<p>মিয়ানমারের বড় এলাকা দখলে বিদ্রোহীদের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ড্রোন হামলা। এখন বিদ্রোহীদের মোকাবেলায় তাদের কৌশলই  প্রয়োগ করেছে জান্তা বাহিনী। তারা এখন বিদ্রোহীদের অনুকরণে ড্রোন ব্যবহার করে মর্টার নিক্ষেপ কিংবা চীনা ও রুশ বিমান বাহিনীর তৈরি উড়োজাহাজ থেকে আর্টিলারি ও বোমা হামলা চালাচ্ছে।</p> <p>এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের শান রাজ্যের সীমান্তবর্তী বিরোধপূর্ণ  বিদ্রোহীদের বহনকারী একটি গাড়ি শনাক্ত করে জান্তা বাহিনী। একটি বাড়ির কাছে গাড়িটি থামানোর পরপরই সেটিকে উড়িয়ে দেওয়া হয়। জান্তা বাহিনীর ওপরও এভাবে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। </p> <p>২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে অস্থিরতা চলছে। ওই বছর সামরিক বাহিনী নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে উত্খাত করে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন সহিংসভাবে দমন করে। এর ফলে দেশজুড়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা দেশটির বড় অংশই দখল করে নেয়। লাখ লাখ বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।</p> <p>এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সম্মুখ সারির একজন সামরিক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তিতে খুবই দুর্বল ছিলাম।<br /> তাই অনেক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছিলাম। ড্রোন দিয়ে বোমাবর্ষণের কারণে আমরা বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি।’</p> <p>নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এখন আমরাও পাল্টা আক্রমণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করছি। তারা সিগন্যাল ব্লক করার জন্য বড় জ্যামার ব্যবহার করেছিল। আমরাও জ্যামার ব্যবহার করছি।’</p> <p>জান্তার এই কৌশল বদলের প্রমাণ মেলে সম্প্রতি শান ও কায়া রাজ্যের সীমান্ত বরাবর অবস্থিত দুর্গম জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়ি এলাকা মোয়ে বাই গ্রামে। সেখানে টহল দেওয়ার সময় ভোরের কুয়াশা কায়ান ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সদস্যদের আড়াল করতে সাহায্য করে। কিন্তু আবহাওয়া পরিষ্কার হলে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নতুন অস্ত্রের মুখে পড়ে যায়। </p> <p>সূত্র : এএফপি</p>