হামাস আজ বৃহস্পতিবার চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে এটি হতে পারে। এতে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অচলাবস্থা কাটছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের জন্য আলোচনা চলছে।
তবে কিছু জটিলতা এবং দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়নে ভঙ্গুরতা প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
গতকাল বুধবার ইসরায়েলে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ শিরি বিবাস এবং তাঁর ছেলেদের ফেরতের দাবিতে জমায়েত হয়েছিল। তারা গাজায় বন্দি অবস্থায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিল। হামাস জানিয়েছে, শিরি বিবাস, তাঁর দুই ছেলে কেফির ও এরিয়েল এবং চতুর্থ বন্দি ওদেদ লিফশিেজর মরদেহ গাজার দক্ষিণ নগরী খান ইউনিসে ফেরত পাঠানো হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ থেমেছে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে। যুদ্ধবিরতির পর এ পর্যন্ত শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ২৫ জন ইসরায়েলিকে জীবিত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে জানিয়েছে, জিম্মি বন্দি বিনিময় আজ অনুষ্ঠিত হবে। হামাস এবং অন্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলি বন্দিদের মধ্যে চারজনের মরদেহ হস্তান্তর করবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ৬০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
এই বিনিময় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
রিমান্ডে শরীরে এসিড ছুড়ে মারে ইসরায়েলি সেনারা : ইসরায়েলের সেনা হেফাজতে রিমান্ড চলাকালে দেশটির সেনারা শরীরে এসিডসহ অন্যান্য দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ ছুড়ে নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনি বন্দি।
ইসরায়েলি সেনাদের এমন নৃশংসতার বর্ণনা দেন মোহাম্মদ আবু তাবিলা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর আবু তাবিলাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
আবু তাবিলা বলেন, ‘আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।
চোখেও আঘাত করেছে। গাজা সিটির সিভিল অ্যাফেয়ার্স অফিসের কাছের একটি এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা আমাকে অপহরণ করেছিল।’ সূত্র : এএফপি, আলজাজিরা