২ প্রেসিডেন্টের বাদানুবাদের পর ইইউ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
২ প্রেসিডেন্টের বাদানুবাদের পর ইইউ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠক করেন। ছবি : এএফপি

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাদানুবাদ ও বৈঠক ভেস্তে যাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউরোপের নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইইউ নেতাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের প্রকাশ্য বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। মূল্যবান খনিজ নিয়ে চুক্তি ও ভবিষ্যৎ রুশ হামলা ঠেকাতে ট্রাম্পের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ ও মার্কিন সহায়তা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর কোনো চুক্তি ছাড়াই আকস্মিকভাবে বৈঠকটি শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জেলেনস্কি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প ও ভ্যান্স।

পরবর্তীতে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন।

ক্ষমা চাইতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই ঘটনার জন্য জেলেনস্কিকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘এভাবে বৈঠক শেষ করে আমাদের সময় নষ্ট করার জন্য (ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের) ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

জেলেনস্কি সত্যিই শান্তি চান কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রুবিও। শান্তি প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করার মাধ্যমে জেলেনস্কি এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে নিরাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

তবে এই ঘটনায় এখনো ক্ষমা চাননি জেলেনস্কি।

ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, ‘খারাপ কিছু করেছি—এমনটা আমি নিশ্চিত নই।’ তবে সাংবাদিকদের সামনে এমন বাদানুবাদ তার প্রত্যাশিত ছিল না বলেও জানান।

যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে মিত্রদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন
এদিকে আটলান্টিক কাউন্সিলের ইউরোপ সেন্টারের সিনিয়র ফেলো রেচেল রিৎজো মনে করেন, মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কেমন হবে এই বৈঠকের পর ইউরোপীয় নেতাদের তা ভাবাবে।

রেচেল বলেন, ‘বিশেষ করে কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের ইউরোপ সফরের পর, আমি মনে করি মার্কিন মিত্র ও অংশীদাররা, সত্যিই প্রশ্ন তুলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কেমন অংশীদার।’

তার মতে, এর ফলে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হবে, যার ফলে মিত্র ও অংশীদাররা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাকাতে শুরু করবে।

এতে বৈশ্বিক স্তরে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল হবে বলেও তিনি অভিমত দেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কালাস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আজকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, মুক্ত বিশ্বের একজন নতুন নেতার প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা আমাদের ইউরোপের ওপর বর্তায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন বৃদ্ধি করব, যাতে তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।’

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘একটি আক্রমণকারী : রাশিয়া। আক্রমণের মুখে থাকা একটি জাতি : ইউক্রেন।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘যারা শুরু থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি সম্মান জানান। কারণ তারা তাদের মর্যাদা, স্বাধীনতা, সন্তান ও ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়ছেন।’

ইউক্রেন ও জেলেনস্কির প্রতি সমর্থনের এই দলে আরো যোগ দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা, জার্মানির বিদায়ি চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, নির্বাচনে জয়ী চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেৎস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক ও স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

ট্রাম্পের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করতে হবে
ওভাল অফিসে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনার পর ট্রাম্প ও জেলেনস্কি—দুজনের সঙ্গেই স্টারমার ফোনে কথা বলেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ আন্তর্জাতিক নেতাদের নিয়ে রবিবারের সম্মেলনের অপেক্ষায় আছেন স্টারমার।

গত সপ্তাহে স্টারমার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।

বিশ্লেষক রেচেল রিৎজো মনে করেন, স্টারমার ও ম্যাখোঁর মতো গর্ব ঝেড়ে ফেলাই জেলেস্কির জন্য এখন সবচেয়ে ভালো বিকল্প। তিনি বলেন, ‘ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ও কিয়ার স্টারমার তাদের অহংকার এক পাশে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।’

ট্রাম্পের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হবে, তা ব্যাখ্যা করে রেচেল আরো বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হয়ে একরকম করণীয় অনুযায়ী ট্রাম্পের প্রশংসা করুন, ব্যাপারটা যদিও অনেকটা ছোট বাচ্চাদের সামলানোর মতো।’

তিনি মনে করেন, জেলেনস্কির তা করতে পারা উচিত, যদিও যুদ্ধের মধ্যে থাকা ‘ইউক্রেনের গৌরববোধ’ বোধগম্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সম্মেলনের ডাক মেলোনির
এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এত দিন ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে গেলেও কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক। তিনি ইউক্রেনসহ বর্তমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর আলোচনার ডাক দিয়েছেন।

মেলোনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের প্রতিটি বিভাজন আমাদের সবাইকে দুর্বল করবে এবং যারা আমাদের সভ্যতার পতন দেখতে চায় তাদের সুবিধা দেবে।’

তবে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির দূরত্বের কারণে ভবিষ্যতে যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো চুক্তিতে পৌঁছনো কঠিন হবে বলে মনে করেন রিৎজোও। এমনকি সমঝোতা প্রক্রিয়ায় ইউরোপ বাদ পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘ট্রাম্প জেলেনস্কিকে উদ্ধত ও শান্তির জন্য প্রস্তুত নন বলে মনে করেন, তাই তিনি বাদ পড়বেন। যা ঘটেছে তা সহজে কাটিয়ে ওঠা যাবে—এটা আমার প্রত্যাশা, কিন্তু আমার মনে হয় তা কঠিন হবে।’

ট্রাম্পের পাশে হাঙ্গেরির অরবান
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশই হোয়াইট হাউসের ঘটনায় জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়েছেন। রাশিয়া ঘনিষ্ঠ অরবান আগে থেকেই ট্রাম্পের মিত্র হিসেবে পরিচিত।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বিতণ্ডার পর অরবান এক্সে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ সাহসের সঙ্গে শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। যদিও তা অনেকের পক্ষে হজম করা কঠিন। ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট।’

ট্রাম্পের প্রতি অরবানের সমর্থনের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে কিছু সহায়তা দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে ২৭ দেশের জোটটির সব সদস্যের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সৌদি আরব কি এবার এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সৌদি আরব কি এবার এক দিন আগেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে?
ছবি : এএফপি

সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের দিনক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলেই পরদিন মাসটির শুরুর দিনে উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। তবে এবার সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ আদৌ দেখে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত রবিবার প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামিক চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সৌদি আরব চাঁদ দেখার আগেই ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে।

একদিন আগেই ঈদ উদযাপন শুরু করেছে দেশটি। এমন বিতর্কের মধ্যে দেশটির পক্ষ থেকে কাফফারা দেওয়ার কথাও উঠছে।

তবে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এবার শনিবার চাঁদ দেখার কথা জানিয়ে রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।

তাদের সঙ্গে আরো কয়েকটি দেশ রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করে। তবে অন্য দেশগুলো ঈদ উদযাপন করে সোমবার।

মিশর, জর্ডান, সিরিয়াসহ বেশ কয়েকটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সৌদি আরবের ঘোষণার পরও সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানও সোমবার ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দেয়।

পাশাপাশি ওমানের ইবাদি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষও সোমবার ঈদ উদযাপন করে।

অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞ রবিবার ঈদুল ফিতর হতে পারে—এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছেন, আগের দিন শনিবার চাঁদ দেখা অসম্ভব।

আবুধাবিভিত্তিক আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে পূর্ব গোলার্ধ থেকে শনিবার চাঁদ দেখা অসম্ভব ছিল।

সৌদি জ্যোতির্বিদ বদর আল-ওমাইরা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে বলেন, ‘শনিবার সূর্যগ্রহণের কারণে চাঁদ দেখা অসম্ভব ছিল।

কারণ এর পর কয়েক ঘণ্টা ধরে চাঁদ দেখা সম্ভব হয় না।’

যুক্তরাজ্যের মুসলিমদের চাঁদ দেখা সংক্রান্ত দল ‘নিউ ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ইমাদ আহমেদ গত সপ্তাহে দ্য নিউ আরবকে বলেছিলেন যে, ‘ইসলামিক মাসগুলো চাঁদের নতুন পর্যায়ে শুরু হয়— এমন একটি ধারণা প্রচলিত আছে; এটি আসলে ভ্রান্ত ধারণা। বাস্তবে ইসলামিক মাস চাঁদের নতুন পর্যায়ের পরবর্তী পর্যায়ে শুরু হয়।’

আরো পড়ুন
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রবিবার ঈদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রবিবার ঈদ

 

কিছু আরব দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ সৌদি আরবকে অনুসরণ করে। সৌদি আরবে ইসলামের দুটি পবিত্র স্থান মক্কা এবং মদিনা অবস্থিত। যার ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই মনে করছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কারণে লাখো মুসলমান এক দিন আগেই রোজা রাখা বন্ধ করেছেন।

২০১১ সালে এমন খবর বের হয়েছিল যে সৌদি আরবের চাঁদ পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ আকাশে শনি গ্রহকে চাঁদ ভেবেছিল। ২০১৯ সালে আবারও এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ দুবারই এ ঘটনা প্রত্যাখ্যান করেছে।

চাঁদ দেখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি বিষয়গুলো মাঝে মাঝে বিতর্ক এবং বিভিন্ন ব্যাখ্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু দেশ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশ এবং টেলিস্কোপের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অন্যরা চাঁদ দেখতে খালি চোখ ব্যবহার করে।

ইসলামের অসংখ্য বিষয়ের মতো চাঁদ দেখা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহার মতো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব শুরু হওয়ার দিনক্ষণের ঘোষণার সময় প্রায়ই বিতর্ক দেখা দেয়। কিছু দেশ জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত গণনা এবং টেলিস্কোপের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও অন্যরা জোর দিয়ে বলে যে, এটি খালি চোখে দেখা উচিত।

সূত্র : দ্য নিউ আরব

মন্তব্য

মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ২৭০০ ছাড়াল, খাদ্য পানি আশ্রয়ের অভাব

    সহায়তা প্রবেশে বাধা থাইল্যান্ডে উদ্ধার অভিযান
আলজাজিরা
আলজাজিরা
শেয়ার
মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ২৭০০ ছাড়াল, খাদ্য পানি আশ্রয়ের অভাব
মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের চার দিন পর ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে অসম্পূর্ণ ভবন ধসের স্থলে ভারী যন্ত্রপাতি। ছবি : এএফপি

মায়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। এ দুর্যোগে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে মান্দালয়ের কাছে একটি প্রাক-বিদ্যালয়ে ৫০ শিশু নিহত হয়েছে। এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এমন এক সময়ে এলো, যখন সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানুষ খাদ্য, পানি ও আশ্রয়ের অভাবে ভুগছে।

গত শুক্রবার দুপুরের দিকে আঘাত হানা ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী।

এটি প্রাচীন প্যাগোডা ও আধুনিক ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে।

মায়ানমারের সামরিক নেতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে জানান, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে এবং এই সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত চার হাজার ৫২১ জন আহত ও ৪৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে।

মায়ানমারের কেন্দ্রে অবস্থিত মান্দালয় শহরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি স্কাই ভিলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সামনে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে সাইরেন বাজিয়ে লোকজনকে দাঁড়িয়ে যেতে বলা হয়, যা ছিল ভূমিকম্প আঘাত হানার সুনির্দিষ্ট সময়। সেখানে উদ্ধারকর্মীরা থেমে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। একটি রেসকিউ টেন্টের পাশে বাঁশের খুঁটিতে মায়ানমারের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উড়ছিল, আর কর্মকর্তারা ঘিরে রাখা এলাকার ভেতর দাঁড়িয়ে দেখছিলেন, আর স্বজনরা একটু দূরে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন।

আরো পড়ুন
মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল, এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা

মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল, এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা

 

এদিকে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে ভূমিকম্পে আহত ও গৃহহারা হওয়া মানুষদের কাছে সহায়তা পৌঁছনো আরো কঠিন হয়ে পড়েছে।

থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক জেসিকা ওয়াশিংটন জানান, মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলের অনেক পরিবার এখনো মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকটে ভুগছে। তিনি বলেন, ‘ওই সব এলাকায় যোগাযোগ নেই, বিদ্যুৎ নেই। মানুষ খুব কষ্টে আছে। তারা এখনো খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে। শহরের একটি হাসপাতালে রোগীদের বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে।
পানির সংকটও রয়েছে।’

সহায়তা প্রবেশে বাধা
তিনি আরো জানান, বিপর্যয়ের মধ্যেও সামরিক বাহিনী বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি সাগাইং অঞ্চলে প্রবেশাধিকার খুবই সীমিত। সেখানে এক মালয়েশীয় উদ্ধারকারী দল একটি বিদ্যালয়ের ধ্বংসস্তূপে কাজ করছে। তবে অন্যান্য উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্র মিলিশিয়ারা তাদের ওই সব এলাকায় প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে, যেসব এলাকায় সহায়তার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, সামরিক বাহিনীর উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা এলাকাগুলোতে সাহায্য প্রবেশ করতে দেওয়া। অ্যামনেস্টির মায়ানমারবিষয়ক গবেষক জো ফ্রিম্যান বলেন, ‘মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এমন এলাকায় সহায়তা পৌঁছতে বাধা দিয়ে আসছে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে। তাদের উচিত অবিলম্বে সব মানবিক সংস্থাকে বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং জরুরি সহায়তা পৌঁছতে কোনো প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি না করা।’

থাইল্যান্ডে উদ্ধার অভিযান
ব্যাঙ্ককে উদ্ধারকারীরা এখনো একটি ধসে পড়া অসমাপ্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপে জীবনের চিহ্ন খুঁজছে। তবে চার দিন পার হয়ে যাওয়ায় জীবিত কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা কমে এসেছে।

ভবনটির ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া স্বেচ্ছাসেবী বিন বুনলুয়েরিট বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ৭০ জনের মরদেহ রয়েছে...তবে আমরা আশাবাদী, অলৌকিকভাবে অন্তত এক-দুজন জীবিত থাকতে পারে।’

ব্যাঙ্ককের ডেপুটি গভর্নর তাভিদা কামলভেজ জানান, স্ক্যানারে ছয়টি মানব-আকৃতির অবয়ব শনাক্ত করা হয়েছে, তবে তাদের শরীরে কোনো নড়াচড়া বা প্রাণের স্পন্দন নেই। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এখন নিরাপদে তাদের কাছে পৌঁছনোর উপায় বের করার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ : নিহত বেড়ে ১৮

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ : নিহত বেড়ে ১৮
গুজরাট রাজ্যের দিসা শহরের ওই কারখানায় মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে পাথর ও ধাতব টুকরা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে অবৈধ আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো পাঁচজন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গুজরাট রাজ্যের দিসা শহরের ওই কারখানায় মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে পাথর ও ধাতব টুকরা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

সরকারি মুখপাত্র ঋষিকেশ প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারখানায় একটি বড় বিস্ফোরণের ফলে কংক্রিটের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ১৮ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, কারখানাটি কোনো লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

ভারতে আতশবাজি ব্যাপক জনপ্রিয়, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও বিয়ের অনুষ্ঠানে এগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করার কারণে আতশবাজির কারখানাগুলোতে প্রায়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

গত বছর মধ্য প্রদেশ রাজ্যে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে পাঞ্জাব রাজ্যে একই ধরনের বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়, আর একই বছরে উত্তর প্রদেশে আরেকটি বিস্ফোরণে ১০ জন প্রাণ হারায়।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, হিজবুল্লাহ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪
১ এপ্রিল বৈরুতে একটি ভবনে ইসরায়েলি হামলাস্থলে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ছবি : এএফপি

লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর একটি সূত্র। চার মাস ধরে চলা একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যে এটি দ্বিতীয় হামলা।

লেবাননের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। ঈদুল ফিতর চলাকালীন আনুমানিক মধ্যরাত সাড়ে ৩টায় কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এ হামলা চালানো হয়।

এর আগে শুক্রবার ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছিল। তখন বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। এএফপির একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, বহুতল ভবনের ওপরের দুটি তলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিপরীত দিকের একটি ভবনের বাসিন্দা ইসমাইল নুরেদ্দিন এএফপিকে বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই চিৎকার করছিল। এত বড় বিস্ফোরণ হয়েছিল যে আমরা ধুলার মধ্যে একে অপরকে দেখতে পাচ্ছিলাম না।’

আরো পড়ুন
গাজায় সব পক্ষকে যুদ্ধবিষয়ক আইন মানতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় সব পক্ষকে যুদ্ধবিষয়ক আইন মানতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

 

হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের একজন হলেন হাসান বুদাইর, যিনি হিজবুল্লাহর ‘ফিলিস্তিনবিষয়ক উপপ্রধান’। হামলার সময় তিনি তার পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেট এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বুদাইরকে হত্যা করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সম্প্রতি তিনি হামাসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছিলেন, হামাসের যোদ্ধাদের পরিচালনা করছিলেন এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আসন্ন সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছিলেন। তবে বিবৃতিতে এর বেশি বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।

‘পরিষ্কার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন’
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলার নিন্দা জানিয়ে তার দেশের মিত্রদের প্রতি ‘আমাদের পূর্ণ সার্বভৌমত্বের অধিকারের’ পক্ষে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেছেন, এই হামলা ‘পরিষ্কারভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন’ এবং এটি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টাকে ব্যাহত করছে।

 

হিজবুল্লাহর সংসদ সদস্য ইব্রাহিম মুসাভি লেবানিজ কর্তৃপক্ষকে ‘লেবাননের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ পর্যায়ের পদক্ষেপ নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।  

এই হামলা এমন সময় ঘটল, যখন কয়েক দিন আগে ইসরায়েল বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায়। ওই হামলার আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া রকেট হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছিল ইসরায়েল, যদিও ওই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছিলেন, তার দেশের সামরিক বাহিনী ‘লেবাননের যেকোনো জায়গায় যেকোনো হুমকির’ বিরুদ্ধে হামলা চালাবে।

আরো পড়ুন
দক্ষিণ গাজায় ‘অত্যন্ত কঠোর যুদ্ধে’ ফিরছে ইসরায়েলি সেনারা

দক্ষিণ গাজায় ‘অত্যন্ত কঠোর যুদ্ধে’ ফিরছে ইসরায়েলি সেনারা

 

‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখতে হবে’
লেবাননে জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক জিনিন হেনিস-প্লাসশায়ের্ট বলেছেন, ‘আরো সংঘাত কেউই চায় না।’ তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘একমাত্র কার্যকর পথ হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১৭০১ বাস্তবায়ন করা’, যা ২০০৬ সালে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল এবং চলমান যুদ্ধবিরতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।

হিজবুল্লাহর নেতা নাইম কাসেম শনিবার বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা এটি চালিয়ে যেতে দিতে পারি না।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, ‘লেবাননের সরকার সরাসরি দায়ী’ এবং যদি তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকর না রাখে, ‘আমরাই তা প্রয়োগ করব।’

চুক্তি অনুযায়ী, ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লেবানন থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করার কথা ছিল, কিন্তু তারা পাঁচটি ‘কৌশলগত স্থান’ ধরে রেখেছে বলে জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতি শর্ত অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর উচিত ছিল তাদের বাহিনীকে লিটানি নদীর উত্তরে সরিয়ে নেওয়া এবং দক্ষিণে তাদের অবশিষ্ট সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া। ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটতে শুরু করার পর লেবাননের সেনাবাহিনী দক্ষিণাঞ্চলে মোতায়েন হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ