সম বা সুষম দ্রুতি কী?
উত্তর : বস্তুর দ্রুতির মান সর্বদা সমান থাকলে তাকে সম বা সুষম দ্রুতি বলে।
২৫। অসম দ্রুতি কাকে বলে?
উত্তর : বস্তুর দ্রুতির মান সর্বদা সমান না থাকলে তাকে অসম দ্রুতি বলে।
২৬। গড়বেগ কী?
উত্তর : নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে কোন বস্তুকণার মোট সরণকে ওই সময় ব্যবধান দিয়ে ভাগ করলে তাকে গড়বেগ বলে।
২৭। প্রাস বা প্রক্ষেপক কী?
উত্তর : অনুভূমিকের সঙ্গে কোণ বা নতি রেখে শূন্যে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিকে প্রাসের গতি বা প্রক্ষেপকের গতি বলে এবং উক্ত বস্তুকে প্রাস বা প্রক্ষেপক বলে। যেমন—বন্দুক থেকে ওপরের দিকে তির্যকভাবে নিক্ষিপ্ত বুলেটের গতি শূন্যে নিক্ষিপ্ত ফুটবলের গতি, বর্শার গতি, বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত বোমার গতি, তির্যকভাবে নিক্ষিপ্ত ঢিলের গতি ইত্যাদি প্রাস গতির উদাহরণ।
২৮। নিক্ষেপণ বিন্দু বা প্রক্ষেপণ বিন্দু কাকে বলে?
উত্তর : যে বিন্দু থেকে প্রাসকে শূন্যে নিক্ষেপ করা হয়, তাকে নিক্ষেপণ বিন্দু বা প্রক্ষেপণ বিন্দু বলে।
২৯। নিক্ষেপণ বেগ বা প্রক্ষেপণ বেগ কাকে বলে?
উত্তর : যে আদিবেগে প্রাসকে নিক্ষেপ করা হয়, তাকে নিক্ষেপণ বেগ বা প্রক্ষেপণ বেগ বলে।
৩০। নিক্ষেপণ কোণ বা প্রক্ষেপণ কোণ কী?
উত্তর : প্রাসকে নিক্ষেপ করার মুহূর্তে নিক্ষেপক বেগ অনুভূমিকের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে নিক্ষেপণ কোণ বা প্রক্ষেপণ কোণ বলে।
৩১। বিচরণ পথ কী?
উত্তর : প্রাস যে গতিপথ অনুসরণ করে, তাকে এর বিচরণ পথ বলে।
৩২। বিচরণকাল বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : প্রাস যে সময় ধরে শূন্যে বিচরণ করে, তাকে বিচরণকাল বলে।
৩৩। পতন বিন্দু কী?
উত্তর : প্রসঙ্গ তলের যে বিন্দুতে প্রাস পতিত হয়, তাকে পতন বিন্দু বলে।
৩৪। অনুভূমিক পাল্লা কাকে বলে?
উত্তর : প্রসঙ্গতলে প্রাসের নিক্ষেপণ বিন্দু থেকে পতন বিন্দুর মধ্যবর্তী রৈখিক দূরত্বকে অনুভূমিক পাল্লা বলে।
৩৫। সুষম-বৃত্তীয় গতি কী?
উত্তর : সুষম রৈখিক বা কৌণিক বেগে বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার গতিকে সুষম-বৃত্তীয় গতি বলে।
৩৬। অসম-বৃত্তীয় গতি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : অসম রৈখিক বা কৌণিক বেগে বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার গতিকে অসম-বৃত্তীয় গতি বলে।
৩৭। কৌণিক ত্বরণ কী?
উত্তর : ঘূর্ণনরত বস্তুকণার কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হারকে কৌণিক ত্বরণ বলে।
৩৮। সুষম কৌণিক ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হার সর্বদা সমান থাকলে তাকে সুষম কৌণিক ত্বরণ বলে।
৩৯। অসম-কৌণিক ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তর : কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হার সর্বদা সমান না থাকলে তাকে অসম কৌণিক ত্বরণ বলে।
৪০। কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার ওপর যে ত্বরণ ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়া করে বস্তুকণাকে বৃত্তাকার পথে চালিত করে, তাকে কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বা অভিকেন্দ্র ত্বরণ বা ব্যাসার্ধমুখী ত্বরণ বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১। সুষম বেগে গতিশীল বস্তুর দ্রুতি কি অসম হতে পারে?
উত্তর : বস্তুকণার গতিবেগ একটি ভেক্টর রাশি। এর মান ও দিক উভয়ই আছে। বেগ সুষম হলে এর মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকবে। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি। এর শুধু মান আছে। দ্রুতি অসম হলে এর মান অপরিবর্তিত হবে। কাজেই কোনো বস্তুর বেগ সুষম হলে এর দ্রুতিও সুষম হবে, কিন্তু দ্রুতি অসম হবে না।
২। সুষম দ্রুতিতে গতিশীল বস্তুর বেগ কি অসম হতে পারে?
উত্তর : দ্রুতি সুষম হলে এর মান অপরিবর্তিত থাকবে। তাই বেগের মানও পরিবর্তন হবে না। দিক পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেগ অসম হবে।
৩। ত্বরণহীন অবস্থায় কি কোনো বস্তুর বেগ থাকতে পারে?
উত্তর : সমবেগে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে না। কারণ বস্তুর বেগের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং দিকও অপরিবর্তিত থাকে। ফলে বেগ থাকলেও ত্বরণহীন হতে পারে।
৪। বস্তুর বেগ ও ত্বরণ কি বিপরীতমুখী হতে পারে?
উত্তর : পারে। চলমান ট্রেন স্টেশনের কাছে এসে ব্রেক করলে বেগ ও ত্বরণ (মন্দন) বিপরীতমুখী হয়। খাড়াভাবে নিক্ষিপ্ত বস্তুর বেগ ও ত্বরণ বিপরীতমুখী হয়।
৫। কোনো একটি প্রসঙ্গ কাঠামোতে সমবেগে গতিশীল বস্তু কি অন্য কোন প্রসঙ্গ কাঠামোতে স্থির থাকতে পারে?
উত্তর : পারে। অন্য কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোতে সমবেগে গতিশীল কোনো বস্তু নিজ দেহে বদ্ধ কাঠামাতে স্থির থাকতে পারে। সমবেগে চলমান গাড়ির চালক অন্য গাড়ির বেগ সম্বন্ধে সচেতন থাকে না।