<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতের অর্থ : </span></span></strong><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারা মাটি থেকে তৈরি যেসব দেবতা গ্রহণ করেছে সেগুলো কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম?...তারা কি তাঁকে ছাড়া বহু উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলো, তোমরা তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত করো। এটাই আমার সঙ্গে যারা আছে তাদের জন্য উপদেশ এবং এটাই উপদেশ ছিল আমার পূর্ববর্তীদের জন্য। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ প্রকৃত সত্য জানে না, ফলে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ২১-২৪)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতগুলোতে একত্ববাদের প্রমাণ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা ও বিধান</span></span></strong></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. আয়াতে মুশরিকদের বুদ্ধির অসারতা তুলে ধরা হয়েছে। কেননা তারা আল্লাহর সৃষ্ট বস্তু থেকে নিজ হাতে তৈরি প্রতিমার উপাসনা করে, যে প্রতিমা কখনো কারো ভেতর প্রাণসঞ্চার করতে পারেনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. মহাবিশ্বে একাধিক প্রভু থাকলে তা ধ্বংস হয়ে যেত। কেননা উভয় প্রভু নিজের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে সংঘাতে লিপ্ত হতো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. আবার উভয় প্রভুর আপস-মীমাংসা করে চলাও সম্ভব নয়। কেননা প্রভুত্বের শান পরিপন্থী ও দুর্বলতার প্রমাণ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. প্রভুত্বের দাবি হলো, সার্বভৌম ক্ষমতা, জবাবদিহি ও যেকোনো প্রাকৃতিক নিয়মের ঊর্ধ্বে থাকা। এটা কেবল আল্লাহর ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. কোরআন উম্মতে মুহাম্মদি ও পূর্ববর্তী উম্মতের জন্য উপদেশ। কেননা কোরআন পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থগুলোকে রহিত করেছে এবং তাতে পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থগুলোর সারকথা আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">(তাফসিরে মাআরেফুল কোরআন : ৬/১৭১)</span></span></span></span></p> <p> </p>