<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মধ্যপ্রাচ্যের মরুদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাথাপিছু আয় ৭০ হাজার ডলারের (৮৪ লাখ টাকা) কাছাকাছি, সেই দেশের মানুষও নাকি মৌমাছির মধু শিকার করে জীবন বাঁচায়! মরুময় এই দেশটির একটি যাযাবর গোষ্ঠী বংশপরম্পরায় পাহাড় থেকে মধু সংগ্রহ করে। এই গোষ্ঠীটির সাহসী প্রজন্মের একজন হচ্ছে সাইয়িদ রাশিদ আল হিফাইতি। বয়স সবে বারো। তবে বাবা ও বড় পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে পাহাড় ও দুর্গম জনপদ পাড়ি দিতে দিতে রাশিদ এখন পাকা মধু শিকারি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত অল্প বয়সী শিশুরা সাধারণত মধু শিকারে বেরোয় না। মৌমাছির হুলের যন্ত্রণা তারা সইতে পারে না। কিন্তু রাশিদের জন্য মৌমাছির হুল এখন ডালভাত হয়ে গেছে। সাপেও তাকে কেটেছে। তার পরও পিছ পা হয়নি রাশিদ। যখন তার বয়স মাত্র সাত ছিল, তখনই সে পরিবারের সঙ্গে পাহাড়ি জনপদে মধুর সন্ধানে নেমে পড়ে। রাশিদ বলে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মৌচাকে হাত দিতে গিয়ে প্রথম দিনই মৌমাছির কামড় খেলাম। এই পরিস্থিতি আমার বাবা ও ভাইয়েরা কিভাবে সামাল দিচ্ছেন, সেটা দেখার পর আমি মৌমাছির হুলের যন্ত্রণা সহ্য করা শিখে গেলাম। ধীরে ধীরে আস্থা বেড়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাশিদের পরিবার এসেছে মূলত ফুজাইরা থেকে। ওই জনপদের লোকেরা বংশপরম্পরায় মধু শিকার করে। রাশিদের বড় ভাই আহমেদ রাশিদ আল হিফাইতি (৩০ বছর) বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যতদূর মনে পড়ে, মধু আহরণ করেই তো আমাদের জীবন কাটছে। আমাদের পূর্বপুরুষরাও একই কাজ করতেন। তাদের মতো আমরাও দুবাইয়ে গিয়ে মধু বেচি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাশিদদের মতো যারা এই পেশায় জড়িত, তাদের কাছে এটা শুধু ব্যবসাই নয়; এটা তাদের জীবনপদ্ধতিও। কারণ যেসব আমিরাতি এখনো মধু শিকার করে, তারা এই কাজটি করতে গিয়ে কঠোরভাবে নৈতিকতা বজায় রেখে চলে। চিহ্ন দেখেই তারা বুঝতে পারে, মৌচাকটি এর আগে কেউ শনাক্ত করে দখলচিহ্ন রেখে গেছে। সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></span></span></p> <p> </p>