বর্তমান আইন অনুযায়ী, শুধু সরকারি কম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত হতে পারে। শেয়ারবাজার সংস্কারসংক্রান্ত টাস্কফোর্স সরকারি কম্পানির পাশাপাশি বহুজাতিক ও বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও সরাসরি তালিকাভুক্তির সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে।
সম্প্রতি এই টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে জমা দেওয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) সংক্রান্ত খসড়া সুপারিশমালায় বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের প্রস্তাবে শেয়ারবাজারে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে কেস টু কেস ভিত্তিতে এক হাজার কোটি টাকার বেশি আয়ে থাকা বহুজাতিক কম্পানি এবং বড় কম্পানিগুলোকে সরাসরি তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
এখানে ন্যূনতম শেয়ার ইস্যুর শর্ত ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে এমন কম্পানির জন্য বাধ্যতামূলকভাবে তালিকাভুক্তির বিধান রাখা হয়েছে। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির জন্য ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের বাইরে থেকে তহবিল উত্তোলনের জন্য আইনে ক্রস-বর্ডার আইপিওর বিধান যুক্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে। বাজারভিত্তিক দর নির্ধারণের ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু আইনি পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স। এর মধ্যে ডাচ অকশন পদ্ধতি পুনঃ প্রবর্তনের প্রস্তাব এবং বিডিং প্রক্রিয়ায় যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) অংশগ্রহণ বাড়ানোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। টাস্কফোর্সের সুপারিশে আইপিও অনুমোদনের সময়সীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর জন্য সাড়ে পাঁচ মাস এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর জন্য সাড়ে ছয় মাস সময় নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া আইপিও আবেদন প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে অনলাইন একটি ড্যাশবোর্ড চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।