<p>লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রচুর বাড়িসহ ১০ হাজারের বেশি কাঠামো আগুনে পুড়ে গেছে। আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অপরদিকে এই আগুন ইচ্ছাকৃতভাবে লাগানো হয়েছে কি না সেই বিষয়টি তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ।</p> <p>সবচেয়ে বেশি কাঠামো পুড়েছে প্যালিসেডে। সেখানে প্রচুর বাড়িসহ পাঁচ হাজার তিনশ কাঠামো হয় পুরোপুরি বা আংশিকভাবে পুড়ে গেছে। ইটনে পুড়েছে পাঁচ হাজার কাঠামো। </p> <p>দাবানলের কারণে এনএফএলের ম্যাচ লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। এখন সেই ম্যাচ অ্যারিজোনায় হবে। সোমবার রাতে গ্লেনডেলে স্টেট ফার্ম স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দাবানল তার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তাই মানুষের সুরক্ষার কথা ভেবে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।</p> <p>এদিকে কেনেথ অঞ্চলে অগ্নিসংযোগ করার সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া লুটপাটের ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।</p> <p>অপরদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেছেন, সাড়ে সাত হাজার দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন। এক হাজার ১৬২টি দমকল ইঞ্জিন সেখানে আছে। ৩১টি হেলিকপ্টার এবং ছয়টি এয়ার ট্যাংকার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। এয়ার ট্যাংকার থেকে হাজার হাজার গ্যালন পানি ফেলা হচ্ছে।</p> <p>গভর্নর বলেছেন,  প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয়, স্থানীয় এবং রাজ্যের বাইরের থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। দমকলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার হলিউড হিলসের ভয়ংকর দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে পূর্ব ও পশ্চিম দিকের দুইটি দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p>আগুনে পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহুমূল্যের বাড়ি-ঘর ও গাড়ি। এরই মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। </p> <p>তবে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন বলছে, এই দাবানল থেকে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতি হতে পারে।  যা মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।</p> <p>ফায়ার সার্ভিস বলছে, ছয়টি আলাদা দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে তিনটি নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি বাইরে চলে গেছে। প্রাণে বাঁচতে লস অ্যাঞ্জেলেসের এক লাখ ৭৯ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজনে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।</p>