ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫
২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৬

হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র : এইচএসসির প্রস্তুতি

  • এস এম জিহাদ, প্রভাষক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকা
শেয়ার
হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র : এইচএসসির প্রস্তুতি
অঙ্কন : শেখ মানিক

পঞ্চম অধ্যায়

যৌথ মূলধনী কম্পানির আর্থিক বিবরণী

 

[পূর্বপ্রকাশের পর]

   স্মারকলিপি/সংঘস্মারক/পরিমেলবন্ধ : স্মারকলিপি হলো কম্পানির মূল দলিল, সনদ বা সংবিধান, যাতে কম্পানির মূল বিষয়াবলি বিশেষত উদ্দেশ্য, কার্যপরিধি ও ক্ষমতার সীমা নির্দেশ করা হয় এবং যা দ্বারা কম্পানির সঙ্গে শেয়ারহোল্ডার ও তৃতীয় পক্ষের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়। এটিকে কম্পানির গঠনতন্ত্রও বলা হয়।

 

   স্মারকলিপি বা পরিমেলবন্ধের বিষয়বস্তু বা ধারাগুলো
স্মারকলিপি বা পরিমেলবন্ধে নিম্নোক্ত ছয়টি ধারা বা বিষয়বস্তু বিদ্যমান থাকে। যথা—

   ১. নাম ধারা;

   ২. অবস্থান ও ঠিকানা ধারা;

   ৩. উদ্দেশ্য ধারা;

   ৪. মূলধন ধারা;

   ৫. দায় ধারা;

   ৬. সম্মতি ধারা

 

   পরিমেল নিয়মাবলি/সংঘবিধি : কম্পানির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলো পরিমেল নিয়মাবলি বা সংঘবিধি।

এই দলিলে কম্পানির দৈনন্দিন অভ্যন্তরীণ পরিচালনার নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। স্মারকলিপিতে কম্পানির উদ্দেশ্যগুলো লিপিবদ্ধ থাকে, কিন্তু এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সেটা নির্দেশ করা হয় পরিমেল নিয়মাবলির মাধ্যমে।

 

   বিবরণপত্র : পাবলিক লিমিটেড কম্পানি নিবন্ধিত হওয়ার পর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগণকে কম্পানির শেয়ার/ঋণপত্র ক্রয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে যে প্রচারপত্র বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাকে কম্পানির বিবরণপত্র বলে।

 

   কম্পানির নিবন্ধনপত্র : আবেদনপত্রের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার দলিলপত্র, স্ট্যাম্প ফি, সরকারি ট্রেজারি চালান ফি ইত্যাদি সংযুক্ত করে নিবন্ধকের কাছে জমা দিলে নিবন্ধক যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলে তিনি নিবন্ধনসংক্রান্ত একটি পত্র ইস্যু করেন, এটিই নিবন্ধনপত্র।

নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পরপরই প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানি ব্যবসার কাজ শুরু করতে পারে। কিন্তু পাবলিক লিমিটেড কম্পানির ক্ষেত্রে এরূপ দলিল পাওয়ার পরও কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা না পর্যন্ত ব্যাবসায়িক কাজ শুরু করা যায় না।

 

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। পণ্যের বিক্রয়মূল্য থেকে বিক্রীত পণ্যের ব্যয় বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলে—

   ক. মোট লাভ  খ. মোট ব্যয়

   গ. ক্রয়কৃত পণ্যের ব্যয়

   ঘ. নিট লাভ

২।

কোনটি মালিকানাস্বত্বের অংশ নয়?

   ক. শেয়ার মূলধন

   খ. সাধারণ যন্ত্রপাতি

   গ. ঋণপত্র    ঘ. নিট লাভ

৩। রেওয়ামিলে পণ্য ক্রয় ৫৬,১৫০ টাকা, ক্রয় ফেরত ১,৫০০ টাকা। ক্রীত পণ্যের মধ্যে ১৫% হারে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত আছে। নিট ক্রয়ের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ কত?

   ক. ৪,৩৫০ টাকা   খ. ৭,১২৮ টাকা

   গ. ৭,৫০০ টাকা   ঘ. ৩৮,২৫০ টাকা

৪। বিক্রয় ভ্যাট, ক্রয় ভ্যাট অপেক্ষা বেশি হলে তা কম্পানির কী?

   ক. দায়      খ. আয়

   গ. সম্পদ     ঘ. ব্যয়

৫।

১০% হারে ১১ বছরের জন্য সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হলো—
এটি কোন ধরনের সম্পত্তি?

   ক. চলতি সম্পত্তি    খ. দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ

   গ. স্থায়ী সম্পত্তি ঘ. অসমন্বয়কৃত ব্যয়

৬। IAS-এর পূর্ণরূপ কী?

   ক. International Accounting Standards

   খ. Internal Accounting Sys tem

   গ. International Accounting Sys tem

   ঘ. Important Accounting Standard

৭। ঘোষিত লভ্যাংশের যে অংশ এখনো কেউ দাবি করেনি, তাকে বলে—

   ক. ঘোষিত লভ্যাংশ 
খ. অদাবীকৃত লভ্যাংশ

   গ. অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ

   ঘ. চূড়ান্ত লভ্যাংশ

৮। রক্ষিত আয় বিবরণীর মূল উদ্দেশ্য কী?

   ক. তহবিল বণ্টন

   খ. মোট মুনাফা বণ্টন

   গ. লভ্যাংশ বণ্টন

   ঘ. আয় বণ্টন

৯। রেওয়ামিলে ভাড়া ৩/৪ অংশ প্রদান ৩০,০০০ টাকা দেওয়া আছে। বিশদ আয় বিবরণীতে ভাড়া বাবদ মোট কত টাকা দেখাতে হবে?

   ক. ৪,৩৫০ টাকা   খ. ৪০,০০০ টাকা

   গ. ৭,৫০০ টাকা   ঘ. ৮,২৫০ টাকা

১০।           দবির বছরের শুরুতে ১,০০,০০০ টাকায় একটি পুরনো যন্ত্র ক্রয় করেন। যন্ত্রটির মেরামত ব্যয় ২০,০০০ টাকা ও সংস্থাপন ব্যয় ১০,০০০ টাকা নির্বাহ করা হয়। বছর শেষে ১২% হারে যন্ত্রপাতির অবচয় কত হবে?

   ক. ৪০,৭০০ টাকা  খ. ১৫,৬০০ টাকা

   গ. ৭৪,৫০০ টাকা  ঘ. ৮,২৫০ টাকা

১১।           প্রারম্ভিক মজুদ ১৫,০০০ টাকা, সমাপনী মজুদ ২০,০০০ টাকা, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ৮০,০০০

   টাকা। ক্রয়ের পরিমাণ কত?

   ক. ৪,৩৫০ টাকা   খ. ৮৫,০০০ টাকা

   গ. ৭,৫০০ টাকা   ঘ. ৮,২৫০ টাকা

১২।           করহার ১৫%, কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ১,২৭,৫০০ টাকা হলে প্রদেয় কর কত?

   ক. ২৩,৫০০ টাকা 

   খ. ২২,৫০০ টাকা

   গ. ৭২,৫০০ টাকা 

   ঘ. ৮১,০০০ টাকা

১৩।           মুনাফাবিহীন পণ্য বিক্রয় বাদ দিতে হয়—

   i. সমাপনী মজুদ থেকে
ii. ক্রয় থেকে 
iii. বিক্রয় থেকে

   নিচের কোনটি সঠিক?

   ক. র ও ii    খ. i ও iii

   গ. ii ও iii    ঘ. i, ii ও iii

 

  

উত্তর : ১. ক ২. গ ৩. খ ৪. ক ৫. খ ৬. ক ৭. খ ৮. ঘ ৯. খ ১০. খ ১১. খ ১২. খ ১৩. গ।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নবম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

    সজল কুমার দাস, সহকারী শিক্ষক, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাস, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
শেয়ার
নবম শ্রেণি : বাংলা প্রথম পত্র

গদ্য

শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব

মোতাহের হোসেন চৌধুরী

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

২৩। মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সঙ্গে তুলনা করা হলে ওপরের তলার নাম কী?

    উত্তর : মানবজীবনকে দোতলা বাড়ির সঙ্গে তুলনা করা হলে ওপরের তলার নাম মানবসত্তা।

২৪। সবাই কিসের নিগড়ে বন্দি?

    উত্তর : সকলে অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি।

২৫। মোতাহের হোসেন চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছেন?

    উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে।

২৬। ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে কী উপলব্ধি করা যায় না?

    উত্তর : ক্ষুৎপিপাসায় কাতর মানুষটিকে তৃপ্ত রাখতে না পারলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।

২৭। চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই, সেখানে কী নেই?

    উত্তর : চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে নেই, সেখানে মুক্তি নেই।

২৮। নিগড় শব্দের অর্থ কী?

    উত্তর : নিগড় শব্দের অর্থ বেড়ি।

২৯। লেফাফাদুরস্তি শব্দের অর্থ কী?

    উত্তর : লেফাফাদুরস্তি শব্দের অর্থ বাইরের দিক থেকে ত্রুটিহীনতা, কিন্তু ভেতরে প্রতারণা।

মন্তব্য

ষষ্ঠ শ্রেণি : গণিত

    সাধন সরকার, সহকারী শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ
শেয়ার
ষষ্ঠ শ্রেণি : গণিত
বই হাতে শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

অনুশীলনী-১.২

স্বাভাবিক সংখ্যা ও ভগ্নাংশ

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

১। ১ থেকে ৩০-এর মধ্যে মৌলিক সংখ্যা কতটি?

    ক. ১০        খ. ১১   

    গ. ১২           ঘ. ৮

২। ১৫-এর গুণনীয়ক কয়টি?

    ক. ১        খ. ২   

    গ. ৩             ঘ. ৪

৩। ৯১-এর মৌলিক উৎপাদক কয়টি?

    ক. ২             খ. ৪

    গ. ৩             ঘ. ১

৪।

১০-এর কতগুলো গুণনীয়ক রয়েছে?

    ক. ৪             খ. ৩

    গ. ২             ঘ. ১

৫। ২৯৭ সংখ্যাটি নিচের কোন সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ৯             খ. ৭

    গ. ৮             ঘ. ৬

৬। নিচের কোন সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য নয়?

    ক. ৯৯৯                খ. ১০২০

    গ. ৩৩৩                ঘ. ৬৭৭

৭। ৮৫৪২ সংখ্যাটি কত দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ৩             খ. ২

    গ. ৬             ঘ. ৯

৮।

একক ও দশক উভয় স্থানের অঙ্ক ০ হলে সংখ্যাটি কত দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ৩             খ. ৪

    গ. ৭             ঘ. ৯

৯। কোন সংখ্যাটি ৯ দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ১২৬                খ. ১২৭

    গ. ৩২৭                ঘ. ১২৩

১০।  নিচের কোন সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ১০২০         খ. ২২৬

    গ. ৬৭৭                ঘ. ৮৩৩

১১। ১১ থেকে ২০-এর মধ্যে কয়টি মৌলিক সংখ্যা আছে?

    ক. ২             খ. ৩

    গ. ৪             ঘ. ৫

১২।

গুণনীয়ককে কী বলা হয়?

    ক. উৎপাদক        খ. গুণক

    গ. গুণ্য                ঘ. গুণফল

১৩। মৌলিক সংখ্যার গুণনীয়ক কয়টি?

    ক. ৪                  খ. ৩

    গ. ২                 ঘ. ১

১৪। ২১ থেকে ৩০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা কয়টি?

    ক. ১            খ. ২

    গ. ৩            ঘ. ৪

১৫। নিচের কোনটি যৌগিক সংখ্যা?

    ক. ১১                 খ. ১৯

    গ. ২১                 ঘ. ২৯

১৬। ৫০০ শব্দটি

          i. ৪ দ্বারা বিভাজ্য

          ii. ২ দ্বারা বিভাজ্য

          iii. ৩ দ্বারা বিভাজ্য

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

         খ. i iii   

    গ. ii iii

         ঘ. i, iiiii

    নিচের তথ্যের আলোকে ১৭ ও ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

    ৭, ৮, ৬, ০ ও ৫  হলো পাঁচটি অঙ্ক।

১৭। অঙ্কগুলো দ্বারা গঠিত ক্ষুদ্রতম সংখ্যা কোনটি?

    ক. ৮৭৬৫০         খ. ৫৬৭৮০

    গ. ৫৬৭৮               ঘ. ৫০৬৭৮

১৮। গঠিত ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি নিচের কোন সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য?

    ক. ৫             খ. ৩ 

    গ. ৪             ঘ. ২

১৯। ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত কয়টি মৌলিক সংখ্যা রয়েছে?

    ক. ২০        খ. ২৩ 

    গ. ২১                 ঘ. ২৫

২০। নিচের কোনটি যৌগিক সংখ্যা?

    ক. ৫০            খ. ৪৩ 

    গ. ৪৭            ঘ. ৪১

২১। মৌলিক সংখ্যা

          i. ১ হতে বৃহত্তর

          ii. ২ কেবল জোড় সংখ্যা

          iii. ৩ কেবল বিজোড় সংখ্যা

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

         খ. i iii   

    গ. ii iii

    ঘ. i, ii iii

    নিচের তথ্যের আলোকে ২২ ও ২৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

    ৩৩, ২৭, ১১, ৯ ও ৭ পাঁচটি সংখ্যা।

২২। সংখ্যাগুলোর মধ্যে ৭-এর সহমৌলিক সংখ্যা কোনটি?

    ক. ২             খ. ৩ 

    গ. ৪             ঘ. ৫

২৩। উদ্দীপকে পরস্পর সহমৌলিক ও মৌলিক সংখ্যা কোনটি?

    ক. ৭ ও ১১        খ. ৯ ও ৩৩  

    গ. ২৭ ও ৩৩      ঘ. ৭ ও ৯

২৪। ১০৭৪ সংখ্যাটি

          i. ২ দ্বারা বিভাজ্য

          ii. ৪ দ্বারা বিভাজ্য

          iii. ৩ দ্বারা বিভাজ্য

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

         খ. i iii   

    গ. ii iii

   ঘ. i, ii iii

 

    উত্তর : ১. ক ২. ঘ ৩. ক ৪. ক ৫. ক ৬. ঘ ৭. খ ৮. খ ৯. ক ১০. ক ১১. গ ১২. ক ১৩. গ ১৪. খ ১৫. গ ১৬. ক ১৭. ঘ  ১৮. ঘ ১৯. ঘ ২০. ক ২১. ক ২২. গ ২৩. ক ২৪. খ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র

    বিশ্বজিৎ দাস, সহযোগী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

তৃতীয় অধ্যায়

গতিসূত্র

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

[পূর্বপ্রকাশের পর]

১৭। গতিশীল বস্তু এবং গতি কী?

    উত্তর : পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তু অবস্থানের পরিবর্তন করলে, তাকে গতিশীল বস্তু বলে এবং বস্তুটির গতিশীল থাকার অবস্থাকে গতি বলে।

১৮। পরম গতি কাকে বলে?

    উত্তর : প্রকৃত স্থির কোনো পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনকে পরম গতি বলে।

এ বিশ্বে পরম গতি সম্ভব নয়।

১৯। আপেক্ষিক গতি বলতে কী বুঝ? 

    উত্তর : গতিশীল বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতিকে আপেক্ষিক গতি বলে। এ বিশ্বের সব গতিই আপেক্ষিক গতি।

২০। দূরত্ব কী?

    উত্তর : গতিশীল বস্তু যে পথ অতিক্রম করে, সেই পথের দৈর্ঘ্যকে দূরত্ব বলে।

২১। সরণ কী?

    উত্তর : নির্দিষ্ট দিকে পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে বস্তুকণার অবস্থান পরিবর্তন করাকে সরণ বলে।

২২। গড় দ্রুতি কাকে বলে? 

    উত্তর : কোনো গতিশীল বস্তু কর্তৃক অতিক্রান্ত মোট দূরত্ব এবং মোট সময়ের ভাগফলকে গড় দ্রুতি বলে।

২৩। দ্রুতি বা তাৎক্ষণিক দ্রুতি বা তাৎক্ষণিক রৈখিক দ্রুতি বলতে কী বোঝায়?

    উত্তর : সময়ের ব্যবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে গড় দ্রুতির সীমান্তিক মানকেই দ্রুতি বা তাৎক্ষণিক দ্রুতি বা তাৎক্ষণিক রৈখিক দ্রুতি বলে।

২৪।

সম বা সুষম দ্রুতি কী? 

    উত্তর : বস্তুর দ্রুতির মান সর্বদা সমান থাকলে তাকে সম বা সুষম দ্রুতি বলে।

২৫। অসম দ্রুতি কাকে বলে? 

    উত্তর : বস্তুর দ্রুতির মান সর্বদা সমান না থাকলে তাকে অসম দ্রুতি বলে।

২৬। গড়বেগ কী?

    উত্তর : নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে কোন বস্তুকণার মোট সরণকে ওই সময় ব্যবধান দিয়ে ভাগ করলে তাকে গড়বেগ বলে।

২৭। প্রাস বা প্রক্ষেপক কী?

    উত্তর : অনুভূমিকের সঙ্গে কোণ বা নতি রেখে শূন্যে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিকে প্রাসের গতি বা প্রক্ষেপকের গতি বলে এবং উক্ত বস্তুকে প্রাস বা প্রক্ষেপক বলে। যেমনবন্দুক থেকে ওপরের দিকে তির্যকভাবে নিক্ষিপ্ত বুলেটের গতি শূন্যে নিক্ষিপ্ত ফুটবলের গতি, বর্শার গতি, বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত বোমার গতি, তির্যকভাবে নিক্ষিপ্ত ঢিলের গতি ইত্যাদি প্রাস গতির উদাহরণ।

২৮। নিক্ষেপণ বিন্দু বা প্রক্ষেপণ বিন্দু কাকে বলে?

    উত্তর : যে বিন্দু থেকে প্রাসকে শূন্যে নিক্ষেপ করা হয়, তাকে নিক্ষেপণ বিন্দু বা প্রক্ষেপণ বিন্দু বলে।

২৯। নিক্ষেপণ বেগ বা প্রক্ষেপণ বেগ কাকে বলে?

    উত্তর : যে আদিবেগে প্রাসকে নিক্ষেপ করা হয়, তাকে নিক্ষেপণ বেগ বা প্রক্ষেপণ বেগ বলে।

৩০। নিক্ষেপণ কোণ বা প্রক্ষেপণ কোণ কী?

    উত্তর : প্রাসকে নিক্ষেপ করার মুহূর্তে নিক্ষেপক বেগ অনুভূমিকের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে নিক্ষেপণ কোণ বা প্রক্ষেপণ কোণ বলে।

৩১। বিচরণ পথ কী? 

    উত্তর : প্রাস যে গতিপথ অনুসরণ করে, তাকে এর বিচরণ পথ বলে।

৩২। বিচরণকাল বলতে কী বুঝায়? 

    উত্তর : প্রাস যে সময় ধরে শূন্যে বিচরণ করে, তাকে বিচরণকাল বলে।

৩৩। পতন বিন্দু কী? 

    উত্তর : প্রসঙ্গ তলের যে বিন্দুতে প্রাস পতিত হয়, তাকে পতন বিন্দু বলে।

৩৪। অনুভূমিক পাল্লা কাকে বলে? 

    উত্তর : প্রসঙ্গতলে প্রাসের নিক্ষেপণ বিন্দু থেকে পতন বিন্দুর মধ্যবর্তী রৈখিক দূরত্বকে অনুভূমিক পাল্লা বলে।

৩৫। সুষম-বৃত্তীয় গতি কী? 

    উত্তর : সুষম রৈখিক বা কৌণিক বেগে বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার গতিকে সুষম-বৃত্তীয় গতি বলে।

৩৬। অসম-বৃত্তীয় গতি বলতে কী বুঝায়?

    উত্তর : অসম রৈখিক বা কৌণিক বেগে বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার গতিকে অসম-বৃত্তীয় গতি বলে।

৩৭। কৌণিক ত্বরণ কী? 

    উত্তর : ঘূর্ণনরত বস্তুকণার কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হারকে কৌণিক ত্বরণ বলে।

৩৮। সুষম কৌণিক ত্বরণ কাকে বলে?

    উত্তর : কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হার সর্বদা সমান থাকলে তাকে সুষম কৌণিক ত্বরণ বলে।

৩৯। অসম-কৌণিক ত্বরণ কাকে বলে?

    উত্তর : কৌণিক বেগের বৃদ্ধির হার সর্বদা সমান না থাকলে তাকে অসম কৌণিক ত্বরণ বলে।

৪০। কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বলতে কী বুঝায়?

    উত্তর : বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণনরত বস্তুকণার ওপর যে ত্বরণ ব্যাসার্ধ বরাবর কেন্দ্রের দিকে ক্রিয়া করে বস্তুকণাকে বৃত্তাকার পথে চালিত করে, তাকে কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বা অভিকেন্দ্র ত্বরণ বা ব্যাসার্ধমুখী ত্বরণ বলে।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

১।  সুষম বেগে গতিশীল বস্তুর দ্রুতি কি অসম হতে পারে?

    উত্তর : বস্তুকণার গতিবেগ একটি ভেক্টর রাশি। এর মান ও দিক উভয়ই আছে। বেগ সুষম হলে এর মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকবে। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি। এর শুধু মান আছে। দ্রুতি অসম হলে এর মান অপরিবর্তিত হবে। কাজেই কোনো বস্তুর বেগ সুষম হলে এর দ্রুতিও সুষম হবে, কিন্তু দ্রুতি অসম হবে না।

 

২।  সুষম দ্রুতিতে গতিশীল বস্তুর বেগ কি অসম হতে পারে?

    উত্তর : দ্রুতি সুষম হলে এর মান অপরিবর্তিত থাকবে। তাই বেগের মানও পরিবর্তন হবে না। দিক পরিবর্তন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেগ অসম হবে।

৩।  ত্বরণহীন অবস্থায় কি কোনো বস্তুর বেগ থাকতে পারে?

    উত্তর : সমবেগে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে না। কারণ বস্তুর বেগের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না এবং দিকও অপরিবর্তিত থাকে। ফলে বেগ থাকলেও ত্বরণহীন হতে পারে।

৪।  বস্তুর বেগ ও ত্বরণ কি বিপরীতমুখী হতে পারে?

    উত্তর : পারে। চলমান ট্রেন স্টেশনের কাছে এসে ব্রেক করলে বেগ ও ত্বরণ (মন্দন) বিপরীতমুখী হয়। খাড়াভাবে নিক্ষিপ্ত বস্তুর বেগ ও ত্বরণ বিপরীতমুখী হয়।

৫।  কোনো একটি প্রসঙ্গ কাঠামোতে সমবেগে গতিশীল বস্তু কি অন্য কোন প্রসঙ্গ কাঠামোতে স্থির থাকতে পারে?

    উত্তর : পারে। অন্য কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোতে সমবেগে গতিশীল কোনো বস্তু নিজ দেহে বদ্ধ কাঠামাতে স্থির থাকতে পারে। সমবেগে চলমান গাড়ির চালক অন্য গাড়ির বেগ সম্বন্ধে সচেতন থাকে না।

মন্তব্য

বৈসাবি

    সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা বৈসাবি সম্পর্কে জেনেছ। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠীর নববর্ষের এই উৎসব বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
শেয়ার
বৈসাবি
ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বৈসাবী উৎসব। ছবি : সংগৃহীত

বৈসাবির শিকড় মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৌদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার মতো দেশগুলোতে একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়, যা স্থানীয়ভাবে সংক্রান নামে পরিচিত। এ বছর ১৩ এপ্রিল পালিত হবে বৈসাবি। ধারণা করা হয়, শত শত বছর আগে আরাকান ও বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে আসার সময় তাদের সাংগ্রাই উৎসব সঙ্গে নিয়ে আসে।

একইভাবে চাকমা ও ত্রিপুরাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও উৎসবও ধীরে ধীরে একসঙ্গে মিলিত হয়ে বৈসাবি নাম ধারণ করে। মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা মূলত বৃহত্তর মঙ্গোলয়েড জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তিব্বত থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত নতুন বছর শুরু হয় বৈশাখ মাসে। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি জনগোষ্ঠী নিজেদের নববর্ষ পালন করে থাকে এই সময়।
বৈসাবি নামটি তিনটি জনগোষ্ঠীর উৎসবের প্রথম অক্ষর নিয়ে তৈরি হয়েছে। চাকমাদের বিজু, মারমাদের সাংগ্রাই ও ত্রিপুরাদের বৈসু’—এই তিন উৎসব মিলেই বৈসাবি। যদিও প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে উদযাপনের ধরন কিছুটা আলাদা, তবু উৎসবের মূল চেতনায় থাকে আনন্দ, ভালোবাসা ও নতুন বছরের শুভ সূচনা।

চাকমারা তিন দিনব্যাপী বিজু পালন করে।

প্রথম দিন ফুল বিজু, যেখানে নদীতে ফুল ভাসিয়ে শুভ কামনা জানানো হয়।

দ্বিতীয় দিন মূল বিজু, যেদিন ঘরে ঘরে বিশেষ খাবার পাজন রান্না হয়, সবাই মিলে খাওয়াদাওয়া করে, গান-বাজনায় মেতে ওঠে। তৃতীয় দিন গোজ্যেপোজ্যে, যা বিশ্রামের দিন। এই দিনে ধর্মীয় প্রার্থনা করা হয়। মারমাদের উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ জলকেলি।

তরুণ-তরুণীরা একে অন্যের গায়ে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে। এটিকে তারা পবিত্রতার প্রতীক মনে করে। এ ছাড়া বুদ্ধমূর্তি স্নান করানো হয় এদিন। ত্রিপুরারা ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, বড়দের আশীর্বাদ নেওয়া ও ঐতিহ্যবাহী নাচ-গানের মাধ্যমে উদযাপন করে বৈসু। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ে বসবাসকারী  এই জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। চাকমারা বড় কোনো গাছ থাকলে তার নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে সম্মান জানিয়ে থাকে। গৃহপালিত পশুদেরও বিশ্রাম দেয় এদিন। বিজু উৎসব চলাকালে কোনো জীবিত প্রাণী হত্যা করা নিষেধ চাকমা সম্প্রদায়ের মধ্যে।

পার্বত্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে এই উৎসবের মাধ্যমে।

আল সানি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ