবনের সামনে থেকে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশনও ছিল পাঞ্জাবের। সে সময়ই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মান অভিযোগ করেছিলেন, তার সরকার সরানোর ‘চক্রান্ত’ করছে বিজেপি। 

দিল্লিতে আপ সরকারের পতনের পর কেজরি ঘনিষ্ঠ মানের ‘ভবিষ্যৎ’ ঘিরে তাই তৈরি হয়েছে জল্পনা ও সংশয়। এমনকি মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের পথ অনুসরণ করে মান এবার কেজরিকে ছেড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে এনডিএতে শামিল হতে পারেন বলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আবহে দিল্লির বৈঠকে বেশির ভাগ বিধায়ক হাজির হওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে কেজরি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীনে সন্তান জন্মদান উৎসাহে নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে সন্তান জন্মদান উৎসাহে নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা
ছবিসূত্র : এএফপি

চীনের অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ার রাজধানী হোহোট এই মাসে শিশু যত্নে বেশ কিছু ভর্তুকি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া নতুন মায়েদের প্রতিদিন এক কাপ বিনামূল্যে দুধ দেওয়া হবে। বর্তমানে স্থানীয় প্রদেশগুলো দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

চীনজুড়ে গতকাল সোমবার ২০টিরও বেশি প্রাদেশিক পর্যায়ের প্রশাসন শিশু যত্নে ভর্তুকি দেওয়া শুরু করেছে।

সরকারি সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। তরুণ দম্পতিদের বিয়ে করাতে এবং সন্তান ধারণে উৎসাহিত করা নীতিনির্ধারকদের মূল লক্ষ্য এখন।

আরো পড়ুন
উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল

উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল

 

সবুজ তৃণভূমিতে ঘেরা উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ত শহর হোহোট জানিয়েছে, দম্পতিরা তাদের প্রথম সন্তানের জন্য এককালীন ১০ হাজার ইউয়ান (১ হাজার৩৮২.৫১ ডলার) এবং দ্বিতীয় সন্তানের জন্য প্রতি বছর ১০ হাজার ইউয়ান পাবেন, যতক্ষণ না শিশুটি পাঁচ বছর বয়সে পৌঁছায়। তৃতীয় সন্তান ১০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক ১০ হাজার ইউয়ান ভর্তুকি পাবে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের বার্ষিক আয়ের প্রায় দ্বিগুণ।

হোহোট মায়েদের জন্য এক কাপ দুধের ব্যবস্থারও ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে ১ মার্চের পরে সন্তান জন্মদানকারী যেকোনো মায়েদের জন্য প্রতিদিন এক কাপ দুধ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিবাহের হার এক-পঞ্চমাংশ কমেছে।

দেশটি অভূতপূর্ব জনসংখ্যা মন্দার মুখোমুখি হচ্ছে। এর প্রধান কারণ ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে চীনে আরোপিত এক সন্তান নীতি, দ্রুত নগরায়ন এবং পরিবার লালন-পালনের উচ্চ ব্যয়। ২০২১ সাল থেকে দম্পতিদের সর্বোচ্চ তিনটি সন্তান ধারণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

 

এই মাসের শুরুতে চীনের সংসদের বার্ষিক সভায় প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং জন্মহার বাড়ানোর জন্য শিশু যত্নে ভর্তুকি এবং বিনামূল্যে প্রাক-বিদ্যালয় শিক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার প্রকাশিত গৃহস্থালির খরচ বৃদ্ধির জন্য একটি কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের শিশু যত্নের জন্য ভর্তুকি দেওয়া উচিত।

সূত্র : রয়টার্স


 

মন্তব্য

ভারতের হিন্দু-মুসলিম সহিংসতার শুরু যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের হিন্দু-মুসলিম সহিংসতার শুরু যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

ভারতের মহারাষ্ট্রে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি সরানোর দাবিকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার পর নাগপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার দুপুরে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দল নাগপুরের মহাল এলাকায় একটি বিক্ষোভ জমায়েত করে। ওই বিক্ষোভে আওরঙ্গজেবের একটি ছবি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই পুলিশ সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই বিক্ষোভ চলাকালে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়ায়, যাতে মুসলমান সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়।

পরে এই এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগও পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়।

নাগপুর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অর্চিত চন্দক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন যে একটি গুজবের ফলেই সোমবারের ঘটনার সূত্রপাত। তিনি বলেন, কিছু ভুল তথ্যের ফলেই এই ঘটনা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

সবার কাছেই আবেদন যে ঘর থেকে বের হবেন না, পাথর ছুঁড়বেন না। গুজবে বিশ্বাস করবেন না।

এদিকে এই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় প্রাথমিকভাবে ছয় জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ অফিসার আহত হন। এরপরে কোতোয়ালি আর গণেশপেঠ এলাকাতেও সংঘর্ষ ছড়ায়।

হাজার খানেক মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর ছোঁড়া, ভাঙচুর চালায়। দোকানপাট আর গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রায় ভোররাত পর্যন্ত পুলিশ নানা এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছিল।

বেলা দশটা নাগাদ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী যোগেশ কদম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, সহিংসতার কারণ এখনও খুঁজে বার করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও কারফিউ জারি আছে সেখানে।

যে অঞ্চলে সংঘর্ষ ছড়িয়েছিল, সেই মহাল অঞ্চল ছাড়া শহরের অন্যান্য এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিকই আছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন। তবে পুলিশ নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে যাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে না বের হন।

মন্তব্য

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন কী— এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টিকে কূটনৈতিক আলোচনার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। খবর ফক্স নিউজের।

গতকাল সোমবার স্থানীয় সময়ে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

ওই সাংবাদিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

এখন নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায় ৬০ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন কী? তিনি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

এ প্রশ্নের জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, আপনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথা বলছেন, যিনি অন্য দেশের ঘটনাবলি কীভাবে দেখেন তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও এই বিষয়ে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। কূটনৈতিক আলোচনা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে আমি কোনো পূর্বানুমান করতে চাই না।

এসব বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

সাংবাদিক পুনরায় একই প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাইলে ব্রুস তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, সরকার থেকে সরকার পর্যায়ে কূটনৈতিক আলোচনা বা কোনো নির্দিষ্ট দেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য করা আমার কাজ নয়। আমি কোনো পূর্বানুমানও করতে চাই না।

এর আগে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।

তাই এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সরকার গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশার সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য লক্ষ্য করেছি, যেখানে তিনি বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘নিপীড়ন ও হত্যা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের হুমকি এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বৈশ্বিক তৎপরতা একই আদর্শ ও লক্ষ্য দ্বারা পরিচালিত হয়। সেই আদর্শ ও লক্ষ্য হলো ইসলামপন্থী খিলাফতের মাধ্যমে শাসন করা।’

তুলসী গ্যাবার্ডের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনামের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য সুপরিচিত এবং চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

আরো পড়ুন
খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করব আমরা : সন্ত্রাসী সাজ্জাদের স্ত্রী

 

গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি বলে বাংলাদেশ সরকার ওই বিবৃতিতে দাবি করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিবৃতিতে উল্লেখ করে, তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যে পুরো বাংলাদেশকে অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
 

মন্তব্য

উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উসকানির অভিযোগে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল
জেরুজালেমে ছেলের সঙ্গে আবদেল্লাতিফ। সূত্র: সিএনএন (পারিবারিক ছবি)।

ইসরায়েলি বিচারক মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিলেও, ইসরায়েলি পুলিশ একজন সুপরিচিত ফিলিস্তিনি নারী সাংবাদিককে জেরুজালেমে আটক রাখার চেষ্টা করছে। যদিও তাকে ‘উসকানি’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদের সমর্থন’ সম্পর্কিত অভিযোগে সোমবার আটক রাখা হয়েছে। আবদেল্লাতিফ এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গতকাল সোমবার জেরুজালেমের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে আবদেল্লাতিফকে হাজির করা হয়।

যেখানে একজন বিচারক জিজ্ঞাসাবাদ এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে আরো পাঁচ দিনের জন্য আটক রাখার পুলিশের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। 

তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অনুসারে লতিফেহ আবদেল্লাতিফ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক। যার কাজ রয়টার্স, এবিসি নিউজ, বিবিসি, আল জাজিরা এবং টিআরটিতে প্রকাশিত হয়েছে।

আরো পড়ুন
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, ভারতে কারফিউ জারি

 

 

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার জেরুজালেম জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য উসকানি এবং সমর্থনের সন্দেহে’ পুরাতন শহরে তার বাড়িতে গ্রেপ্তার করেছিলেন।

আবদেল্লাতিফের আইনজীবী এবং তার মা বলেছেন, বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অফিসাররা চিহ্নহীন যানবাহনে করে এসেছিল।

এক বিবৃতিতে পুলিশ আবদেল্লাতিফের প্রয়াত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের একটি ভিডিও পোস্ট করার দিকে ইঙ্গিত করেছে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে চান।

’ 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের এবং অন্যান্য পোস্টগুলোতে স্পষ্ট যে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি (আবদেল্লাতিফ) সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা এবং মহিমান্বিত করছেন।’

আদালতে শুনানির পর আবদেল্লাতিফের আইনজীবী নাসের ওদেহ সিএনএনকে বলেন, ‘আদালত দেখেছেন, সাংবাদিক হিসেবে তার কাজের ভিত্তিতে এবং প্রতিরক্ষার ভিত্তিতে এই পোস্টগুলো তার পেশাগত কাজের অংশ। পোস্টগুলো ছয় মাসেরও বেশি পুরনো। তাকে আটকে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি জনসাধারণের জন্য বিপদ নয়।

’ তবে ইসরায়েলি পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তার মুক্তি স্থগিত করার জন্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে।

আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশ কেন্দ্রীয় আদালতে আপিল জমা না দেওয়া পর্যন্ত মুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছে। বর্তমানে, আপিল প্রক্রিয়া কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।’

গত রবিবার আবদেল্লাতিফকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট সম্পর্কে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। 
আবদেল্লাতিফ এর আগেও ইসরায়েলি বাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন। 

আরো পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ২০০

 

২০২১ সালের মে মাসে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে একটি ছোট ছেলেকে আটকের ভিডিও করার কারণে ইসরায়েলি সেনারা তাকে মারধর করেন, মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেন এবং তার মাথার স্কার্ফ জোর করে খুলে ফেলেন। 

ঘটনার সময় আবদেল্লাতিফ ইসরায়েলি বাহিনীকে একটি শিশুকে আটক করতে দেখেন বলে জানান। শিশুটির বাবা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনিরা এতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আবদেল্লাতিফ তখন ঘটনাটি ভিডিও করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা তাকে ধাক্কা দেন, যদিও তিনি তাদের স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তিনি একজন রিপোর্টার।

সেনারা তাকে উপেক্ষা করে পিছনে ঠেলে দিতে থাকে। তারপর তার হিজাব খুলে ফেলে এবং হাঁটুতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফিলিস্তিনিরা আবদেল্লাতিফকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে, ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এরপর তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র : সিএনএন, মিডল ইস্ট আই

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ