<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো আসনে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই আসনে আবারও নির্বাচন হবে। এ ছাড়া </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ভোটের বিধানও ফিরছে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">না</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ভোটের সংখ্যা বেশি হলে ওই আসনে পরাজিত প্রার্থীরা পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার (আরপিও)</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে এ ধরনের বিধান যুক্ত করার সুপারিশসহ মোট ১৮টি বিষয়ে ১৫০টির মতো সুপারিশ জানানো হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। গতকাল বুধবার  প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন  জমা দেওয়ার পর এই সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে গেছে। সেটিকে ঠিক করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যে কাজটি করার চেষ্টা করেছি সেটি হলো, নির্বাচনব্যবস্থায় যাতে একটি স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে সব অংশীজনের যেন দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং নির্বাচনটা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং ভোটারদের ভোট দেওয়ার অধিকার যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুপারিশের সংখ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব সুপারিশের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, তাদের ক্ষমতায়িত করা এবং একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্ধ করা। দায়বদ্ধতার বিধান আমরা যুক্ত করেছি। গণতন্ত্রায়ণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহি এটা চারটিখানি কথা নয়। এটি বলা সহজ। কিন্তু এটি আমাদের করতে হবে। যদি দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা করতে পারব, সেই আশা করাও দুরূহ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত তিনটি নির্বাচনে যারা আমাদের নির্বাচনব্যবস্থাকে নির্বাসনে ফেলে দিয়েছে, শুধু কর্মকর্তা নয়, আমাদের কমিশনের সদস্যের বিষয়ে তদন্ত করার, বিশেষত ২০১৮ সালে মধ্যরাতে যে অভূতপূর্ব কাণ্ড ঘটেছে, সে ব্যাপারে একটি তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় বা দায়বদ্ধতার আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা কয়েকটা আইনের খসড়া তৈরি করেছি। আরো দু-একটা তৈরি করার প্রক্রিয়ায় আছি। আমাদের একটু সময় দিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংস্কার কমিশনের  সুপারিশের মধ্যে আরো  রয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ; ঋণ ও বিলখেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা; গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সংবাদিকদের ও মানবাধিকারকর্মীর ওপর হামলা) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাঁদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা; নির্বাচনব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহারের বিধান বাতিল করা; নির্বাচনের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা; নির্বাচনে  প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তাঁর নির্বাচন বাতিল করা; ভোটারপ্রতি ১০ টাকা হিসাবে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করা; সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিংব্যবস্থা বা আর্থিক প্রযুক্তির (যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিকাশ, রকেট) মাধ্যমে পরিচালনা করা; নির্বাচনী আসনভিত্তিক নির্বাচনী ব্যয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবিড়ভাবে নজরদারি করা; বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যতীত সব প্রার্থীর সশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা; নির্বাচনী তফসিলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বাড়ানো; প্রার্থিতা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করা। এ লক্ষ্যে আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি শুধু </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোরাম নন জুডিস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ম্যালিস ইন ল</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর ক্ষেত্রে সীমিত করা; মনোনয়নপত্রের সঙ্গে  প্রার্থীর পাঁচ বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দেওয়ার বিধান করা; পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা ও ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা এবং   নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদের সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, অনিয়মের চিত্র ধারণ, নির্বাচনের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি  দেওয়া ইত্যাদি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সংবিধান সংশ্লিষ্ট সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুইবারে সীমিত করা; দুইবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা; একই ব্যক্তি একই সঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন অংশে রয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ১০০ আসন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে (সংখ্যানুপাতিকভাবে) আসন বণ্টন করা; প্রত্যেক দলের প্রাপ্ত  আসনের ৫০ শতাংশ দলের সদস্যদের মধ্য থেকে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ আসন নির্দলীয় ভিত্তিতে নাগরিকসমাজ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মানবসেবা প্রদানকারী, শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি, নারী উন্নয়নকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী  ইত্যাদির মধ্য থেকে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচিত করা। তবে শর্ত থাকে যে দলীয়  ও নির্দলীয় সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা; সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্যদের বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক নির্ধারণ করা এবং  বিরোধী দলকে ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংসদ নির্বাচনে নারীর প্রতিনিধিত্বের অংশে বলা হয়েছে, সংসদের (নিম্নকক্ষ) আসনসংখ্যা ১০০ বাড়িয়ে মোট আসন সংখ্যা ৪০০ করা। এই ৪০০ আসনের মধ্যে নারীর জন্য নির্ধারিত ১০০ আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান করা, যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আসন থেকে নারীদের সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুপারিশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অংশে বলা হয়েছে, দলনিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা; জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় এর  মেয়াদ চার মাস নির্ধারণ করে এবং মেয়াদকালে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করার সুপারশিও করা হয়েছে। একটি স্থায়ী স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় করার জন্য আইন সংশোধন  এবং  জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২৩ জরুরি ভিত্তিতে বাতিল করারও সুপারিশও করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচন সংস্কার কমিশন গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন, বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুুমদার  বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচনের সময় অনেক অভিযোগ ওঠে, কিন্তু সেগুলোর কোনো সুরাহা হয় না। অনেক অপরাধী দায় এড়িয়ে যায়। তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য আমরা এই সুপারিশ করেছি। শুধু কর্মকর্তারা নন, কমিশন সদস্যদেরসহ গত তিনটি নির্বাচনে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে যাঁরা বিতর্কিত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্তের প্রস্তাব করেছি। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মধ্যরাতে যেসব অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যেসব বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করার সুপরিশ করেছে তার মধ্যে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">না ভোট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহকে নির্বাচনের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বাতিল করা হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯০ শতাংশ মানুষ  আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় : গতকাল বিকেলে জাতীয় সংসদ চত্বরে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনপ্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। ৪৬ হাজার নাগরিককে নিয়ে করা সংস্কার কমিশনের জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে জরিপটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বদিউল আলম আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই মুহূর্তে আমাদের কোনো ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্য স্থানীয় সরকার নেই। এ কারণে জনগণ নাগরিকসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>