প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) কিংবা মন্ত্রীদের প্রভাব থাকে। প্রশাসনেও তাঁরা সেই প্রভাব বিস্তার করেন। আর সেই সুযোগে অনেক এমপি-মন্ত্রী তাঁদের আত্মীয়-স্বজনকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন। সেই তালিকায় সন্তান, আপন ভাই, চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, চাচা, শ্যালকসহ নানা ধরনের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
মাঠ ছাড়ছেন না মন্ত্রী ও এমপির আত্মীয়রা
- * নির্বাচনী মাঠে অন্তত ৩০ ঘনিষ্ঠ স্বজন * ১৪ ভাই, ৬ ছেলে, ২ চাচা, ২ শ্যালক ও একাধিক ভাতিজা-ভাগ্নে নির্বাচনে * কাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন
শরীফুল আলম সুমন

সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশ কিছু আসনে বিজয়ী হলেও তাঁরাও মূলত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
দলীয় প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পরই বিভিন্ন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন যেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মাদারীপুর সদরের সংসদ সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এবং নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীকে ফোন করে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। এই দুই উপজেলায় সংসদ সদস্যের ছেলেরা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। সংসদ সদস্যরাও সন্তানদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন।
এদিক গতকাল শনিবার দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে এমপি-মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহবান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিকটজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তালিকা তৈরি হচ্ছে।
এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দলের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের একটি চেইন অব কমান্ড আছে। তা মেনেই যাদের স্বজন নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন, তাঁদের আমরা সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। এখন দেখা যাক, তাঁরা কী করেন! যদি তাঁরা দলের সিদ্ধান্ত না মানেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁদের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবে।’
কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অন্তত ৩০টি উপজেলায় এমপি-মন্ত্রীদের ঘনিষ্ঠ স্বজনরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে সন্তান, আপন ভাই, চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, চাচা, শ্যালকসহ নানা ধরনের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। এ ছাড়া আত্মীয়তার সূত্র ধরলে এই সংখ্যা অর্ধশতাধিক হবে।
সোনাতলা উপজেলা : বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। যদিও তাঁর কোনো দলীয় পদ নেই। এ ছাড়া সাহাদারা মান্নান এমপির ভাই অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লিটনও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী। তিনি বর্তমানে সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা : বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ আগৈলঝাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা : দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার। গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য এবং সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের আপন ছোট ভাই।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সদর দক্ষিণ উপজেলাবাসী ও আমার সব নেতাকর্মীর চাপে, দলের বিভাজন দূর করার জন্য এবং সংসদ সদস্য আ হ ম মুস্তফা কামালের মান-সম্মান রক্ষার্থে আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শ্রীপুর উপজেলা : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে গতকাল শনিবার পর্যন্ত তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জামিল হাসান দুর্জয়ও আছেন। দুর্জয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর ও সদরের তিন ইউনিয়ন) আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসির বড় ভাই। গত শুক্রবার শ্রীপুরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এক সমাবেশে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন দুর্জয়।
কুষ্টিয়া সদর : কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা।
মাদারীপুর সদর : মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান প্রার্থী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদর : মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইসরাফিল হোসেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক স্বপনের আপন ফুফাতো ভাই। ইসরাফিল হোসেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি।
মুন্সীগঞ্জ সদর : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় এবারও প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিছ উজ্জামান। তিনি মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের বর্তমান এমপি আলহাজ ফয়সাল বিপ্লবের আপন চাচা।
পলাশ : নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র মো. শরীফুল হক। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই)।
ডিমলা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের চাচাতো ভাই মো. আনোয়ারুল হক সরকার এবং ভাতিজা মো. ফেরদৌস পারভেজ প্রার্থী হয়েছেন।
সুবর্ণচর : নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক সাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
বেড়া : পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া ) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার মো. সামছুল হক টুকুর ছোট ভাই বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন বেড়া উপেজলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
ভাঙ্গুরা : পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের সংসদ সদস্য এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন।
সিংড়া : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক মো. লুত্ফুল হাবিব রুবেল সিংড়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
ধনবাড়ী : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবারও প্রার্থী হয়েছেন হারুনার রশীদ হিরা। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের আপন খালাতো ভাই।
মহেশখালী : কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের চাচাতো ভাইপো হাবিব উল্লাহ মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
কালিয়াকৈর : গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভাতিজা মুরাদ কবীর গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর : চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের ভাতিজা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তিনি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দামুড়হুদা : চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বড়লেখা : মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সোয়েব আহমদ নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শুক্রবারও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ করছেন।
ফুলবাড়ী : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।
অন্যান্য উপজেলা : এ ছাড়া নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশীক আলী হাতিয়া উপজেলায়, পিরোজপুর-১ আসনের শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলায়, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচাসহ তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। বরিশাল-৬ আসনের এমপি আব্দুল হাফিজ মল্লিকের ভাই বাকেরগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন কালের কণ্ঠ’র জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা]
সম্পর্কিত খবর

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা
খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে পৃথক আবেদন (লিভ টু আপিল) করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
এসব আবেদন গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য ছিল বলে সাংবাদিকদের জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরের আইনজীবী ছিলেন তিনি।
গত বছর ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ে বলা হয়, আইনের ভিত্তিতে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ফলে বিচারিক আদালতের বিচার অবৈধ। তাই বিচারিক আদালতের ডেথ রেফারেন্স নাকচ এবং আসামিদের আপিল মঞ্জুর করা হলো। এ রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবরসহ বিচারিক আদালত যাঁদের সাজা দিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে খালাস দেওয়া হয়।
খালাসের এ রায়ের বিরুদ্ধে ‘আপিল করা উচিত’ বলে সেদিন মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।

সংস্কারে এখনো লিখিত মতামত দেয়নি বিএনপিসহ বড় দলগুলো
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু আজ
নিখিল ভদ্র

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম দিনের সংলাপে অংশ নেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। লিখিত মতামত পাওয়ার পর অন্য দলগুলোকে সংলাপে ডাকবে কমিশন। তবে এখনো বিএনপিসহ বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকে লিখিত মতামত জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার কালের কণ্ঠকে জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হচ্ছে। সংসদ ভবনের এলডি হলে এই সংলাপে প্রথম দিনে অংশ নেবে এলডিপি। আগামী শনিবার দুটি এবং রবিবার একটি দল সংলাপে অংশ নেবে। পর্যায়ক্রমে সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সংস্কার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে। কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে আমাদের পার্টি ফোরামে আলোচনা হয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে মতামত দেওয়ার বিষয়ে এরই মধ্যে কমিশনকে জানিয়েছি।’ জোটগতভাবে সংলাপে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো সুপারিশগুলোর বিষয়ে লিখিতভাবে মতামত জানানো হবে।’
সূত্র মতে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। তারা সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনগুলো থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ চিহ্নিত করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন-সংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ রয়েছে। ওই সুপারিশগুলো ছক আকারে বিন্যস্ত করা হয়েছে। ওই ছকগুলো গত ৬ মার্চ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ১২টি দল নিবন্ধিত নয়। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৯। কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোকে তাদের মতামত জানানোর জন্য বলা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে সাতটি দল মতামত দিলেও পরবর্তী সময়ে আরো আটটি দল মতামত জমা দিয়েছে। অন্যরা অতিরিক্ত সময় নিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, ঐকমত্য কমিশনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি। এ পর্যন্ত মতামত জমা দেওয়া ১৫টি দল হলো এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), আমজনতার দল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), নাগরিক ঐক্য, জাতীয় গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ জাসদ।
মতামত দেওয়ার জন্য সময় নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

অর্থ উপেদষ্টা
দেশীয় শিল্প সুরক্ষার বাজেট দেওয়া হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা ভাতা বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আগামী বাজেটে ব্যক্তি খাতের করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকার করার প্রস্তাব দিয়েছেন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের শীর্ষ নির্বাহীরা। একই সঙ্গে বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাজেট বক্তব্যের কলেবর কমানো, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং নির্ভুল ডাটা-পরিসংখ্যান তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তাঁরা।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাজেট দিয়ে যেতে চাই যেটি পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সরকার যে-ই আসুক, যেন ছুড়ে ফেলে দিতে না পারে, আমরা সেভাবেই একটি বাজেট দিতে চাই। আগামী বাজেটে আমরা প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছি না, বরং আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেই প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছি। আমরা দেশীয় শিল্প সুরক্ষার একটি বাজেট দিতে চাই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উৎপাদনমুুখিতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, ‘সামনেই তো নির্বাচন। আর জুনে নতুন বাজেট। ফলে আপনারা যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন সেটা পরবর্তী সরকারের জন্য কতটা সহায়ক হবে?’ যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার বলেন, ‘বিপর্যস্ত অর্থনীতি সামলাতে আপনি সফল হয়েছেন। এ জন্য ধন্যবাদ আপনি পেতেই পারেন। আগামী বাজেট সত্যিই আপনার জন্য চ্যালেঞ্জ।
সিনিয়র সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম বলেন, ‘একটি অর্থবছরে প্রকৃতপক্ষে কতসংখ্যক কর্মসংস্থান হয় সে হিসাবটা কখনো আমরা পাইনি। এবার আপনারা সে হিসাব দেবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। ১৫ বছরে গণমানুষের প্রকৃত আয় বাড়েনি। আপনারা একটা মেকানিজম করে এই হিসাবটা বের করুন যে এক অর্থবছরে কতসংখ্যক কর্মসংস্থান হয়। সবখানে সংস্কার হচ্ছে, আপনারা বাজেট বত্তৃদ্ধতার আকারে সংস্কার আনুন। ঢাউস আকৃতির বাজেট বত্তৃদ্ধতার কোনো প্রয়োজন নেই। এটা কমিয়ে আনুন। বাস্তবমুখী বাজেট দিন। ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে যে বাজেট দেওয়া হতো সেটা ছিল অহেতুক। বাজেট উপস্থাপনের নামে দেখানো হতো এক রকমের প্রামাণ্যচিত্র।’
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অ্যাসোসিয়েট এডিটর শামীম জাহেদী বলেন, ‘কালো টাকা বৈধ করার ক্ষেত্রে কর সমান হবে কি না সেটায় আপনারা নজর দেবেন। দেশে এতগুলো টেলিভিশন আছে, দেড় হাজার কেবল অপারেটর আছে, সারা দেশে সাড়ে তিন কোটি বাড়ি আছে। এর ৫৪ শতাংশ বাড়িতে টেলিভিশন দেখা যায়। প্রত্যেকে ৩০০/৫০০ টাকা দিয়ে সংযোগ নেন। এখানকার টাকাটা আমরা এক টাকাও পাই না। সরকার পায় কি না আমি জানি না। এখানে একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাহলে আমরা কিছু টাকা পাব। সরকারও রাজস্ব পাবে।’
সময়ের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহনেওয়াজ করিম বলেন, সবার জন্য সুখবর ও স্বস্তিদায়ক বাজেট দিন। করদাতাদের জন্য ট্যাক্স কার্ড প্রবর্তন করা যায় কি না ভেবে দেখুন। এটা করতে পারলে তাঁরা সম্মানিত বোধ করবেন।
ডিবিসি নিউজের সম্পাদক লোটন একরাম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিফলন বাজেটে থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা। করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ করা হোক। বেকারত্ব কমনোর উদ্যোগ নেওয়া হোক। এ জন্য এসএমই উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন। নয়তো বন্ধ করে দিন। এটা মিনিমাম পাঁচ হাজার টাকা হওয়া উচিত। টেলিভিশনে কোনো ওয়েজ বোর্ড নেই। একটি ওয়েজ বোর্ড এখানেও থাকা প্রয়োজন। ভারতীয় চ্যানেলগুলো এখানে দেদার চলছে, আমাদের কোনো চ্যানেল ভারতে চলে না। এখানেও কাজ করা প্রয়োজন।’
এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ মনিউর রহমান বলেন, করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ করা হোক। বাজেট বাস্তবায়ন কতটুকু হলো সেটা দেখা দরকার।

নাহিদ ইসলাম
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসুক, আমরা তা প্রত্যাশা করি না
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ চান না বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা চাই না আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিক। প্রথমত, দলের ভেতরে যারা অন্যায়ের জন্য দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গত ১৭ মার্চ দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম আরো বলেছেন, নতুন দলের চ্যালেঞ্জ নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ নিয়ে।
আন্দোলন থেকে সরকারে, তারপর আবার রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট’কে নাহিদ ইসলাম বলেন, একটি সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা। অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ সময় ছিল। এটি আমার জন্যও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি সময়ের দাবিতেই পদত্যাগ করে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরেছি।
নিজের দল এনসিপি সম্পর্কে নাহিদ বলেন, এনসিপি একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল এবং আমরা এই আদর্শ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো নতুন কণ্ঠস্বর, বিশেষ করে তরুণ এবং সব সামাজিক শ্রেণির ব্যক্তিদের জন্য জায়গা তৈরি করা, যারা বছরের পর বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি থেকে বাদ পড়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, এনসিপি এবং জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আমাদের এজেন্ডাও সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের মধ্যে কোনো সংযোগ নেই। কিছু দাবিতে মিল থাকতে পারে, যেমন আমরা সাংবিধানিক সংস্কার ও গণপরিষদ গঠনের পক্ষে। কিন্তু আমাদের আদর্শিক অবস্থান ভিন্ন এবং উগ্রবাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম।
সূত্র : বাংলাদেশ ডিপ্লোম্যাট