<p>আয়াতের অর্থ : ‘এবং স্মরণ করো ইসমাঈল, ইদরিস ও জুলকিফলের কথা, তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল; আর তাদেরকে আমি আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম; তারা ছিল সত্কর্মপরায়ণ। এবং স্মরণ করো জুননুনের কথা, যখন সে ক্রোধভরে বের হয়ে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল, আমি তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করব না। অতঃপর সে অন্ধকার থেকে আহ্বান করেছিল।...তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিন্তা থেকে এবং এভাবেই আমি মুমিনদের উদ্ধার করে থাকি।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৮৫-৮৮)</p> <p>আয়াতগুলোতে নবীদের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে।</p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. ইদরিস (আ.) ছিলেন নুহ (আ.)-এর দাদা। আদম (আ.)-এর মৃত্যুর ১০০ পর তাঁর জন্ম হয়।</p> <p>২. আয়াতে জুলকিফল (অঙ্গীকার পূরণকারী) দ্বারা বশর এবং জুন্নুন (মাছওয়ালা) দ্বারা ইউনুস (আ.) উদ্দেশ্য।</p> <p>৩. ইজতিহাদি ভুল ক্ষমার যোগ্য। তবে আল্লাহ কখনো কখনো নৈকট্যশীল বান্দাদের ইজতিহাদি ভুলের জন্যও পাকড়াও করেন, যেন তাঁরা সতর্ক হন। একই কারণে ইউনুস (আ.)-কে আল্লাহ পরীক্ষা করেছিলেন।</p> <p>৪. অন্ধকার বোঝাতে আয়াতে বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কেননা পানির নিচে প্রতিটি স্তরে অন্ধকারের মাত্রা ভিন্ন হয়ে থাকে।</p> <p>৫. বুজুর্গ আলেমরা বলেন, বিপদ থেকে রক্ষা পেতে দোয়ায়ে ইউনুস পাঠ করা যায়। এটি একটি বহুল পরীক্ষিত আমল। (বুরহানুল কুরআন : ২/৪৮৩)</p> <p> </p>