ইরাকে বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় আইএস নেতা নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরাকে বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় আইএস নেতা নিহত
সিরিয়া সীমান্তবর্তী ইরাকের পশ্চিম আল আনবার প্রদেশের আল-কাইম শহরে ইসলামিক স্টেটের পতাকাসংবলিত একটি দেয়াল। ফাইল ছবি : এএফপি

ইরাক ও সিরিয়ায় দায়িত্ব পালন করা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ইরাকি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন। বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি বলেছেন, আবু খাদিজা নামেও পরিচিত আবদুল্লাহ মক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ‘ইরাক ও সারা বিশ্বে অন্যতম সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘তাকে আমাদের সাহসী যোদ্ধারা নিরলসভাবে অনুসরণ করে হত্যা করেছে।

এ ছাড়া মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, তারা ইরাকের পশ্চিম আল আনবার প্রদেশে একটি ‘নির্ভুল বিমান হামলা’ পরিচালনা করেছে, যার ফলে বৃহস্পতিবার ‘আইএসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য’ রিফাই নিহত হয়েছেন। তিনি আইএসের সবচেয়ে শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন এবং তিনি বিশ্বব্যাপী আইএস পরিচালিত অভিযান, রসদ সরবরাহ ও পরিকল্পনার জন্য দায়ী ছিলেন। তিনি আইএসের বৈশ্বিক সংগঠনের জন্য আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ পরিচালনা করতেন বলে সেন্টকম জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে পোস্ট করে বলেছেন, ‘আরেকজন আইএসআইএস সদস্যর দুর্বিষহ জীবন শেষ হয়েছে, ইরাকি সরকার ও কুর্দিশ আঞ্চলিক সরকারের সমন্বয়ে।

শক্তির মাধ্যমে শান্তি!’

রিফাইকে অন্য আরেক আইএস সদস্যর সঙ্গে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে জানিয়ে সেন্টকম বলেছে, “দুই সন্ত্রাসীই বিস্ফোরিত না হওয়া ‘সুইসাইড ভেস্ট’ পরিহিত ছিলেন এবং তাদের কাছে একাধিক অস্ত্র ছিল।”

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেন্টকম ও ইরাকি বাহিনী তাদের পূর্ববর্তী একটি অভিযানে পাওয়া ডিএনএ থেকে রিফাইকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে তিনি ‘কিছুটা ভাগ্যক্রমে বাঁচতে সক্ষম হয়েছিলেন’। জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, ‘রিফাই ছিলেন আইএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে একজন। আমরা সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে ও তাদের সংগঠনগুলো ভাঙতে চলেছি, যেগুলো আমাদের দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, মিত্র ও অংশীদারদের জন্য হুমকি তৈরি করে।

বিবিসির তথ্য অনুসারে, আইএস এক সময় ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে ছিল, যা উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে উত্তর ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং প্রায় আট কোটি মানুষকে তাদের নিষ্ঠুর শাসনে রেখেছিল। ইরাক ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে আইএসের পরাজয় ঘোষণা করে এবং ২০১৯ সালে তারা তাদের শেষ দখলকৃত এলাকা হারায়। তবে সন্ত্রাসী ও ঘুমন্ত সেলের সদস্যরা এখনো দেশের বিভিন্ন অংশে উপস্থিত রয়েছে এবং ইরাকি সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্ন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডার্ক অক্সিজেন

গভীর সমুদ্রে এক আবিষ্কারে বিভক্ত বিজ্ঞানীরা

বাসস
বাসস
শেয়ার
গভীর সমুদ্রে এক আবিষ্কারে বিভক্ত বিজ্ঞানীরা
প্রতীকী ছবি : এএফপি

সূর্যের আলো ছাড়াই সমুদ্রের গভীর অন্ধকারতম স্থানে অবস্থিত ধাতব শিলা কি অক্সিজেন তৈরি করতে পারে? কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, সমুদ্রের আলোহীন অতল গহ্বরে ধাতব বস্তুগুলো অক্সিজেন তৈরি করতে পারে, যাকে ‘ডার্ক অক্সিজেন’ বলা হয়। তবে অন্য বিজ্ঞানীরা তথাকথিত এই ‘ডার্ক অক্সিজেন’ উৎপন্ন হওয়ার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নেচার জিওসায়েন্স জার্নালে গত জুলাইয়ে বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত এই আবিষ্কার পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি সম্পর্কে দীর্ঘস্থায়ী ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তীব্র বৈজ্ঞানিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

পলিমেটালিক নোডুলের মধ্যে থাকা মূল্যবান ধাতু বের করতে আগ্রহী খনি কম্পানিগুলোর জন্যও এই গবেষণার ফলাফল ফলপ্রসূ ছিল।

এই গবেষণা দীর্ঘদিনের ধারণার ওপর সন্দেহ তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে ধারণা ছিল, অক্সিজেন শুধু সূর্যের আলোতে উদ্ভিদ বা শৈবালসহ সালোকসংশ্লেণকারী প্রাণীরাই তৈরি করতে পারে, যাকে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বলা হয়। অন্যদিকে নতুন এই আবিষ্কারকরা বিশ্বাস করেন, জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এই অক্সিজেন অন্ধকারে ধাতব পিণ্ড দ্বারাও তৈরি হতে পারে।

স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন ফর মেরিন সায়েন্সের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু সুইটম্যান ও তার দল এ ডার্ক অক্সিজেন আবিষ্কার করেন। মেক্সিকো ও হাওয়াইয়ের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল জলরাশি অঞ্চল ক্লারিওন-ক্লিপারটন জোনে এই অক্সিজেন আবিষ্কার করা হয়েছে। এটা নিয়ে খনি কম্পানিগুলোর মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।

সমুদ্রতলে চার কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা পলিমেটালিক নোডুলগুলোতে ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল কোবাল্ট, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি ও অন্যান্য নিম্ন-কার্বন প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত ধাতু রয়েছে।

যে গবেষণাটি ‘ডার্ক অক্সিজেন’ আবিষ্কারের জন্ম দিয়েছে, তাতে কানাডীয় গভীর সমুদ্র খনির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘দ্য মেটালস কম্পানি’ আংশিকভাবে অর্থায়ন করেছে। তারা এই ধরনের অনুসন্ধানের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন করতে চেয়েছিল। কম্পানিটি সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রবিদ অ্যান্ড্রু সুইটম্যান ও তার দলের গবেষণার তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, এটিতে ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ রয়েছে।

নাজুক বাস্তুতন্ত্র
পরিবেশবিদরা বলেছেন, ডার্ক অক্সিজেনের উপস্থিতি দেখিয়েছে, সমুদ্রের একদম গভীরে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে কতটা কম জানা গেছে। এই আবিষ্কার গভীর সমুদ্র খননকাজকে অগ্রহণযোগ্য পরিবেশগত ঝুঁকি হিসেবে মনে করে।

গ্রিনপিস নামের একটি পরিবেশবাদী সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে সমুদ্র খনন বন্ধ করতে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘এটি নাজুক কাজ, গভীর সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।’

‘ডার্ক অক্সিজেন’-এর আবিষ্কার গভীর সমুদ্র খনন বন্ধের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে বলেও জানায় গ্রিনপিস।

বৈজ্ঞানিক সন্দেহ
এদিকে সুইটম্যানের এই আবিষ্কার ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের অনেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতি আপত্তি প্রকাশ করেছেন অথবা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত জুলাই থেকে সুইটম্যানের আবিষ্কারকে খণ্ডনকারী পাঁচটি একাডেমিক গবেষণাপত্র পর্যালোচনা ও প্রকাশনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। জার্মানির কিয়েলে অবস্থিত জিওমার হেলমহোল্টজ সেন্টার ফর ওশান রিসার্চের জৈব-রসায়নবিদ ম্যাথিয়াস হেকেল বলেছেন, তিনি (সুইটম্যান) তার পর্যবেক্ষণ ও অনুমানের জন্য স্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

হেকেল বলেন, ‘গবেষণাটি প্রকাশের পরও অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই এখন বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইত্যাদি পরিচালনা করে হয় এটি প্রমাণ অথবা খণ্ডন করা উচিত।’

ফরাসি জাতীয় মহাসাগর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ইফ্রেমারের ভূ-রসায়ন গবেষক অলিভিয়ার রাউক্সেল এএফপিকে বলেছেন, ‘এই ফলাফলগুলোর ওপর একেবারেই কোনো ঐকমত্য নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘গভীর সমুদ্রের নমুনা সর্বদা একটি চ্যালেঞ্জ। এটা হতে পারে, অক্সিজেন পরিমাপ যন্ত্রগুলোতে বায়ু বুদবুদ আটকে ছিল।’

এএফপি সুইটম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুতির কথা জানান। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক নিবন্ধগুলোতে এই ধরনের এদিক-সেদিক করা খুবই সাধারণ এবং এটি বিষয়বস্তুকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়।’

মন্তব্য
তুলসি গ্যাবার্ড

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, ‘আলোচনাও চলছে’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, ‘আলোচনাও চলছে’
তুলসি গ্যাবার্ড। ছবি : এএফপি

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের (ডিএনআই) প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড। ভারত সফরে গিয়ে এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদ রুখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিপীড়ন, হত্যা এবং নির্যাতন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বলে জানান তুলসি গ্যাবার্ড।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্রই শুরু হয়েছে। তবে সেখানকার পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগের।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিশ্বব্যাপী যে প্রচেষ্টা তা একই আদর্শ এবং উদ্দেশ্যের দিকে পরিচালিত হয়; সেটি হলো ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা।

এটি অন্য যেকোনো ধর্মের লোকদের প্রভাবিত করে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের মতাদর্শ ও উগ্র ইসলামপন্থাকে ঠেকাতে তৎপর। ইসলামী সন্ত্রাসবাদকে পরিচালিত করে এমন আদর্শ চিহ্নিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি এই আদর্শ ও সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান।

মন্তব্য

সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষ, হিজবুল্লাহর দিকে আঙুল দামেস্কের

আলজাজিরা
আলজাজিরা
শেয়ার
সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষ, হিজবুল্লাহর দিকে আঙুল দামেস্কের
ফাইল ছবি : আলজাজিরা

লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার পর্যন্ত চলা এই সহিংসতা শুরু হয় সপ্তাহান্তের কয়েকটি সংঘর্ষের পর, যেখানে তিনজন সিরীয় সেনা নিহত হন। দামেস্ক এই সংঘর্ষের জন্য লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তারা যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সিরীয় সেনাবাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় জড়ো হওয়া হিজবুল্লাহ সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে, যাদের গুলিতেই সিরীয় সেনারা নিহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী সোমবারের সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে’ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংঘর্ষে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া গেছে, যদিও এটি স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

লেবাননের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে।

পাশাপাশি দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে এক সিরীয় সামরিক গাড়ির ওপর হামলার পর সেখানে স্বল্পমাত্রার লড়াই হয়। এ ছাড়া লেবাননের দিক থেকে ছোড়া এক কামানের গোলার আঘাতে সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকা চার সাংবাদিক সামান্য আহত হন। তারা হিজবুল্লাহকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন।

আরো পড়ুন
ইরাকে বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় আইএস নেতা নিহত

ইরাকে বিমান হামলায় শীর্ষস্থানীয় আইএস নেতা নিহত

 

অভিযোগ
সংঘর্ষে ঠিক কোন লেবানিজ গোষ্ঠী জড়িত, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে শনিবার সিরিয়ায় প্রবেশ করে তিনজন সেনাকে অপহরণ ও পরে লেবাননের মাটিতে তাদের হত্যা করার অভিযোগ এনেছে।

সম্প্রতি সিরীয় সেনাবাহিনী ও দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার ভেতরে আসাদপন্থী সেনা ও আলাউইত সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতায় বহু প্রাণহানি ঘটে। ওই সংঘর্ষের সঙ্গেও লেবাননের কিছু গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা ছিল বলে লেবাননের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে লেবানন ও সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সীমান্তের উত্তেজনা কমাতে তারা পারস্পরিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে।

লেবাননের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা নিহত তিন সিরীয় সেনার মরদেহ সিরিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছে।

সোমবার পর্যন্ত নতুন কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতভর সংঘর্ষ ও গোলাবর্ষণের কারণে সীমান্ত এলাকার বেসামরিক লোকজন পালিয়ে সিরিয়ার হেরমেল অঞ্চলের দিকে আশ্রয় নিচ্ছে। লেবানন-সিরিয়া সীমান্ত ৩৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে অনেক জায়গায় কোনো সুস্পষ্ট সীমারেখা নেই এবং ভূ-প্রকৃতি বেশ দুর্গম।

আরো পড়ুন
সিরিয়ায় সাংবিধানিক ঘোষণায় স্বাক্ষর আল-শারার, কী আছে এতে

সিরিয়ায় সাংবিধানিক ঘোষণায় স্বাক্ষর আল-শারার, কী আছে এতে

 

হিজবুল্লাহ সিরীয় সেনাদের অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। লেবাননের জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ আইন প্রণেতা হুসেইন হাজ হাসান দেশটির আল-জাদিদ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, সিরীয় দিক থেকে আসা যোদ্ধারা লেবাননের ভেতরে প্রবেশ করে সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে লেবানন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়ে আসছে, যাতে তার সামরিক বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে সিরিয়ার সঙ্গে উত্তরের ও পূর্বের সীমান্ত এবং দক্ষিণে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে কার্যকরভাবে মোতায়েন করা যায়। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দুই যোদ্ধাকে টার্গেট করেছে।

মন্তব্য

ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পের চিঠি তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন : ইরান
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি : এএফপি

তেহরান সোমবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন, যেখানে তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিন তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকাই বলেন, ‘চিঠির বিষয়বস্তু ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্যের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয় এবং এটি একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি।’

তিনি আরো বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষ হলে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে এর উত্তর প্রদান করব।’

আরো পড়ুন
ড্রোন-অ্যাপ দিয়ে যেভাবে হিজাববিহীন নারীদের ধরছে ইরান

ড্রোন-অ্যাপ দিয়ে যেভাবে হিজাববিহীন নারীদের ধরছে ইরান

 

ট্রাম্প জানিয়েছেন, চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশে লেখা হয়েছিল এবং এটি গত বুধবার তেহরানে পৌঁছে দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ।

সেই একই দিনে খামেনি কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আলোচনা ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না’ বরং ‘নিষেধাজ্ঞার গিঁট আরো শক্ত করবে’।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ