<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রদায়িকতা জিনিসটা নির্মম, কদর্য ও ক্ষতিকারক। সাম্প্রদায়িকতার কারণে দুটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ পরস্পরকে ঘৃণা করে। ঘৃণা পারস্পরিক সংঘর্ষেরও জন্ম দেয়। সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব দেখা গেছে রাজনীতিতেও। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় করণীয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। মূল বক্তব্য উত্থাপন করে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তার মতে, পৃথক নির্বাচনব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা হিন্দুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করতে পারত না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে একত্রে বসবাস করে এসেছে। আমাদের ইতিহাস বলছে, এই ভূখণ্ডে হাজার বছর ধরে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, চাকমা, সাঁওতালসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একসঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে এসেছে। সব স্রোত এক ধারায় এসে মিলিত হয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করেছে। বাঙালি সংস্কৃতির মূলকথাই তো অসাম্প্রদায়িকতা ও সম্প্রীতি। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব, উন্নতি, মর্যাদা ও শক্তির অন্যতম অবলম্বন বাঙালি সংস্কৃতিপ্রসূত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতি। বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মৌলিক আদর্শও তো বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। অথচ একটি চিহ্নিত অপশক্তি সব সময় এ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনরা যেসব কথা বলেছেন, তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাঙালি সংস্কৃতি ও চেতনা এ দেশের মূল চালিকাশক্তি। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পেছনের চালিকাশক্তি ছিল এই অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য। বাংলাদেশে এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী ধর্মকে তাদের রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে আসছে। বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক দেশের তকমা লাগানোর জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীও সক্রিয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর প্রতিকার কী? প্রতিকারে রাষ্ট্রের ভূমিকা দরকার। দরকার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগত তৎপরতা ও সচেতনতা। সব মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা দরকার।</span></span></span></span></p> <p> </p>